আমার আর মাধবীলতার বিয়ে হয়েছে দুমাস হলো।মাধবীলতা দেখতে রাজ্যের সুন্দর ছিল।এলাকার যে কোন যুবক ছেলে মাধবীলতা কে দেখলে দাঁড়িয়ে যেত।দেখতে -শুনতে দিব্বি মাধুকরীর মতো। মাধবীলতার মধ্যে একটা খাই-খাই ভাব ছিল।মাধবীলতার বাবা রিকশাচালক। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মাধবীলতার বাবা। তার মধ্যে আবার ঘরে যুবতী মেয়ে। বিয়ের চিন্তা। মাধবীলতাকে দেখলে যে কোন পুরুষের পুরুষাঙ্গ তার ছোঁয়া পেতে চাইবে আমিও তাদের বাহিরে ছিলাম না।তবে,মাধবীলতাকে মন থেকে ভালোবাসতাম।
আমরা সমাজে প্রভাবশালী ছিলাম।মাধবীলতার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর সাথে-সাথে রাজি হয়ে যায়। সবকিছু মেনেই আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হলো।মাধবীলতা বিয়েতে রাজি ছিল কি ছিলনা তা জানিনা এমনকি জানার চেষ্টাটা করিনি কখনো। বিয়ের প্রথম রাতে আমি যখন মাধবীলতার কাছে যাই সে শিশুর মতো কান্না করছিলো। আমি ভেবেছিলাম,বাবাকে রেখে চলে এসেছে তাই কান্না করছে। মাধবীলতার গায়ে ছিল লাল রঙের বেনারসি শাড়ি। কপালে বড় লালটিপ। ঠোঁটের পাতায় লাল রঙের লিপিস্টিক। মাথায় ঘোমটা দিয়ে পা দুটো মাথার সাথে লাগিয়ে কান্না করছে। আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। মাধবীলতা ১৪ বছর বয়সের কুমারী।আমার পুরুষাঙ্গ তার মায়া কান্না কানে শুনতে পাচ্ছিলো না। এলাকার সবচেয়ে খাই-খাই টাইপের কচি কুমারী মেয়ে সামনে থাকলে কি কারো পুরুষাঙ্গ ঠিক থাকে। আমি তারপরেও হাত দিয়ে চেপে রেখেছিলাম কিচ্ছুক্ষণ। তবে, আমার হাত উপেক্ষা করে আমার পুরুষাঙ্গ তার সাথে মিশে যাবার জন্য আমাকে বাধ্য করলো।আমি হিংস্র জানোয়ারের মতো তাকে ধর্ষণ করা শুরু করলাম।তার আত্মচিৎকার আমার পুরুষাঙ্গ শুনেনি। ভালোই লেগেছিল ১৪ বছর বয়সের কুমারীকে ধর্ষণ করতে।
আমি প্রতিদিন রাতে শহরের নামি-দামী বারের মধ্যে বসে নানান রঙের পানি পান করে বাসায় ফিরতাম। প্রত্যেকদিন এভাবে মাতাল হয়ে এসে ১৪ বছরের কিশোরী মেয়েটাকে জানোয়ারের মতো ধর্ষণ করতাম। প্রতিদিন রাতে ২-৩ বার করে ভোগ করতাম। ১৪ বছরের মেয়েটা শিশুর মতো কান্না করতো আমার পুরুষাঙ্গ তার মায়া কান্না শুনতে পেতো না।এভাবে মাস চারেক গেল।আমার অত্যাচারের পরিমাণ দিন-দিন বাড়তেই থাকলো। মাধবীলতা অনেক কম কথা বলে। বিয়ের এই চার মাসে ৩৪ বার কথা বলেছে আমার সাথে। সেটাও আমার ওষুধ খাবার কথা মনে করিয়ে দেবার জন্য।
আমার বড় ধরনের একটা রোগ ধরা পড়েছে। এতো কিছুর পরেও মাধবীলতা ঘরের প্রত্যেকটা কাজ গুছিয়ে করতো। একদিন রাতে প্রচুর পরিমাণে মদ ও গাজা খেয়ে এসে মাধবীলতাকে ধর্ষণ করতে লাগলাম মাঝরাতে। মাধবীলতার শরীলের প্রায় অংশে জখম। আমি প্রতিদিন রাতে তাকে জানোয়ারের মতো কামড়াতাম। নাভির একটু উপরে এমনভাবে দুইটি দাত দিয়ে কামুড় বসিয়ে ছিলাম যে,মাধবীলতা ভালভাবে নড়াচড়া করতে পারতো না। সারা শরীরে বিষ।সেদিন রাতে পিঠের মাঝামাঝি আরেকটা কামড় দেবার সাথে-সাথে অজ্ঞান হয়ে গেল মাধবীলতা। কিন্তু আমার পুরুষাঙ্গ তারপরেও একটুর জন্য থামেনি। আমি যখন বুঝতে পাড়লাম মাধবীলতা জ্ঞান হারিয়েছে তখন বিছানা থেকে উঠে জানালার গিরিল ধরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম।
প্যাকেট থেকে একটা হলিউড সিগারেট বের করে ঠোঁঠের পাতার উপর বসিয়ে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলাম। মাধবীলতা বিছানায় জ্ঞান হারিয়ে পড়ে আছে। সেদিন রাতে বেলকুনিতে দাঁড়িয়ে আমার বিবেক কে হাজার প্রশ্ন করলাম। আমার কাছে কোন প্রশ্নের উত্তর ছিল না। আমি মানুষ নামের অমানুষ ছিলাম।আমার বয়স ৩৪। আমি একটা ১৪ বছর বয়সের মেয়েকে দিনের পর দিন এভাবে অত্যাচার করে যাচ্ছিলাম। আমার হাজার অত্যাচার শয্য করে আমার সব খোজ-খবর রাখতো। আমার প্রতি তার এক বিন্দু রাগ ছিল না। তাহলে কেন আমি তাকে প্রতিদিন রাতে এভাবে অত্যাচার করতাম.?? মাধবীলতার পুরো শরীরে আমার দাতের বিষ।কি অত্যাচারটা না করতাম। মনে করলেই ভয় করে। আমি পরিক্ষা করতে হাতে থাকা সিগারেটের আগুন পায়ের মধ্যে ধরলাম ২ সেকেন্ড শয্য করতে পারিনি।তাহলে আমার বিষাক্ত দাতের কামড় দিনের পড় দিন কিভাবে শয্য করতো মাধবীলতা। এভাবে হাজার প্রশ্ন জাগতে শুরু করলো মনের মধ্যে। আমি একের পর এক সিগারেট শেষ করছি আর ভাবছি। আমি এতো পরিমাণ নিষ্টুর ছিলাম। আমি কেন তাকে অত্যাচার করতাম।একটু খানি মায়া-ভালোবাসা দিলে কি হতো। অন্য কেউ তো ছিলনা,সে আমার বিয়ে করা বউ ছিল।সে তো কোন ভুল করেনি। এসব কিছু ভাবতে-ভাবতে মাধবীলতার প্রতি অনেক মায়া আর ভালোবাসা জন্মালো।সেদিন রাত থেকে মনে-মনে প্রতিজ্ঞা করলাম, আমি সকল ধরনের নেশা বাদ দিয়ে দিবো। মাধবীলতাকে নতুন করে ভালোবাসবো।
মাধবীলতার জন্য সকাল-সকাল গিয়ে বেনারসি শাড়ী, লালাটিপ, কানের দুল আর পায়ের নুপুর কিনে নিয়ে এসে সারপ্রাইজ দিবো।চাঁদ মাখা বউয়ের মুখে এক চিলতে হাসি ফুটানোর নানারকম ব্যবস্থা আর কাজকর্ম মনের মধ্যে আঁকতে থাকলাম। সকাল হলেই মাধবীলতাকে বড় একটা সারপ্রাইজ দিবো।একহাত দিয়ে জানালার গিরিল ধরে আর অন্যহাতে সিগারেট নিয়ে ভবঘুরে ঘুরে আসলাম কিছুক্ষণ। মাসে একবার করে সিনেমা দেখতে যাবো মাধবীলতাকে নিয়ে ঠিক করলাম। এভাবে ভাবতে-ভাবতে সিগারেট সব শেষ হয়ে গেল।
চারিদিগে পাখির কলাহল সাথে সূর্যের আলো জানালার মধ্য দিয়ে এসে আমার শরীরের উপর পরল। আমি মাধবীলতার জন্য বাস্ত হয়ে উঠলাম। রুমের মধ্যে ঢুকে দেখি অজ্ঞান অবস্থায় এখনো পরে আছে সে। আমি তড়িঘড়ি করে ডাক্তারকে ফোন করে বাসায় নিয়ে আসলাম। ডাক্তার মাধবীলতার হাত ধরে কি যেন পরিক্ষা করলো। আমি বুঝে উঠে পারছিলাম না। ডাক্তার মাধবীলতাকে নিয়ে বাস্ত হয়ে পরল। একবার হাত দেখছে তো অন্যবার চোখ দেখছে। কিছুক্ষণ পর ডাক্তার আমাকে বললো,সময় বেশি নেই এখনি হসপিটালে নিয়ে চলো। আমি সাথে সাথে এম্বুলেন্স নিয়ে এসে হসপিটালে নিয়ে যায়। যখন হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা অবস্থায় আমাকে কিছু বলার চেষ্টা করতেছিলো।ডাক্তার সাহেব দেখে ইমাজেন্সী অপারেশন রুমে নিয়ে গেল। আমি চিয়ারের এক পাশে বসে নিজেকে সবচেয়ে পাপি মনে করতেছিলাম। এমন কেউ করে নিজের বউয়ের সাথে। আমার দু-চোখ থেকে পানি ঝড়-ঝর করে পরছিলো।
ডাক্তার অপারেশন রুম থেকে বের হয়ে দীর্ঘ একটা শ্বাস ফেলল। আমি ভাল কিছু শুনার অপেক্ষায় ছিলাম। আমি ডাক্তারের কাছে ছুটে চলে গেলাম মাধবীলতার খবর নিতে ডাক্তার বললো, সাহেব অনেক দেরি করে ফেলছেন। আপনার বউয়ের থেমাসোলোপি রোগ হয়েছিলো। তারপরেও বাচানো যেত। কিন্তু আপনার বউ অন্তঃসত্তা ছিলো।সে মা হতে চলেছিলো।
এই কথা শুনার পর আমার চারিদিক অন্ধকার মনে হচ্ছিলো। আমি নিশ্চুপ হয়েছিলাম। আমার পুড়ো শরীর অবাস হয়ে যাচ্ছিলো। কি করলাম আমি। একটা মানুষ কিভাবে এই জঘন্য কাজ করতে পারে। মাধবীলতার না হয় আমার প্রতি রাগ নেই কিন্তু ভিতরে থাকা ছোট মানুষটি কি আমাকে ক্ষমা করবে কখনো?? যাকে এই দুনিয়ার আলো দেখার আগেই বিদায় করে দিলাম। আমি পাপী, এ পাপের কোন ক্ষমা নেই। আমি একজন ধর্ষক। একজন ধর্ষকের বেচে থাকার অধিকার নেই। এসব কিছু ভাবতে-ভাবতে আমিও আমার মাধবীলতা আর সন্তানের কাছে চলে আসলাম।
"এই পৃথিবীতে ধর্ষকের বেচে থাকার কোন অধিকার নেই।"
বি:দ্র: গল্পের প্লট অনুযায়ী শব্দচয়ন করতে হয়েছে।তারপরেও আমি দুঃখিত ও লজ্জিত। মাফ করবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫