somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

''আমাদের রাজশাহীর'' জানা অজানা তথ্য এবারের পর্ব প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব

০৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বৃহত্তর রাজশাহী জেলায় শিক্ষা-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, সমাজসেব-রাজনীতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে অসংখ্য প্রতিভাবান ও নিবেদিতপ্রাণ লোকান্তরিত মানুষ তাদের স্ব স্ব অবদানের জন্য আজও স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন৷


আমার এবারের পর্বে তাঁদের ভিতর থেকে কতিপয় গুণী মানুষের সংক্ষিপ্ত জীবনকথা তুলে ধরা হলো৷

রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক


শহীদ এ.এইচ.এম. কামারুজ্জামান :

বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতীয় নেতা এ.এইচ.এম. কামারুজ্জামান প্রচন্ড শক্তি নিয়ে রাজনীতির অঙ্গনে আবির্ভূত হয়েছিলেন৷ শহীদ এ.এইচ.এম. কামারুজ্জামান রাজশাহীর এক বিখ্যাত রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান৷ তিনি পরিবারের প্রথম সন্তান ছিলেন৷ দাদি আদর করে তাঁর ডাক নাম রাখেন ‘হেনা’৷ তিনি ১৯২৩ সালে ২৬ জুন জন্মগ্রহণ করেন৷ বাংলাদেশের অন্যতম জাতীয় নেতা শহীদ কামারুজ্জামানের পিতা আব্দুল হামিদ মিয়া রাজশাহীর একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক ছিলেন৷ তিনি অবিভক্ত বাংলা ও পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন৷ ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খান সমগ্র পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি করেন৷ এই সময়েই কামারুজ্জামান প্রবল শক্তি নিয়ে রাজনীতিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন৷ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা হিসাবে তিনি ১৯৬২’র আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ‘৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন ও সবশেষে ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ কোনটাতেই তিনি পিছিয়ে থাকেননি৷ ১৯৬২ সালের নির্বাচন থেকে শুরু করে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর পর্যন্ত যতদিন বেঁচে ছিলেন, ততদিন তিনি কোন নির্বাচনেই হারেননি৷ ১৯৬২ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সম্মিলিত বিরোধী দলের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন৷ পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বিভিন্ন বৈষম্যের বিষয়ে তিনি সোচচার হন৷ ‘৭১ এর ৮ই মার্চ তিনি কারফিউ প্রত্যাহারের জন্য পত্রিকায় বিবৃতি দেন৷ ১১ মার্চ রাজশাহীর ভূবনমোহন পার্কে এক বিশাল জনসভায় ঘোষণা দেন স্বাধীনতা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে৷ এই সভায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের টেপ বাজানো হয়৷ ‘৭১ এর ১৭ এপ্রিল তিনি মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কামারুজ্জামান শপথ গ্রহণ করেন৷ তিনি সে সময়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ ‘৭৫ এর ৩রা নভেম্বর রাতে জাতীয় চার নেতা নির্মমভাবে ঢাকা জেলখানার অভ্যন্তরে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন ৷ এই চার নেতার একজন হচেছন এ.এইচ.এম. কামারুজ্জামান (হেনা)৷


হাজী লাল মোহাম্মদ সরদার
হাজী লাল মোহাম্মদ সরদার জন্মগ্রহণ করেন ১৮৪৮ সালে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানার অধীন ভেলনা গ্রামে এক নিম্ন মাধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে৷ রাজশাহীর তৎকালীন ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়ার সি.এইচ. নেলসন সাহেবের সহায়তায় ইটের ব্যবসায় তিনি প্রতিষ্ঠা লাভ করেন এবং জমিদারি ও তালুক সম্পত্তির মালিকানা লাভে সমর্থ হন৷ তিনি একজন বিত্তবান ব্যক্তিতে পরিণত হওয়ার পর ক্রমান্বয়ে সমাজ কল্যাণে এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডে আত্মনিয়োগ করেন৷ তিনি দুবার অবিভক্ত বাংলার ‘লেজিসলেটিভ কাউন্সিল এর সদস্য (এমএলসি) নির্বাচিত হন৷ এই খ্যাতনামা ব্যক্তির কর্মময় জীবনের অবসান ঘটে ১৯৩৬ সালের আগস্ট মাসে৷

এমাদউদ্দীন আহমদ

সমাজহিতৈষী রাজনীতিবিদ এমাদউদ্দীন আহমদ ১৮৭৫ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজারামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন৷ রাজশাহী জজ কোর্টে আইন ব্যবসায় স্বল্পকালের মধ্যেই অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয় দেন৷ তিনি ছিলেন রাজশাহী জেলা বোর্ডের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং রাজশাহী পৌরসভার নির্বাচিত প্রথম মুসলমান বেসরকারি চেয়ারম্যান৷ অসাধারণ কর্মদক্ষতা এবং ব্যক্তিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯২২ সালে খানবাহাদুর উপাধিতে ভূষিত হন৷ ১৯৩০ সালে আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন পরে ডেপুটি স্পিকার এর পদ লাভ করেন৷ ১৯৩৬ সালের ৭ মে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷

আহসান উল্লাহ মোল্লা

আহসান উল্লাহ মোল্লা বর্তমান নওগাঁ জেলার আত্রাই থানার অন্তর্গত জাত আমরুল গ্রামে ১৮৭৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি একজন জমিদার, সফল ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন৷ তাঁর পাটের ব্যবসা সুদূর লন্ডন ও ডান্ডি পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল৷ এই সমাজ সেবক রাজনীতিবিদের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখতে আত্রাইতে তাঁর নামানুসারে স্থাপিত হয় আহসান উল্লাহ মেমোরিয়াল উচচ বিদ্যালয় এবং আত্রাই রেলওয়ে স্টেশন (আহসানগঞ্জ) ও আত্রাই ডাকঘরের নামকরণ করা হয়েছে৷

আশরাফ আলী খান চৌধুরী

বর্তমান নাটোরের কৃতী সন্তান ব্যারিস্টার আশরাফ আলী খান চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৮৭৮ সালে মুসলিম জমিদার খান চৌধুরী পরিবারে৷ তিনি ১৮৩৬ সালে ফারসির পরিবর্তে রাজভাষারূপে গ্রহণ করেন ইংরেজী ভাষা৷ ১৯১২ সালে তিনি ব্যারিস্টারি পাশ করে কোলকাতা হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন৷ কিছুকাল তিনি কলকাতা হাইকোর্টের ডেপুটি লিগ্যাল রিমেমব্রান্সার (ডিএলআর) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন৷ ১৯৩৭ সালে তিনি নাটোর থেকে বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন৷ ১৯৪১ সালের ৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন৷

ইদরিস আহমদ



রাজনীতিক ইদরিস আহমদ ১৮৯৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বর্তমান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার দাদনচক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি ১৯২০ সালে দাদনচক গরীব সহায় সিনিয়র মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন৷ বর্তমানে তা সরকারী আদিনা ফজলুল হক কলেজ নামে পরিচিত৷

আব্দুল হামিদ মিয়া

আবদুল হামিদের জন্ম রাজশাহী শহরের কাদিরগঞ্জে জমিদার হাজি লাল মোহাম্মদ এর পরিবারে৷ তিনি পূর্বঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন৷ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এম.এইচ.এম. কামারুজ্জামান ছিলেন তাঁর সুযোগ্য পুত্র৷ তাঁর কর্মময় জীবনের অবসান ঘটে ১৯৭৬ সালে৷

মাদার বখ্‌শ

মাদার বখশ জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বর্তমান নাটোর জেলার সিংড়া থানার স্থাপনদিঘী গ্রামে৷ ১৯২৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইতিহাসে এম.এ এবং ১৯২৯ সালে বিএল ডিগ্রি লাভ করেন৷ ১৯৪৬ সালে তিনি বঙ্গীয় আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হন৷ ১৯৫০ সালে তিনি রাজশাহী পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন৷ ১৯৫১ সালে রাজশাহী শহরে তিনিই প্রথম রিক্সা চালু করেন৷ তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা৷ ১৯৬৭ সালের ২০ জানুয়ারি তিনি পরলোক গমন করেন৷

কাজী আবদুল মজিদ

কাজী আবদুল মজিদ ১৯০৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নাটোর শহরের আলাইপুরে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি দু’বার পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন৷


রাজা ও জমিদার

রাণী ভবানী

রাজা রামকান্তের স্ত্রী ছিলেন রাণী ভবানী৷ তার জন্ম আনুমানিক ১১২২ বাংলা সনে৷ পিতা আত্মারাম চৌধুরী এবং মাতা জয়দূর্গা৷ রাণী ভবানী ১৭৪৮ খ্রিঃ থেকে ১৮০২ খ্রিঃ পর্যন্ত দীর্ঘ ৫৪ বৎসর জমিদারী পরিচালনা করেন৷ দান, ধ্যান, শিক্ষা, পানীয় জলের ব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, চিকিৎসা ও ধর্মীয় কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ রাণী ভবানী সরকারী কোন খেতাব না পেলেও তাঁর প্রজারা তাঁকে ‘মহারাণী’ নামে আখ্যায়িত করেন৷

প্রমথনাথ রায়

রাজশাহী এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে রায় বাহাদুর প্রমথনাথ রায় ছিলেন অন্যতম৷ তিনি ১৮৪৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ রাজশাহী এসোসিয়েশন ও রাজশাহী কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি দেড়লক্ষ টাকা দান করেন৷ তিনি রামপুর বোয়ালিয়ায় একটি চিকিৎসালয় এবং একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন৷ ১৮৭১ সালে তিনি ‘রাজাবাহাদুর’ খেতাব পান ১৮৭৭ সালে তিনি বঙ্গীয় আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৮৮৩ সালে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন৷

হেমন্তকুমারী দেবী

মহারাণী শরৎসুন্দরী ১২৯৩ সালে মৃত্যুবরণ করলে হেমন্তকুমারী জমিদারী লাভ করেন৷ তিনি ১৩৪৯ বঙ্গাব্দে মৃত্যুর সময় পর্যন্ত জমিদারী পরিচালনা করেন৷ তিনি বিভিন্ন দান-ধ্যান ও জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন৷ রাজশাহী শহরে তিনি একটি ছাত্রাবাস, একটি সংস্কৃত কলেজ এবং মহারাণী হেমন্তকুমারী ওয়াটার ওয়ার্কস এ তিনি বহু অর্থ দান করেন৷ জনকল্যাণকর কাজের জন্য হেমন্তকুমারী ‘মহারাণী’ খেতাব পেয়েছিলেন৷


রাজকুমার সরকার

রাজকুমার দীর্ঘকাল রাজশাহী এসোসিয়েশনের প্রথম প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী ছিলেন এবং একজন ব্যতিক্রমধর্মী জমিদার ছিলেন৷ তিনি নিজ ব্যয়ে স্বগ্রামে একটি দাতব্য চিকিৎসালয় ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন৷ রাজশাহী কলেজ প্রতিষ্ঠায় তাঁর যথেষ্ট ভূমি ছিল৷ তিনি রাজশাহী ধর্মসভার একজন পৃষ্ঠপোষক ছিলেন৷ বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে রাজকুমার রাজশাহী পিপল্‌স এসোসিয়েশন নামে একটি রাজনৈতিক সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন৷

কবি সাহিত্যিক

নরোত্তম দাস ঠাকুর

নরোত্তম দাস ঠাকুর (দত্ত) খ্রিস্ট্রীয় ষোড়শ শতাব্দীর ত্রিশের দশকে রাজশাহীর অদূরবর্তী প্রেমতলীর পদ্মাতীরস্থ গোপালপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন৷ নরোত্তম ভক্তিশ্রাস্ত্র গ্রন্থ ছাড়াও অনেক পদ রচনা করেছেন৷ প্রায় সমস্ত বৈষ্ণব পদসংকলন গ্রন্থে পদকল্পতরু, পদামৃত সমুদ্র, গৌর পদতরঙ্গিনী, বৈষ্ণবপদ সঞ্চয়ন, বৈষ্ণব পদাবলী, মধ্যযুগের বাংলা গীতি কবিতা প্রভৃতিতে নরোত্তমের পদসমূহ সংগৃহীত হয়েছে৷

কবি শুকুর মাহমুদ

কবি শুকুর মাহমুদ ছিলেন মধ্যযুগের বাংলার নাথ সাহিত্য ধারার সম্ভবত শেষ কবি৷ কবি শুকুর মাহমুদের জন্ম সাল ১৬৬০ কিংবা তারও কিছু পূর্বে৷ রাজশাহী শহরের অনতিদূরে সিন্দুর কুসুমী গ্রামে কবির বাস্তুভিটার নির্দশন আজও বিদ্যমান৷

রজনীকান্ত সেন

রজনীকান্ত সেন বাংলা ১২৭২ সালের ১২ই শ্রাবণ (২৬ জুলাই, ১৮৬৫ খ্রিঃ) বুধবার পাবনা জেলার সিরাজগঞ্জ মহকুমার ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামে বৈদ্যবংশে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি বাংলা সাহিত্যে ও সঙ্গীত জগতের অন্যতম সাধক কবি ও গীতিকার ছিলেন৷

হাসান আজিজুল হক

হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ খ্রীস্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে এক সম্ভ্রান্ত এবং একান্নবর্তী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতাঃ মোহাম্মদ দোয়া বখশ্‌, মাতাঃ জোহরা খাতুন, স্ত্রীঃ শামসুন নাহার বেগম। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি রাজশাহীতে কাটিয়েছেন। তিনি ১৯৫৪ খ্রীস্টাব্দে যবগ্রাম মহারানী কাশীশ্বরী উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৫৬ খ্রীস্টাব্দে খুলনার শহরের অদূরে দৌলতপুরের ব্রজলাল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন। প্রথম যৌবনেই ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। রাজনীতি করার কারণেই পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে চরম নির্যাতন ভোগ করেন। ১৯৫৮ খ্রীস্টাব্দে রাজশাহী সরকারি কলেজে থেকে দর্শনশাস্ত্রে‌‌ সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬০ খ্রীস্টাব্দে একই প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬০ থেকে ১৯৭৩ পর্যন্ত তিনি রাজশাহী সিটি কলেজ, সিরাজগঞ্জ কলেজ, খুলনা গার্লস কলেজ এবং দৌলতপুর ব্রজলাল কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। ১৯৭৩ খ্রীস্টাব্দে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৪ সাল পর্যন্ত একনাগাড়ে ৩১ বছর অধ্যাপনা করেন।[১] তিনি পিএইচ, ডি অধ্যয়নের জন্য অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন, কিন্তু বিদেশের পরিবেশ ভালো না-লাগায় তিনি অধ্যয়ন শেষ না-করেই দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। ২০০৯-এ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

এছাড়া আরো অনেক প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বর নাম আছে পোস্ট অনেক বড় হয়ে গেছে তাই শুধু নামের তালিকা দিলাম ...

ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক : কুমার শরৎকুমার রায়, অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় ,
যদুনাথ সরকার, রমাপ্রসাদ চন্দ , রাধাগোবিন্দ বসাক, মৌলবী শামসুদ্দীন আহমদ, মুখলেসুর রহমান,

কবি সাহিত্যিক : কৃষ্ণেন্দ্র রায়, জগদিন্দ্রনাথ রায়, মির্জা মোহাম্মদ ইউসফ আলী,

রাজা ও জমিদার: শরৎসুন্দরী দেবী, চন্দ্রশেখরেশ্বর রায়, শশিশেখরেশ্বর রায়, হরনাথ রায়,

এছাড়া , কাজী আবদুল মজিদ , আব্দুল হামিদ মিয়া , ইদরিস আহমদ, আশরাফ আলী খান চৌধুরী, Akshay Kumar Maitreya
Andrew Kishore, Ila Mitra, Ritwik Ghatak, Mohammad Shamsuzzoha, Professor Dr. Golam Mowla, Professor Dr.Kaisar Rahman Chowdhury , Mian Qusem Rh., A H Juberi
AKM Rezaul Haq Khan ।

আমার আগের ২ টি পর্ব :

আসুন জানি ''আমাদের রাজশাহীর'' জানা অজানা তথ্য পর্ব : ১

''আমাদের রাজশাহীর'' জানা অজানা তথ্য এবারের পর্ব ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান

পোস্ট অনেক বড় হয়ে গেছে কষ্ট করে পড়লে অনেক খুশি হব ।


সুত্র : বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×