somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রমা

২৮ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

#রমা

সন্ধের পর বাসায় ফিরলাম , বৃষ্টি শেষে একটু শীত শীতও করছিল । ঘরে এসে দেখি খুব এলোমেলো হয়ে আছে , বুঝলাম কেউ এসেছিল হয়তো । ঘরে ঢুকেই ঘুম ঘুম পাচ্ছিলো ,কাপড় পরিবর্তন করে বিছানায় বসে থেকে থেকে ঘুমিয়ে গেলাম ! এরপর অনেক্ষণ পর হঠাৎ শব্দে জেগে উঠলাম , বুঝলাম বাইরে থেকে রমা ডাকছে । তারাহুরো করে দরজা খুললাম , খুলে দেখি রমার সাথে রমার কাজিন পরমা ও তার বাচ্ছা দুই সন্তান । রমা দাতদিয়ে ঠুট কামড়েঁ বললো, এতক্ষণ লাগলো ! কুড়ি মিনিট ধরে ডাকছিলাম ! ।
আমিঃ সরি, আমি না ঘুমিয়ে গিয়েচিলাম গো ! টেরপাইনি । এরপমধ্য পরমার বাচ্ছা দু'টো হুহু করে হাসছিলো , আর পরমা ওদের হাসি থামানোর চেস্টা করছিল , আর রমা কিছুক্ষন নিশ্চুপ হয়ে গেল এরপর ওর শরীর থেকে উর্ণা ছুরে আমার দিগে দিয়ে বললো, শরীরটা ডাকো , বাচ্ছারা হাসছে । পর মনে হলো , শুধু ছোট্ট আন্ডার পেন্টাই পড়ে আছি !দৌড়ে যেয়ে জামা পড়ে নিলাম । এরপর পরমার বাচ্ছারা দরজায় কিনারায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে আমাকে কিছুক্ষন পর পর দেখে আর দাত কেলিয়ে হাসেঁ , ওদের হাসি দেখে জিদ উঠেছিল মন চাচ্ছিল ওদের ধরে দু'ঘা বসিয়ে দিই । রমা ফ্রেশ হয়ে কাছে এসে বললো , ওরা আজ আসলো ওদের নিয়ে নিউ মার্কেটে গিয়েছিলাম পর পরমা এসে বললো, মানুষ বেড়াতে আসলাম তোমাদের বাসায় । আমি বললাম, ভালো করেচো কতদিন আসনি ,স্বামী সাংসারের চাপ বুঝি বেড়েগেছে? ফোন দিতে পারতে না , আমিও যেতে পারতাম নিউমার্কেটে ।
পরমাঃ রমাকে বলেছিলাম , তোমায় কল করার জন্য ।
আমিঃ নিশ্চয় ও বলেছে মোবাইলে বেলেন্স নেই ?
পরমা রমার দিকে তাকিয়ে রইলো ।
রমাঃ এত জানাতে হবে কেন শুনি ? আমার আপনজন আসছে , আমি বুঝবো সব , তুমি তোমার মত থাকো ।
পরমাঃ তোদের দাঁ-কুমড়াঁর সম্পর্ক হলো কবে থেকে ? এসে মানুষের বিষয় জানতে চাইলে উত্তরই দিচ্ছিলি না ।
রমাঃ আর বলো না এই মানুষটা আমারে জ্বালিয়ে মারলো ।
পরমাঃ কি হয়েছে বলতো ?
রমা নিশ্চুপ ।
পরমাঃ কি হয়েচে ,মানুষ ?
আমিঃ কিছু না , তোমার বোনই -----
রমাঃ ও আমার সব টাকা ছিনিয়ে নেয় , মাইনে পেয়ে টাকা নিজের কাছে রাখতে পারি না ।
পরমাঃ কেন?
রমাঃ আমি কি জানি ,
পরমাঃ এমন করছো কেন মানুষ, ওর পরীশ্রমের টাকা , যদি প্রয়োজন হয় মিউচুয়ালিই নিতে পারো কিন্তু একেবারে সব নিয়ে যাবে !
রমাঃ বুঝেছো দিদি, ওর সর্হ্য হয় না ! আমার দিন দিন প্রমোশন হচ্ছে তো , ওর থেকে আমি ওপর চলে যাবো না ?
আমিঃ তুমি রমা ! ওপরে যাচ্ছো তো ? ওপরে গেলে বুঝি , মানুষের তেজ বাড়ে, অযথা চেচ্যায় ? কথায় কথায় খোটাঁ দেয় ? তুমি তো কিছুদিন ধরে , আমি কতদিনধরে পাশে আছি কোনদিন বলেছিলাম আমারটা নিচ্ছো তুমি ? আমার, তোমার ! এই বিবাধেই সব যাচ্ছে ।
পরমাঃ বুঝেছি এবার ।
রমাঃ কিছু বুঝনি, ও আমার টাকা নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করবে আমি মানবো না ।
আমিঃ কি করবে ?
রমাঃ থানায় যাবো ।
আমিঃ থানায় কেন, অপছন্দ হলে ছেড়ে দাও না ।
রমাঃ এক সহজে ছাড়বো না তোমায় ! বুঝেছো কি ?
পরমাঃ তোরা একে ওপরে দুরে সড়ে গেছিলস । একটা পরামর্শ দিই কোথা থেকে বের হয়ে আয় তোরা , ঠিক আগের মত হয়ে যাবে ।
আমিঃ কত বলেছি ওকে ।
পরশাঃ রমা , সত্যিই বলছি ।
রমাঃ আচ্ছা সে না হয় দেখা যাবে , শুনতো এবার আমার মাইনে কেন কেড়ে নেয় ও ?
আমিঃ আমার চেয়ে বেতন বেশি পাও বলে এত অহংবোধ বাড়চ্ছে আজকাল ।
রমাঃ তো বাড়বে না ?
আমিঃ এ জন্যই সব কেড়ে নিই ।
রমাঃ দেখেছো দিদি, ও পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করে ?
পরমাঃ আহ ,মানুষ ।
আমিঃ হাহাহাহা
রমাঃ দেখেচো কেমন ,প্যাচাঁর মত হাসে !
আমিঃ পাগলী !
রমাঃ আজ ,ভালো হয়েছিলতো প্রায় নগ্ন হয়ে দাড়িয়েচিলে ।
পরমাঃ ধাৎ, কিসে থেকে কি বলে !
আমিঃ আমি তো রমা ভেবেই ওভাবে দাড়িয়ে ছিলাম !
রমাঃ মানে কি ?
আমিঃ মানে , রমা -আমি তো পারস্পরিক আরো মুক্তরুপে একজন আরেকজনের পাশে থাকি ।
পরমাঃ আমি, গেলাম ! তোদের অযথা ঝগড়ার কোন-মাথা,মুন্ড নেই ।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×