#ছমিরের_স্ত্রী
আজ খুব সকালে উঠেছিলাম ছমিরকে ধরবো বলে , ও বেটা বন্ধু হয়েও আমার টাকা মেরে দিয়েচে । চার মাস আগে , দু'দিনের জন্য চার হাজারটাকা ধার নিয়েচিল , আমার বাসা ভাড়া দেয়ার জমানো টাকা ওকে দিয়েচিলাম ! টাকা পেয়ে লাপাত্তা । ওর বাসায় যেয়ে দেখি চুলোর পাড়ে ওরস্ত্রী রান্না করচে , সকালে দেখে আমাকে চমকে উঠলো ! এত সকাল সকাল এলে ! আমি বললুম, জানো কেন কেন আসি তোমাদের বাসায় ? আজ টাকা না নিয়ে বাসায় ফিরচি না , বলতো উপকার করে কি তোমাদের ভুল করলুম ? । ছমিরের স্ত্রী হেসে বললো, ও তো ঊর্ষার আগেই উঠে চলে গেচে ! আমি দৌড়ে ঘরে গিয়ে খুজেঁ দেখলুম সত্যিই ও নেই । খুব উত্তেজিত হয়েই বললুম, আচ্ছা সত্যি করে বলতো তোমার স্বামী তোমার সাথে ঘুমুয় তো , রাত বারটা পযন্ত বসে থেকেও যার খোজ পাই না আবার সকালেও থাকে না । ছমিরের স্ত্রী বললো, আরে বস না , এত উত্তেজিত হও কেন ? চাল বেজে মরিচ দিই সকালের নাস্তা করো । আমি, আমি টাকাটা পাবো তো ? জানো তো আমারও খুব ভালো অবস্থা না , ওটাকার ঘাটতি মিটাতে আমাকেও অন্য জায়গা থেকে ধার করতে হয়েচে । ছমিরের স্ত্রী বিষাদ নিয়ে বললো, কি করবো বলতো আমাদের অবস্থাতো দেখচো , আলু আর ডাল খেয়ে বেচেঁ আছি । আমি বললুম, তুমি দাও না শোধ করে , ওকে তো এসে পাই না । ছমিরের স্ত্রীঃ তুমি আমাকে বিশ্বাস করচো না ।
আমিঃ টাকাটা পাব না ।
ছমিরের স্ত্রীঃ তোমার বাসায় যেয়ে দু'মাস কাজ করে দিই ? পারিশ্রমিক হিসেবে শোধ করে দিও ?
আমিঃ আমার বাসায় অল্প কাজ, ওটা আমি নিজেই করি ।
ছমিরের স্ত্রীঃ ঠিক আছে, আমিই শোধ করবো হপ্তা পর এসো নিয়ে যেয়ো টাকা ।
আমিঃ বললে যে টাকা নেই ?
ছমিরের স্ত্রীঃ একটা কাজের অফার পেয়েছিলাম ,ভাবচ্ছি ও পথেই নামবো ।
আমিঃ কি কাজ ?
ছমিরের স্ত্রীঃ মাগী হবো ,গতর বেচঁবো ।
আমিঃ না থাক, আমার টাকা লাগবে না । ও টাকার জন্য কারো মাগী হওয়ার প্রয়োজন নেই ।
ছমিরের স্ত্রীঃ শুধু তুমি তো না ,শয়ে শয়ে লোক আসে এমন ।
আমিঃ এত টাকা ধার করেচে ?
ছমিরের স্ত্রীঃ বেচেঁ থাকার জন্যই করেছিলাম ।
আমিঃও ।
ছমিরের স্ত্রীঃ নিয়ে যেয়ো টাকা আগামী হপ্তায় ।
আমিঃ ও পথে নেমো না ।
ছমিরের স্ত্রীঃ কি আছে শরীরে, শরীর বাচিয়েঁ রাখার জন্যই শরীর যেকোন উপায়ে ।
আমিঃ ও পথেই যাবে , ঠিক করলে ?
ছমিরের স্ত্রীঃ হুম , কদিন ধরে ওটাই ভাবছিলাম ।
আমিঃ অন্য পেশা কি আর ছিল না ?
ছমিরের স্ত্রীঃ জানো , কতজন পাওনাধার কে পাশে শুইয়ে ধার মিট করেচি ? তো ও পথ আর এ পথের বেশি ফারাক নেই ।
-এরপর ,ছমিরের স্ত্রীর লোভে যেন আমিই পড়ে যাচ্ছিলাম , বার বার মন চাচ্ছিলো জাপিয়ে পড়ি ওর ওপর । বার বার মনকে সংযত করছিলাম, বন্ধুপত্নী , এ ঠিক হবে না । আমার উচিত ওদের সাহার্য্য করা , আমিই বা কি করবো? আমার যা অবস্থা ! সত্যিই কিছু করার নেই আর , আমাদের জীবন এমনি । ভেতরের সমস্ত ভয়ভীতি,সংশয় দুর করে ছমিরের স্ত্রীর হাত ধরে বললাম, ভেতরে চল ।