somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বাদের লাউ বানাইল মোরে বৈরাগী

২১ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১০:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতির গতিধারা/
আমাদের অর্থনীতির বর্তমান গতিধারা, খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। একদিকে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জনসংখ্যার বৃদ্ধি, অন্যদিকে উন্নত বিশ্বে জৈব জ্বালানির যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে খাদ্য সঙ্কট দিন দিন আরো প্রকট হচ্ছে। ফলে গত কয়েক বছরে খাদ্যদ্রব্যের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় দারিদ্র্য ও অপুষ্টির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে অনুন্নত ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোতে দ্রব্যমূল্যের কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। আর এর ভয়াবহতা আমাদের মতো জনবহুল ক্ষুদ্র দেশটির জন্য এক বিভীষিকাময় অবস্থার সৃষ্টি করেছে। তবে যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে আমাদের সম্পদের সঠিক ব্যবহার বিশেষ করে কৃষির আধুনিকায়ন এবং সময় ও সম্ভাবনাকে ধারণ করে শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশকে কৃষিভিত্তিক শিল্পোন্নত দেশে পরিণত করা সম্ভব।

আমাদের অর্থনীতির (বর্তমান) চিত্র
মাত্র ১ লাখ ৪৭ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই ক্ষুদ্র দেশটিতে প্রায় ১৬ কোটি লোকের বসবাস। যা কি না সমগ্র বিশ্বে বিরল। অধিকন্তু একদিকে যেমন আমরা আমাদের ক্ষুদ্র হলেও অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ও উর্বর ভূমিটুকুর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারিনি, অন্য দিকে এই বিশাল জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে না পারায় তা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলতে গেলে আমাদের কৃষিতে এখনো সেকেলে চাষ পদ্ধতিই রয়ে গেছে। কৃষিতে আধুনিকায়ন করা গেলে কয়েক গুণ উত্পাদন বাড়ানো যেত। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের কৃষিব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে পারলে দেশের এই বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেও রফতানি করা সম্ভব।
দেশের মোট জনশক্তির ৬২ শতাংশ কৃষি খাতে নিয়োজিত।
২০০৬-০৭ অর্থবছরে জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ছিল ২১.৩৭ শতাংশ। ২০০৬-০৭ অর্থবছরে দেশে মোট খাদ্যশস্য উত্পাদন হয় ২৮৯.৪২ লাখ মেট্রিক টন। আর সরকারি ও বেসরকারিভাবে খাদ্যশস্য আমদানি করা হয় ২৪.২০ লাখ মেট্রিক টন।
২০০৭-০৮ অর্থবছরের খাদ্যশস্য উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩৬.৩২ লাখ মেট্রিক টন এবং চলতি ২০০৭-০৮ অর্থবছরের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ৩২.২৩ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে।

[সূত্র : অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ২০০৮]
এ ছাড়া সঠিকভাবে বাজারজাতকরণের অভাবে কৃষকরা তাদের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গড়ে উঠেছে মধ্যস্বত্বভোগীদের বিশাল সিন্ডিকেট। সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেক ফসল। অথচ দেশে উত্পাদিত আলু, কলা, আনারস, পেঁপে প্রভৃতি অসংখ্য পণ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে নতুন নতুন উপাদেয় তৈরি করে নিজেদের পুষ্টির সরবরাহের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা যেত।
সম্প্রতি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে শুধু পশুসম্পদ খাতে যে পরিমাণ উত্পাদন সম্ভব বর্তমানে তার মাত্র ২০ শতাংশ উত্পাদন করা হচ্ছে এবং অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ অনুrপাদিত থেকে যাচ্ছে।
জার্মানির একজন কৃষি বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ সফর শেষে দেশে গিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, দেশটি এত বেশি উর্বর যে, সেখানে অনেক ক্ষেত্রে লাঙ্গল লাগে না, আঙ্গুল দিয়ে খুঁচিয়ে কদুর (লাউয়ের) বীজ বপন করলে দুই দিন পর লতা, কয়েক দিন পরে পাতা এর পর কদু (লাউ) জন্মায়। অথচ দেশটির লোকেরা অশিক্ষিত ও অলস। তারা চিংড়ি মাছ দিয়ে মজা করে লাউ খায় আর গান ধরে ‘স্বাদের লাউ বানাইল মোরে বৈরাগী।
একজন জাপানি বিশেষজ্ঞের মন্তব্য ছিল বাংলাদেশটাকে আমাদের হাতে দেয়া হলে আমরা বিশ্বকে কৃষিভিত্তিক শিল্পোন্নত দ্বিতীয় জাপান উপহার দিতাম।

বিশ্বমোড়লদের নজরে বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, ভারত, চীন, জাপান, ডব্লিউবি, আইএমএফ প্রভৃতি দেশ ও সংস্থার ক্ষুদ্র এই দেশটির দিকে নজর দেয়ার কারণ হিসেবে অনেকে শুধু দেশটির তেল-গ্যাস-বন্দর প্রভৃতি সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক সম্পদ ও তথাকথিত সন্ত্রাস দমনের কথা বলে থাকলেও এর সাথে জড়িত রয়েছে অনেক বড় অর্থনৈতিক স্বার্থ। কারণ দেশটি আয়তনে বিশ্বের ৩ হাজার ভাগের মাত্র ১ ভাগ হলেও এর লোকসংখ্যা ৪০ ভাগের ১ ভাগ। যা কি না বাংলাদেশের চেয়ে আয়তনে ২০-৪০ গুণ বড়, অনেক দেশেই তা অনুপস্থিত। আর এই বিশাল ভোক্তার জনসংখ্যার কারণে আয়তনে ক্ষুদ্র হলেও এই দেশটি একটি বিশাল বাজার। এই ১৮ কোটি লোকের বাজার দখল বিশ্বমোড়লদের অতিরিক্ত নজরের একটি অন্যতম কারণ। কেননা অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমাদের নিজেদের অর্থনীতিকে উত্পাদনমুখীর পরিবর্তে ভোগমুখী করে তোলা হয়েছে দৃশ্যমান এসব দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর পরামর্শে। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, তৃতীয় বিশ্বের এই জনবহুল উন্নয়নশীল দেশটির রাজধানী শহরকে এখন বিশ্বের সিটি অব শপিংমল বললে অত্যুক্তি হবে না।
দেশের অর্থনীতির দিকে তাকান, দেখতে পাবেন আমাদের ভোগকৃত অধিকাংশ পণ্যসামগ্রীই শুধু নয়, চিন্তা-চেতনা তথা সংস্কৃতিও হয় প্রতিবেশী দেশ নতুবা ওই সব মোড়ল দেশের বহুজাতিক কোম্পানি বা চ্যানেল থেকে আমদানি করা। যেখানে আমাদের নিজস্ব যোগান নামমাত্র। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে আরো ৮০ শতাংশ খাঁটি দুধ উত্পাদন সম্ভব অথচ শিশুখাদ্যের জন্য বিদেশীদের ভেজাল দুধেই আমরা অধিক সন্তুষ্ট। এখন প্রশ্ন আসতে পারে দেশের বাজেটে ও বাঘা বাঘা অর্থনীতবিদ ও সংস্থাগুলোর গবেষণায় আমাদের প্রবৃদ্ধি তো বাড়ছেই। এ ক্ষেত্রে অর্থনীতির একজন ছাত্র হিসেবে আমার কাছে যেটা মনে হয়, দেশের অর্থনীতি কর্মকাণ্ড যেখানে বাস্তবতার আলোকে অনেক বেশি উত্পাদনমুখী হওয়ার কথা ছিল সেখানে তা কেবলই ফটকা কারবারি ও প্রতারণার ফাঁদে বন্দী। এখানে যেটা হচ্ছে তা হলো ১০ টাকাকে ২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে দেশের প্রকৃত প্রবৃদ্ধি সত্যিকার অর্থে খুবই নগণ্য।

প্রয়োজন সময় ও সম্ভাবনাকে ধারণ করা
বিশ্ববাজারে কৃষিপণ্যের অব্যাহত মূল্য বৃদ্ধিকে আপাত আমাদের মতো কৃষিনির্ভর জনবহুল দেশের জন্য অধিক বিপদসংকুল মনে হলেও এটাকে আমরা বাস্তবমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে নিজেদের অনুকূলে নিয়ে আসতে পারি। কারণ বাংলাদেশের কৃষিতে যে অযুত সম্ভাবনা রয়েছে সেটাকে কাজে লাগাতে পারলে নিজেদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেও বিশ্ববাজারে রফতানি করা সম্ভব। বিভিন্ন গবেষণা থেকে এ কথা প্রমাণিত যে, আমরা কৃষি ক্ষেত্রে আমাদের সম্ভাবনার খুব কমই বর্তমানে উত্পাদন করছি। এর মূল কারণ কৃষিকে আমরা এখনো আধুনিক করতে পারিনি। আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্থা ও হীনমন্যতার কারণে কৃষিতে এখন প্রায় শতভাগ কৃষক ও খামারীই অশিক্ষিত।
শিক্ষা ব্যতিরেকে কৃষির আধুনিকায়ন বলতে গেলে অসম্ভব। কারণ হিসেবে একটি উদাহরণ পেশ করছি। আমি একজন কৃষককে বললাম, আপনি আপনার জমিতে ধানের অবশিষ্ট যে গোছা বা (নাড়া) জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য পোড়াচ্ছেন সেটা আপনি অন্যত্র পুড়িয়ে এনে জমিতে দিলে সারের কাজও করবে এবং অন্যত্র পোড়ানোর কারণে জমির গুরুত্বপূর্ণ উপাদানও নষ্টের হাত থেকে রক্ষা পাবে। তখন প্রবীণ ওই কৃষকটি আমার ওপর অনেকটা রাগই করে বসেন। তিনি বললেন, বাপ-দাদা চৌদ্দপুরুষ থেকে জমিতে পুড়িয়ে আসছেন কোনো সমস্যা শুনলাম না আর তুমি এসেছ নতুন কথা নিয়ে। এখন দেখুন যে দেশে বলতে গেলে একজন কৃষকও উচ্চশিক্ষিত দূরের কথা সামান্য শিক্ষিতও নয়, তাদের কাছ থেকে কৃষির আধুনিকায়ন দুরাশা মাত্র। এ ক্ষেত্রে আমাদের বিপুল জনশক্তির একটি বিশাল অংশকে যেমন যোগ্য ও দক্ষ করে বিদেশে পাঠানোর পাশাপাশি দেশের হাজারো শিক্ষিত যুবকদের যদি কৃষি ক্ষেত্রে নিয়োজিত করা যায় তাহলে একদিকে যেমন অপরাধ কর্মকাণ্ড হ্রাস পাবে অন্য দিকে দেশের কৃষিতে একটি বিপ্লব সাধিত হবে।
যদিও সরকারের যুব উন্নয়ন, কৃষি, মত্স্য বিভিন্ন বিভাগের মাধ্যমে প্রতিটি উপজেলা সদরে সহযোগিতার ব্যবস্থা রেখেছেন এবং সম্প্রতি দেশী-বিদেশী সব ব্যাংকের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কৃষি ঋণ দেয়া বাধ্যতামূলক করেছেন কিন্তু এ ক্ষেত্রে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে এসব প্রতিষ্ঠান তাদের কাক্সিত ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে।

অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলোর অনেক নেতিবাচক বিষয়গুলোর প্রচার-প্রসার আমাদের দেশের তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার কাজটুকু যতটা ব্যাপকভাবে লক্ষ করা যায় তাদের ভালো দিকগুলোর ছিটেফোঁটাও চোখে পড়ে না। যুক্তরাষ্ট্রে বা জাপানে একজন কৃষক বা খামারীও অশিক্ষিত চোখে পড়বে না অথচ আমাদের দেশের একজন উচ্চশিক্ষিত তো দূরের কথা সামান্য শিক্ষিত লোকের কাছেও কৃষক পরিচয় দেয়াটা জাতকুল চলে যাওয়ার মতো বিষয়। উচ্চশিক্ষিতদের (তাদের) চোখে কোনো মোবাইল কোম্পানির অফিসে করণিক বা রিসিপশনিস্টের কাজটাকে অধিক আকর্ষণীয় হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। ঠিক এ রকম প্রেক্ষাপটে ভিন্নরকম সম্ভাবনাময় কিছু উদ্যোগ মাঝে-মধ্যে চোখে পড়ছে।
দেশের উচ্চশিক্ষিত কিছু যুবক যদি আমাদের সম্ভাবনাময় কৃষিক্ষেত্রে নিয়োজিত করে সঠিকভাবে কৃষিঋণসহ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে বাংলাদেশকে কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসেবে দাঁড় করানো সময়ের ব্যাপার মাত্র।
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পুরোনো ধর্মের সমালোচনা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেই নতুন ধর্মের জন্ম

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:১৫

ইসলামের নবী মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে প্রবেশনে পাঠানোর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×