হঠাৎ হাততালির আওয়াজে ঘুম থেকে উঠে পড়লাম, জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতেই দেখি আমাকে বহনকারী বিমানটি একটি বিশাল জলরাশরি উপর দিয়ে ছুটে চলেছে, আর পাইলটের ককপিট থেকে ঘোষনা আসছে, Dear Passengers, please fasten your seat belt we are now about to landing on Entebbe International Airport...... যাক এতক্ষনে হাততালির কারণটা জানতে পারলাম। আমরা এখন ল্যান্ড করছি বিখ্যাত এনটেবে এয়ারপোটর্ে, তা নাহয় বুঝলাম কিন্তু আমরা পানির উপরে কেনো? যাক আমার আশঙ্কা থেকেই বাচাতে কি না জানিনা, দেখলাম বিমানটি একটি পাকা রাস্তার উপর ল্যান্ড করেছে। পাশের যাত্রি থেকে জানতে পারলাম, যে জলরাশি দেখে আমার ঘুম ভেঙেছে, তার নাম লেক ভিক্টোরিয়া.......
আচ্ছা এবার একটু পেছনে তাকানো যাক, আমার যাত্রা শুরু হয়েছিলো ১৭ই মে সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে, মধ্যেখানে ১৮ই মে দুবাই এয়ারপোর্টে প্রায় ৮ ঘন্টার যাত্রাবিরতী শেষে আবারো বিমানে ওঠা এবং তার পরবর্তি ঘটনা তো আগেই বলেছি। আর কি করতে এসেছি এখানে? আমি এখানে এসেছি একটি এন.জি.ও এর হয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে, আপাতত আমার গন্তব্যস্থল উগান্ডার রাজধানীর একটি হোটেলে, যেখানে আমার নামে একটি রুম বুক করা আছে। আবার পেছনে তাকানো যাক, আমার এখানে আসার ভিসা ছিলোনা, কারণ এই দেশে আসার জন্য পোর্ট এন্ট্রি ভিসা দেয়া হয়, যা এনটেবে থেকেই নিতে হয়। তো আমাদের ঢাকার কাস্টমস অফিসাররা আমাকে ছাড়পত্র দিতে বেশ গড়িমসি করছিলেন যেহেতু আমার ভিসা নেই। এজন্য অবশ্য পরবর্তীতে আমার কাগজ পত্র দেখে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন। যাইহোক এরপর আর তেমন একটা ঝামেলা হয়নি। দুবাই নেমে মনে হয়েছে দেশের বাইরে আরেকটি দেশে এসে পড়লাম নাকি? কারন চারিদিকে বাঙালি আর বাঙালি। কেউ ঝাড়ু দিচ্ছে, কেউ ওয়াশরুম পরিস্কার করছে, কেউ আবার ইনফর্মেশন বক্সে বসে আছে। বাহ ভালোই তো!
তো এরকম সাতপাচ ভাবছিলাম আর এয়ারপোর্টের গাড়িটি আমাকে নিয়ে যাচ্ছিলো আমার হোটেল। শেষ বিকেলের আলোয় দেখছিলাম কামপালা শহর আর তার ব্যাস্ততা.....
এভাবেই হোটেলে পৌছে বাসায় খবর দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম.....
(ক্রমশ...)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




