আমার ছোট ভাই গত মাসে সাজেক ও কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে মেসেঞ্জারে ছবি পাঠিয়েছে। আমি আমার ৩ বছর পূর্ণ করা মেয়েকে ছবি দেখিয়ে বললাম। এটা কে ? সে ছবি দেখে কিছুটা লজ্জা ভাব নিয়ে ইংগিতে বুঝালো চাচ্চু। বললাম ছবিটা সুন্দর হইছে। সে বলল-সুন্দর এবং ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলী উচিয়ে বলল- লাইক। আমি অবাক জীবনের শুরুতেই লাইক ডিজলাইকে জড়িয়ে যাচ্ছে আমার/আমাদের সন্তান।
প্রথম জল সং দিয়ে ছবি আঁকছি। মেয়ে উৎসাহ নিয়ে দেখছে। মেয়ের মাকে বললাম কেমন হচ্ছে ? উত্তর আসলো-মনে হচ্ছে ভালো। বাবুকে বললাম ছবিটা কেমন হয়েছে ? সে মুখ গোমরা করে রাখলো। অনেকক্ষণ ধরে সে রং আর তুলি চাচ্ছে অথচ আমি দিচ্ছিনা। আমি আবার বললাম বল কেমন হয়েছে আব্বুর আঁকা ছবিটা। সে চোখ মুখ কুচকে বৃদ্ধা আঙ্গুলী নীচের দিকে ঝুলিয়ে বলল-ডিজলাইক দিলাম।
আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। এই প্রথম তার মুখে ডিজলাইক শব্দটা শুনলাম। আমি কৃত্রিম রাগ করে ছবি আকা বন্ধ করলাম। সে তুলি ও রং নিয়ে মহাসুখে আঁকতে লাগলো হিজিবিজি। পরে অবশ্য বলেছে সুন্দর হইছে বাবা।
তুলি ও রং পেয়ে পিচ্ছি অনেক খুশি। সে আঁচর কাটে আর বলে সুন্দর হইছে ? আমরা উৎসাহ দেই-হ্যা খুব ভাল হয়েছে। সে আমার রং শেষ করেই আনন্দ পাচ্ছে।
রং মুছার জন্য এই কাগজটা ব্যবহার করেছি। পরে দেখি এটাও একটা শিল্প কর্মর মত হয়ে গেছে। পরে কিছু রং এড আরও আরও কিছু আচর কাটার পর ছবি তুললাম। বাবু এটাকেও লাইক দিয়েছে এবং সেও এখানে রং দিয়েছে বলে এটা তারও একা আমার ক্রেডিট নয় সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছে।
যুগের সাথে বাচ্চারা লাইক ডিজলাইকে আটকে যাচ্ছে এটা ভালো নাকি মন্দ সেটা সময়ই বলে দেবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৫৯