
বাংলাদেশের নির্বাচনে হোক সেটা জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচন কিংবা ইউপি নির্বাচন সহিংস ঘটনা না ঘটলে, রক্ত আর লাশ না দেখলে বাঙালির নির্বাচন যেন নির্বাচন মনে হয় না । এইতো চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইউপি নির্বাচনে প্রাণ গেল ১৩ বছর বয়সের কিশোর মোহাম্মদ তাসিবের। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাবার সেকি আহাজারি, বুকফাটা কান্না, এমন হৃদয়বিদারক ছবি পত্রিকা খুললেই আমরা দেখতে পাই।
কি দোষ ছিল তাসিবের ? সে তো কোনো পক্ষের ছিল না । সেতো নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামায় নি ।ভোটকেন্দ্রের নিকটেই তার বাসা এটাই তার অপরাধ এজন্যই কি তাকে প্রাণ দিতে হলো। যারা কিশোরসহ মানুষ হত্যা করেছে নির্বাচনের নামে তাদের বিচার কে করবে? এরকম ঘটনার জবাবদিহিতা কি এদেশে কোনদিন নিশ্চিত হবে না? হায় দেশ , হায় জাতি , আফসোস!
আজকের পত্রিকাতে আরো দেখতে পেলাম প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য , পরাস্ত করার জন্য , শেষ করার জন্য বন্দুক হাতে নিয়ে গুলি ছুড়ছে দুই যুবক পাশেই কিছু লোক জড়ো হয়ে তামাশা দেখছে । নির্বাচন মানেই কি আমাদের কাছে বুলেট বারুদের গন্ধ , সহিংসতায় লাশ আর রক্তের মাখামাখি,স্বজনের আহাজারি । আমরা কবে বেরিয়ে আসবো এই বীভৎস সংস্কৃতি থেকে যতদিন বেরিয়ে আসতে না পারব ততদিন আমি ভোট না দেওয়ার পক্ষে।
ই-ভোটিং চালু করলে কেমন হয় ভোটাররা ঘরে বসেই ভোট দিবেন আর নির্বাচনী কর্মকর্তা কর্মচারীগণ কেন্দ্রে বড় পর্দায় ভোট গ্রহণ করবেন। একদিকে যেমন থাকবে স্বচ্ছতা অন্যদিকে থাকবে না সহিংসতা । প্রাণ যাবে না কারো , কোন মায়ের কোল খালি হবে না ,কোন বাবার কাঁধের সন্তানের লাশ উঠবে না । সে দিনের প্রত্যাশায় নতুন স্বপ্ন নতুন বাংলাদেশ।
ছবি প্রথম আলো'র সৌজন্যে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



