
প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরী হয়। সে গল্পের কারিগর আমার কন্যা, সে গল্পের নায়িকাও সে।
কন্যা আমার সাজতে ভালোবাসে । তা যে সে সাজ নয় একেবারে ম্যাচিং করে সাজতে হবে। গতকাল রাতেই কথাই বলি-
নীল রঙের জামা পরেছে এখন এটার সাথে ম্যাচিং করে নীল জুতো পরেছে, নীল রঙের মালা খুঁজে বের করে এনে গলায় পরলো তারপর ঝুটি বাঁধার জন্য কোথা থেকে নীল রঙের ক্লিপ ও রাবার এনে ওর মাকে বলল চুলে ঝুটি বেঁধে দাও। দেখছো সব ম্যাচিং করেছি কথাটা বলেই একটা তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠে ওর মুখে। আমরা তো হাসতে হাসতে শেষ ওর কান্ড দেখে।
ভাবলাম একটা ছবি তুলি আমি বুদ্ধি করে নীল রঙের মোড়ার উপর উঠিয়ে ছবি তুলতে যাবো সে নেমে গিয়ে ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে বসে ছবি উঠানোর জন্য পৌঁছে দিল। কন্যাশিশুরা বুঝি এমনই হয় সারাক্ষণ সাজগোজ, পোশাক-আশাক নিয়ে ব্যস্ত, পুতুলের খাওয়া-দাওয়া, গোসল করানো, ঘুমপাড়ানো, পড়ালেখা করানো কত যে মনোযোগ দিয়ে দিনভর এসব পালন করে সত্যি সেটি আনন্দের এক খোড়াক।
যখন তখন মেকআপ, স্নো, পাউডার, নেইল পলিশ তা হোক বড়দের সেগুলো দিয়েই সেজে ফেলবে চুপি চুপি। যতই বারণ করি দিতে শুনবেনা। একান্ত বাধা দিলে কান্না করে অস্থির হয়। ইদানিং শুধু নিজেই ম্যাচিং করে পড়বে না ওর সাথে আমাদের ম্যাচিং করে পড়তে হবে কি যে বায়না, কি যে আবদার।
ভাল থাকুক কন্যা আমার, ভালো থাকুক আপনার ঘরের শিশু সন্তান।
প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরী হয়
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



