চলুন বেশি বেশি পোকা-মাকড়(মৌমাচি, বাদুড়....) মেরে ছাফ করে ফেলি। তারপর কৃত্রিম প্রজনন করে গরু ছাগলের প্রজননের দায়িত্ব যেমন করে আমরা নিজেদের কাঁধে নিয়েছি তেমনি ফলে ফুলের পরাগায়নের দায় কাঁধে চাপাই (পরাগায়নে হাত পদ্ধতি)। এর পর লোভ ও লাভের হিসেব-নিকেষ এর কাব্যে মিথ্যে মায়ায় আত্মপ্রবঞ্চনার সুখ খুঁজে নেই।
শত শত উদ্ভিদের পরাগায়নে সহায়তাকারী কীট-পতঙ্গ, মৌমাছি, বাদুড় বিষ দিয়ে হত্যা করে এখন হাত পদ্ধতি আবিষ্কার মনে হয় এক প্রকার অভিশাপ।
মানুষজাতি হিসেবে আমরা নিজেরাই কৃত্রিমতার দিকে দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছি আর সেখানে আবার পশু ও উদ্ভিদের পরাগায়ন করে দেওয়ার ঠিকাদারি নিছে।আমাদের লোভের তাড়নায় কৃত্রিম প্রজনন করে গরু ছাগলের প্রজননের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে এবার নির্বিচারে বিষ স্প্রে করে কীটপতঙ্গের বংশ নিধন করার ফলে ফুলের পরাগায়নের দায় কাঁধে চেপে বসেছে (পরাগায়নে হাত পদ্ধতি)।
এভাবে প্রকৃতির কয়টি উদ্ভিদের পরাগায়ন ঘটাতে পারবো আমরা ?
বিষ দিয়ে পতঙ্গ মারা বিদ্যা কৃষককে শিখিয়ে এখন উদ্ভিদের পরাগায়ন (সেক্স) মানুষের হাত দিয়ে করতে হচ্ছে। কৃষিবিদদের শাস্তি কি এটাই ? এটাই কি প্রকৃতির প্রতিশোধ ?
ছবি-নেট থেকে নেওয়া।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:১৩