
ভোরে উঠে নামাজ পড়ে আবার ঘুমিয়ে গেলাম। ০৮.০০ ঘটিকায় মোবাইল এলার্ম দিল। জেগে উঠে এলার্ম বন্ধ করে আবার কখন ঘুমিয়ে গেলাম বলতে পারবনা। এবার স্বপ্ন দেখা শুরু-
বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ দেখি আমার বাসায় ব্লগার মরুভূমির জলদস্যুর ভাই তার ৪/৫ বছরের মেয়েকে নিয়ে হাজির। যুবক বয়সের দস্যু ভাইকে দেখে আমি অবাক।
আমার মেয়ে কাসুন্দি দিয়ে পেয়ারা মাখা খাচ্ছে। সে সাধারণত মেয়ারা মাখা খায় না কিন্তু স্বপ্নে খাচ্ছে। আমি বললাম দস্যু ভাইয়ের মেয়েকে দিতে দিতে দিল। দুই কন্যার মধ্যে ভাব বিনিময় হল। তারা বন্ধু হয়ে গেল।
এদিকে দস্যু ভাই আসার পর থেকেই বেশ চিন্তিত। কি নিয়ে যেন ভাবছে। আমার সাথে কোন কথাই হচ্ছেনা। রাতের খাবার রান্না করা হলো সবাই খেতে বসবো এর মধ্যে দস্যু ভাই এর পিতা ২/৩ জন লোক নিয়ে উপস্থিত। তিনি দস্যু ভাইকে বাড়ি নিয়ে যেতে এসেছেন।
একটু পর তার পিতাকে দেখা যাচ্ছেনা। সবাই খাবার টেবিলে অপেক্ষা করছে। দেকা গেল দস্যু ভাই এর পিতা নিজেই রান্না ঘরে ঢুকে রান্না শুরু করেছেন। তিনি নাকি পণ করেছেন ছেলেকে না পাওয়া পর্যন্ত অন্যের হাতের কিছু খাবেননা। তাই সব ধরনের খাবার তিনি সাথে করেই নিয়ে এসেছেন।
সকাল বেলা আমার খুব তাড়াহুড়া কারণ পরী্ক্ষার সময় হয়ে গেছে তখন নাস্তা রেডি হয়নি দেখি চুলায় বড় বড় পাতিলে রান্না হচ্ছে। এখন প্রায় সন্ধ্যা আমরা সবাই দস্যু ভাইয়ের বাড়িতে পা দিয়েছি অমনি সবাই ব্যস্ত আমাদের হাত -মুখ ধোয়ার পানি ও গামছার ব্যবস্থা করতে। ব্যস তারপর আর কিছু ঘটার আগেই চোখ খুলে গেল। দেখি সকাল ০৮.৪৯ বাজে। আটটার অফিস আমিতো ৯ টায়ও পৌছতে পারবোনা।
তাড়াহুড়া করে ৯.৩০ মধ্যে পৌছলাম। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্লগে দস্যু ভাইয়ের আলোচিত ব্লগ-চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (হালকা গোলাপি) -তে চোখ রাখছিলাম। তাই বুঝি তিনি স্বপ্নে ধরা দিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




