somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়- ২৮

১৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




রমজানে মেয়ে আমার ইফতার, সেহেরি ও ভোররাত নিয়ে কৌতহল দেখিয়েছে প্রথম দিকে সেটাই আজকের গল্প।


প্রথম দিন যখন আমরা রোজা রাখার জন্য বাবুকে তারাতারি ঘুমিয়ে যাবার জন্য বললাম সে বলল, আমিও ভোররাতে উঠবো। ভোররাত দেখবো। ভোররাত কেমন ? সেহেরি কি ?

তাকে বুঝিয়ে বলা হলো। ভোররাতে যখন তাকে ডেকে তুললাম সে বাহিরের দিকে তাকেয়ে বলল, ভোররাত তো অন্ধকার । আমি উঠবো না, ঘুমাবো।


সকালে যখন তাকে নাস্তা দেওয়া হলো। সে বলল- আমরা নাস্তা খেয়েছি কিনা ?

তার মা বলল আমরাতো রোজা রেখেছি । কিছু খাওয়া যাবেনা।

সে বলল- তাহলে আমিও রোজা, আমিও খাবনা।

তার মা বলল-ছোট মানুষের খেতে হয় । তুমি নাস্তা খেয়ে দুপুর পর্যন্ত রোজা রাখবে। তারপর দুপুরে খেয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোজা রাখবে। সন্ধ্যায় আমাদের সাথে ইফতার করবে।

সে বলল-ঠিক আছে।

জাফরিনের চাচতো ভাই তাকে বলল- জাফরিন রোজা রাখছো ? ভাইয়াতো রোজা রাখছি। মেয়ে বলল-আমিও রোজা। না তোমারটা হবেনা তুমি নাস্তা খাইছো।

আম্মু বলছে নাস্তা খেয়ে দুপুর পর্যন্ত ছোট মানুষের রোজা হয়।

বাঙ্গি বা তরমুজ কাটে তাকে খেতে দিয়ে জিজ্ঞাস করা হলো- মিষ্টি হয়েছে, ভাল পড়েছে ? সে তখন আমার মুখের কাছে এক পিছ তরমুজ বা বাঙ্গী ধরে খেয়ে দেখতে বলে।

আমি বলি আব্বুতো রোজা রাখছি। সে বলে-ও আমিতো ভুলেই যাই। বাবা মজা হইছে। এভাবে শরবত বানালে মিষ্টি হয়েছে কিনা সেটা মেয়েকে দিয়ে টেস্ট করানো হয়। মিষ্টি হলে বুড়ো আঙ্গুল উঠিয়ে লাইক দেয় আর মিষ্টি কম হলে বুড়ো আঙ্গুল নীচের দিকে দেখিয়ে ডজলাইক দেয়।

গতবার পুরো রোজায় সে পেয়াজু আর ছোলা খেয়েছিল। এবার বেগুনী বা পেয়াজু এখন পর্যন্ত একটাও খায়নি শুধু ছোলা ধুয়ে দিলে খায়।

মেয়ের কান্ড দেখে নিজের ছেলে বেলার রমজানের স্মৃতি মনে পড়ে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৮
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×