রমজানে মেয়ে আমার ইফতার, সেহেরি ও ভোররাত নিয়ে কৌতহল দেখিয়েছে প্রথম দিকে সেটাই আজকের গল্প।
প্রথম দিন যখন আমরা রোজা রাখার জন্য বাবুকে তারাতারি ঘুমিয়ে যাবার জন্য বললাম সে বলল, আমিও ভোররাতে উঠবো। ভোররাত দেখবো। ভোররাত কেমন ? সেহেরি কি ?
তাকে বুঝিয়ে বলা হলো। ভোররাতে যখন তাকে ডেকে তুললাম সে বাহিরের দিকে তাকেয়ে বলল, ভোররাত তো অন্ধকার । আমি উঠবো না, ঘুমাবো।
সকালে যখন তাকে নাস্তা দেওয়া হলো। সে বলল- আমরা নাস্তা খেয়েছি কিনা ?
তার মা বলল আমরাতো রোজা রেখেছি । কিছু খাওয়া যাবেনা।
সে বলল- তাহলে আমিও রোজা, আমিও খাবনা।
তার মা বলল-ছোট মানুষের খেতে হয় । তুমি নাস্তা খেয়ে দুপুর পর্যন্ত রোজা রাখবে। তারপর দুপুরে খেয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোজা রাখবে। সন্ধ্যায় আমাদের সাথে ইফতার করবে।
সে বলল-ঠিক আছে।
জাফরিনের চাচতো ভাই তাকে বলল- জাফরিন রোজা রাখছো ? ভাইয়াতো রোজা রাখছি। মেয়ে বলল-আমিও রোজা। না তোমারটা হবেনা তুমি নাস্তা খাইছো।
আম্মু বলছে নাস্তা খেয়ে দুপুর পর্যন্ত ছোট মানুষের রোজা হয়।
বাঙ্গি বা তরমুজ কাটে তাকে খেতে দিয়ে জিজ্ঞাস করা হলো- মিষ্টি হয়েছে, ভাল পড়েছে ? সে তখন আমার মুখের কাছে এক পিছ তরমুজ বা বাঙ্গী ধরে খেয়ে দেখতে বলে।
আমি বলি আব্বুতো রোজা রাখছি। সে বলে-ও আমিতো ভুলেই যাই। বাবা মজা হইছে। এভাবে শরবত বানালে মিষ্টি হয়েছে কিনা সেটা মেয়েকে দিয়ে টেস্ট করানো হয়। মিষ্টি হলে বুড়ো আঙ্গুল উঠিয়ে লাইক দেয় আর মিষ্টি কম হলে বুড়ো আঙ্গুল নীচের দিকে দেখিয়ে ডজলাইক দেয়।
গতবার পুরো রোজায় সে পেয়াজু আর ছোলা খেয়েছিল। এবার বেগুনী বা পেয়াজু এখন পর্যন্ত একটাও খায়নি শুধু ছোলা ধুয়ে দিলে খায়।
মেয়ের কান্ড দেখে নিজের ছেলে বেলার রমজানের স্মৃতি মনে পড়ে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৮