আপনাদের দোয়া আর ভালোবাসায় আমার কন্যা এবারের মত বেঁচে ফিরেছে। গত ২৭/০৮/২৩খ্রিঃ রাতে হঠাৎ জ্বর সকালে থেকে খিচুনী। উফ! সেই ভয়াবহ দৃশ্য কোন দিন ভুলবনা। আল্লাহ যেন সবার সন্তানকে শেফা দান করেন এবং দীর্ঘ হায়াৎ দেন।
জ্বর থেকে সেরে উঠার পর সে বাহিরে কোথাও যেতে চাচ্ছে, মেজাজ খিটখিটে। আমরা যতই বলি তুমি আর একটু সুস্থ্য হয়ে নাও তখন যাব ঘুড়তে। সে নাছড় বান্দা। ০১/০৯/২৩ খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যার আগে সে কান্নাকাটি শুরু করল জাম্বুরী মাঠে যাবে।
এর মধ্য মাগরিবের আযান পরে গেল। নামায পড়ে দ্রুত বের হলাম স্বপরিবারে। জাম্বুরী পার্কে ঢুকে দেখতে পেলাম তখনও ফোয়ারা চলছে। যাক পানি ছিটানো দেখতে পেলাম, এটাই পার্কের সন্ধ্যাবেলার মূল আকর্ষন । ফোয়ার কাছে যেতেই বন্ধ হয়ে গেল।
তার পর সে বেলুন কিনবে বায়না ধরল। বেলুন পেয়ে এত খুশী হল যে সুতা হাতে বেধে দৌড়ে দূরে যাচ্ছে আর কাছে আসছে। তার এই আনন্দ দেখে গত এক সপ্তাহের দুঃখ কষ্ট ভুলে গেলাম।
সন্ধ্যার একটা ছবি উঠালাম। যাটা পোস্টে ব্যবহার করা হয়েছে।
আজ ফিরে না গেলেই কি নয়,
সন্ধ্যা নামুক না
জোনাকি জ্বলুক না
নির্জণে বসি আরও কিছুটা সময়........।
মিতালী মুখার্জি ও তপন চৌধুরীর এক সময়ে জনপ্রিয় এই গানটার কথাই মনে পড়ল ছবিটা তোলার পর।
একদল তরুন গিটার নিয়ে গান গাইছে অদূরে। প্রেমিক প্রেমিকা হেটে যাচ্ছে মৃদু স্বরে কথা বলে। স্বামী- স্ত্রী ও ছোট ছেলে মেয়ে বসে আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে, আমরা বাদাম খাচ্ছি, বাবুর জন্য বাসা থেকে আনা আপেল ও কলা তাকে খেলার ফাঁকে খাওয়াচ্ছি।
কেই কেউ টিকটকের ভিডিও বানাচ্ছে। কিছু কিশোর দলছুট কিশোরীর পিছে পিছে যাচ্ছে। বয়স্ক মানুষেরা হাটছে, কিছুট ব্যায়ামের মত শরীর নাড়াচ্ছে। বন্ধরা গলাগলি করে হাটছে, আড্ডা দিচ্ছে। লেকের পানিতে শহুরে আলো, চারপাশ হালকা অন্ধকার .............. আহা জীবন কতনা সুন্দর।
সবার জীবন সুন্দর ও আনন্দে কাটুক।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৬