আমি তোমার মতো সুন্দর করে কবিতা লিখতে জানি না।আমি জানি না কিভাবে ছন্দ মিলিয়ে হুটহাট দুই লাইনের ছড়া লিখতে হয়।কিংবা আমার অভিধানে দাঁতভাঙা কোনো শব্দ নেই উপমা দেয়ার জন্য।আমার অভিধানে "আমি,তুমি,আমরা" এর মতো আছে সহজ সহজ শব্দ।তাই সহজ শব্দ দিয়ে তৈরি কথাগুলোই আমি বুঝি।হোক সেটা কষ্টের কিংবা সুখের।আমার কাছে কষ্টের ভাষা যেমন সহজ তেমনি সুখের ভাষাও সহজ।কিন্তু এদের গভীরতা অনেক। কঠিন আর প্যাঁচানো কথা বোঝার মতো ঘিলু আমার নেই।তাই হয়তো আমি তোমার কাছে বরাবরই ''বেকুব''।
সত্যিকার জীবনেও আমি বেকুব।বেকুব না হলে কি আর........
.
.
.
.
.
.
লিখাটা থামিয়ে বৃন্ত লাইনগুলো পড়ছিল বারবার।এটা ওর একটা অভ্যাস। নিজের লেখা বারাবার পড়া,নিজের মনে মনে নিজেকেই আবৃত্তি করে শোনানো।কারণ সে যখন লেখে তখন সে থাকে অন্য এক জগতে।কিন্তু লেখাটা যখন থেমে যায় তখন সে নিজেই বুঝতে পারে না এতোক্ষণ ধরে সে কি করছিল।তাই নিজেকে বিশ্বাস করানোর জন্য বৃন্ত বারবার নিজের লেখা পড়ে।শেষবারের মতো লেখাটা পড়ল বৃন্ত।প্রতিটা লাইন যখন তার মাথায় ঢুকে গেলো তখন সে পৃষ্ঠাটা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলল বরাবরের মতো।তারপর সে টুকরো গুলোর জায়গা হলো তার পড়ার টেবিলের পাশে রাখা ঝুড়িতে।একগাদা কাগজের টুকরো জমেছে গত এক সপ্তাহে।প্রতিদিন সে এক লেখাই লিখে যাচ্ছে বারবার।কিন্তু শেষ করতে পারছে না।এই নতুন লাইন মাথায় আসছে আবার চলে যাচ্ছে।হাজার চেষ্টা করে কিছুতেই সে মনে করতে পারে না লাইনটা কি ছিল।টেবিল ছেড়ে উঠে বারান্দায় গেলো বৃন্ত।ভীষণ গরমের মধ্যেও ফুরফুরে হাওয়া।হঠাৎ তার মনে হলো নতুন লাইন এসেছে মাথায়। দৌড়ে যেয়ে টেবিলে বসল কলম আর ডায়েরি নিয়ে।নাহ্ আজ তাকে শেষ করতেই হবে লেখাটা যে করেই হোক। কাগজের উপর বড় বড় করে লিখল "ছেঁড়া পাতার গল্প"।