দিন যতো যাচ্ছে, পরিস্থিতি ততোই বিপজ্জনক হয়ে পড়ছে, এ কথা এখন এদেশের সব মানুষই বোঝে। কিন্তু সমস্যা হলো তাদের রাজনীতিহীনতার দিকে অতি আগ্রহ। প্রকৃতপক্ষে রাজনীতিহীন পথে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে এমন আশা যারা করেন এবং জনসাধারণকে আশাবাদী করতে চান - তারা বিপজ্জনক এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। জনসাধারণের কাছ থেকে অতি সহনশীলতা আশা করা এবং রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে অতি ভদ্রতা আশা করাই যে সঙ্কট সৃষ্টি করেছে তা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। সাধারণ মানুষের বিরাজনীতিক আচরণ দেশকে যে সঙ্কটে ফেলতে পারে বাংলাদেশ তার প্রমাণ হয়ে উঠতে পারে। অবশ্যই এই পরিস্থিতির জন্য রাজনীতিবিদরাই দায়ী। যারা এই একবিংশ শতাব্দীতে গণতন্ত্রের নামে ভাওতাবাজীর রাজনীতি করছেন, তারা যে অচিরেই আশাহত হবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ কোন পক্ষেই জনসমর্থন নেই। জনসাধারণ বিপদে পড়তে চাচ্ছে না - এটা একটা কারণ বটে। তবে সাদা চোখে দেখা মূল কারণ নয়, অন্যতম মূল কারণ - রাজনীতিবিদদের সংস্কৃতি, তাদের আচরণ। জনসাধারণ থেকে তারা কথাবার্তায় আলাদা হয়ে গেছেন, আচরণে, সম্পদে আলাদা হয়ে গেছেন। ন্যায়-অন্যায় বোধ, সত্য-মিথ্যাতেও আলাদা হয়ে গেছেন। তারা এমন আচরণ করছেন যেন তারা গণতান্ত্রিক নিয়ম, ইতিহাসের পরিণতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ সবকিছুর ঊর্ধ্বে। সাধারণ মানুষ তো বটেই, অন্য যারা একটু সাধারণের উপরে ব্যবসায়ী-পেশাজীবী, শিক্ষিত, সাধারণ কিংবা সমাজের একেবারেই নিম্নবর্গের সবার কাছ থেকেই রাজনীতিবিদরা আলাদা হয়ে গেছেন। তারা ভিন্ন মূল্যবোধের কথা বলছেন, ভিন্ন যুক্তির কথা বলছেন, ভিন্ন মূল্যবোধ দিয়ে ঘটনাবলীর ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। জনসাধারণ বলতে পারছেন না যে, তারা এ সবের সাথে একমত নন। তবে তারা বুঝিয়ে দিচ্ছেন, নীরব অসম্মতিতে। যে কোনো দেশের জন্য এটা অত্যন্ত ভয়াবহ ব্যাপার এবং এই ভয়াবহতা টেনে এনেছেন রাজনীতিবিদরাই। সবার মতো তারা গণতান্ত্রিক আচরণ করেননি। ভোট দেয়ার ‘সামান্য’ অধিকারটুকুকেও ছিনিয়ে নিয়েছেন - বিশ্বাস ভঙ্গই হয়েছে। এখনকার অবস্থাটা বিপজ্জনক ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
দিন যতো যাচ্ছে, পরিস্থিতি ততোই বিপজ্জনক হয়ে পড়ছে
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।