somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি এবং....

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কদিন ধরে সিলেটে অবিরাম বৃষ্ঠি। বৃষ্ঠি দেখলেই তোমার কথা খুব মনে পড়ে। বৃষ্ঠি তে ঝাপাঝাপি তুমি একদম পছন্দ করতেনা। প্রায়ই বৃষ্ঠি স্নাত দুপুরে আমাকে আবিষ্কার করতে বড় পুকুরটাতে। রাগী চোখে তাকিয়ে থাকতে, কিছু বলতেনা। তারপর আমার জ্ব্বর আর তুমার নিদ্রাহীন, আহারহীন সারারাত্রি। মা, এত ভালোবাসো কেনো তুমি আমাকে?
গতবার যখন বাড়ি থেকে আসছিলাম তখনও বৃষ্টি হচ্ছিল। কোন রকমে উঠানটা পেরিয়ে আর পেছনে ফিরে থাকাইনি। জানি তুমি কাদছিলে। আমার চুখ ও খুব জ্ব্বলছিল। সত্যি বলছি মা, ঐ টা কান্না না, বৃষ্টির জল ছিল!!
চার মাস হয়ে গেল তুমাকে দেখিনা। কখনও Exm-র ঝামেলা, কখনও টিউশনি আবার কখনো টাকা-পয়সার টানাটানি। এটা তুমাকে বলা যাবেনা মা। এমনিতেই ছোট দুইটা ভাই-বোন নিয়ে তুমি খেয়ে না খেয়ে কেমনে আছ আমি জানি। কতদিন নতুন শাড়ি পরতে তুমাকে দেখিনা। কখনো প্যারালাইজড বাবার ঔঘধ, কখন ও আমার মেস ভাড়া, আবার কখন ও ছোট বোনের Exm-র ফী। দুধ বেচার টাকা দিয়ে কতোটাই বা সপ্ন পুরন হয়? গত ঈদে বড় মামার দেওয়া শাড়ীটা ছোট ভাইয়ের জামা কেনার আবদার রাখতে যখন বিক্রি করে দিলে। বিশ্বাস কর মা ঐ একবারই আমি কেদেছিলাম, কিছুই করতে পারিনি।
জানি তুমি এত কষ্ঠের বিনিময়ে আমাকে নিয়ে একটা স্বপ্ন দেখ। একটা চাকরীর স্বপ্ন। কিন্তু মা তুমি জাননা যে আজকাল মামা, চাচা ছাড়া ঐগুলা হয় না। আমার যে ঐসবের কিছুই নেই মা। বইগুলো পড়ার টেবিলে এলোমেলো পড়ে আছে। রেজাল্ট টাও দিনদিন খারাপ থেকে খারাপ হচ্ছে। পড়তে বসার চেষ্টা করি, মাথায় কিচছু ঢুকেনা। গতকাল মেসে রুমমেট Birthday Party দিল। বিরিয়ানী দিয়ে খাবার, সে কি কাড়াকাড়ি। আমার ভাল লাগে নি। ভালো খাবারে আমার অরুচি লাগে মা। তুমার অনাহারী মুখটা বড় কষ্ঠ দেয়। দিনদিন নিজেকে ভারসাম্য হীন মনে হচছে। সবাই যখন সুন্দর স্বপ্ন দেখার প্রত্যাশায় ঘুমিয়ে পড়ে আমি তখন খোলা জানালায় থাকিয়ে থাকি আকাশের দিকে। না বলা কষ্ঠ গুলো ঐ বিশালতায় বলতে খুব ইচ্ছে করে। হতাশার চাদরে আচ্ছন্ন আমি সিগারেটের ধুয়ায় নিজেরে জড়িয়ে রাখি। মাস শেষ হয়ে এল। গতমাসের মেস ভাড়াটা ও বাকি। দো্যা কর মা, তুমার দো্যাই যে বড্ড দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:০০
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×