
-ভাই গরু কিনেছেন?
-জ্বি ভাই কিনেছি।
-কতদিয়ে কিনলেন?
-ভাই ৫ ভাগে ৫৭ হাজার। আপনারা?
-কিনেছি, এবার একাই দিবো ভাবছি। একটা চয়েজ করেছি ৭০ হাজার।
-খুব ভালো ভাই।
লোকটি হাসতে হাসতে একটি পথ ধরে চলে গেলেন। অন্যজন তৃপ্ততার হাসি দিয়ে চুপ রইলেন। তাহার কাছে কমদামী ভাবের এই কোরবানীটাই মহৎ কিছু। সেই চুপচাপ নিজ কর্মে মনোনিবেশ করলেন।
আচ্ছা আমরা আসলে কোরবানীর গুরুত্ব জানি কি? মানি কি কোরবানীর মহত্ব! কোরবানীর নিয়ম কানুন সঠিক নিয়মে আদায় করি কি? আমাদের কোরবানীর উদ্দেশ্য আসলে কি? আমরা আসলে কি কি কোরবানী দেই? আদৌ কি কিছু কোরবানী করি?
আসুন এবার কোরবানীর পাশাপাশি নিজের কিছু বদ অভ্যাস কোরবানী করি। এবার থেকেই শুরু হোক এটা। আপনি শুরু করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন অন্যকে। বিশ্বাস করি এভাবেই পরিবর্তন হবে সমাজ। শুধু নিজ থেকে শুরুটা করেন।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনেকরি এবং প্রতিজ্ঞা করি “পারতপক্ষে আর কোনদিন ফুটওভার ব্রীজ ব্যাতিত রাস্তা পারাপার হবোনা এবং ফুটওভার ব্রীজ না থাকলে জেব্রাক্রসিং এ পারাপার হবো”
আপনি ছোট্ট থেকেই শুরু করুন, যেটা আপনি পারবেন। যেমন ধরেন, “বসে বসে পানি পাণ করবেন” “সকলের সাথে উত্তম ব্যবহার করবেন” “রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাটবেন না” “ সিগারেট পান করবেন না” “বড়দের সম্মান দিবেন” “ছোটদের স্নেহ করবেন” এমনকি ময়লা আর ডাস্টবিনের বাহিরে ফেলবান না সহ এমন করে যে কোন একটি ছোট্ট কাজই এবার হোক শুরু।
আপনার ছোট্ট ছেলে/মেয়েকেও এমন একটি বদ অভ্যাস কোরবানী দিতে বলুন এবং নিজের পরিবারের পক্ষ থেকে নিজেও শুরু করুন। দেখেন চারিপাশটা পরিবর্তন হবেই হবে। এবার আপনার সিদ্ধান্তটা জানান দেখি কমেন্টে...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


