somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মুজিব রহমান
সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

র‌্যাগিং ও বুলিং বন্ধ হোক চিরতরে

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সহপাঠীরা খালি খ্যাপায়, তাই সে মরতে চায়

র‌্যাগিং কেন করে? শুধুমাত্র আধিপত্য বিস্তারই মূল লক্ষ্য। জুনিয়র বা নবাগত ছাত্র যাতে সিনিয়রদের আদেশ নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য হয়, মাথা উচু না করতে পারে, সিনিয়রকে অবজ্ঞা করতে না পারে এজন্য র‌্যাগ দিয়ে তাদের বিষয়টি বুঝিয়ে দেয়া হয়। এতে হুটহাট করে জুনিয়রগণ পদপদবীর দিকে হাত বাড়াতে সাহস পায় না। র‌্যাগিং এর শিকার হয়ে অনেক ছাত্ররই শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যায়। অনেকের ভিতরে ভীতি ও হিনমন্যতাও তৈরি হয়। অনেকের ভিতররে এক দানব তৈরি হয়। তারাও বড় হয়ে র‌্যাগিং করা শুরু করে। র‌্যাগিং এ কারণেই বন্ধও হয় না। র‌্যাগিং হয়ে যারা পরবর্তীতে র‌্যাগিং করে তারা ভবিষ্যতে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তারাই ঘুষ-দুর্নীতি, লাম্পট্য-অনৈতিকতা ইত্যাদিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।

র‌্যাগিং এর মতোই আরেকটি অভিশাপ হল বুলিং। কারো কোন দুর্বল জায়গাকে চিহ্নিত করে অনবরত বিষয়টি সামনে এতে তাকে কাবু করার একটি প্রচেষ্টা। এটিও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে। বুলিং হইতে পারে সহপাঠীদের দ্বারা অথবা গমনাগমনের পথে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। স্পর্শকাতর কিশোর-কিশোরীদের এই বুলিংয়ের ফলে মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে দেখা যায়। বুলিং এর শিকার শিক্ষার্থী অনেকেই স্কুল ছেড়ে দেয়। এমনকি মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহত্যাও করে বসে। আমরা বলি চেতায় বা খেপায়। ছবির ছেলেটির বাড়ি অষ্ট্রেলিয়ায়। সহপাঠীদের চেয়ে গ্রুথ কম হয়েছে। এটা জিনের কারণে হয়েছে। যখন তার একটু বেশি সহানুভূতি দরকার তখন সে পায় উল্টো তিরস্কার। সহপাঠীরা অনবরত চেতাতে থাকে যাকে বলি বুলিং। ছেলেটি এ কারণে মরতে চায়। মানে সহপাঠীরা তাকে মৃত্যুর দিকেই ঠেলে দিচ্ছে তামাশা করতে করতে।

শিক্ষকরা সচেতন হলে বিষয়টি থেকে শিশুটি মুক্তি পেতে পারতো। কিন্তু তা হচ্ছে না। শিক্ষকরাও উল্টো মজা নিতে চায়। তারাও সচেতন নয়। অটিজমে আক্রান্তদের প্রতিই বুলিং বেশি করা হয়। তাদের প্রতি শিক্ষকদের মমত্ব বাড়ছে। তেরে জমিন পার এর মতো সিনেমাও ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু শুধু দরিদ্র দেশেই নয়, উন্নত দেশেও বুলিং চলছে।

নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ তৈরির জন্য র‌্যাগিং ও বুলিং সম্পূর্ণ বন্ধই কাম্য।

সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৯
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×