সহপাঠীরা খালি খ্যাপায়, তাই সে মরতে চায়
র্যাগিং কেন করে? শুধুমাত্র আধিপত্য বিস্তারই মূল লক্ষ্য। জুনিয়র বা নবাগত ছাত্র যাতে সিনিয়রদের আদেশ নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য হয়, মাথা উচু না করতে পারে, সিনিয়রকে অবজ্ঞা করতে না পারে এজন্য র্যাগ দিয়ে তাদের বিষয়টি বুঝিয়ে দেয়া হয়। এতে হুটহাট করে জুনিয়রগণ পদপদবীর দিকে হাত বাড়াতে সাহস পায় না। র্যাগিং এর শিকার হয়ে অনেক ছাত্ররই শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যায়। অনেকের ভিতরে ভীতি ও হিনমন্যতাও তৈরি হয়। অনেকের ভিতররে এক দানব তৈরি হয়। তারাও বড় হয়ে র্যাগিং করা শুরু করে। র্যাগিং এ কারণেই বন্ধও হয় না। র্যাগিং হয়ে যারা পরবর্তীতে র্যাগিং করে তারা ভবিষ্যতে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তারাই ঘুষ-দুর্নীতি, লাম্পট্য-অনৈতিকতা ইত্যাদিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।
র্যাগিং এর মতোই আরেকটি অভিশাপ হল বুলিং। কারো কোন দুর্বল জায়গাকে চিহ্নিত করে অনবরত বিষয়টি সামনে এতে তাকে কাবু করার একটি প্রচেষ্টা। এটিও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে। বুলিং হইতে পারে সহপাঠীদের দ্বারা অথবা গমনাগমনের পথে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। স্পর্শকাতর কিশোর-কিশোরীদের এই বুলিংয়ের ফলে মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে দেখা যায়। বুলিং এর শিকার শিক্ষার্থী অনেকেই স্কুল ছেড়ে দেয়। এমনকি মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহত্যাও করে বসে। আমরা বলি চেতায় বা খেপায়। ছবির ছেলেটির বাড়ি অষ্ট্রেলিয়ায়। সহপাঠীদের চেয়ে গ্রুথ কম হয়েছে। এটা জিনের কারণে হয়েছে। যখন তার একটু বেশি সহানুভূতি দরকার তখন সে পায় উল্টো তিরস্কার। সহপাঠীরা অনবরত চেতাতে থাকে যাকে বলি বুলিং। ছেলেটি এ কারণে মরতে চায়। মানে সহপাঠীরা তাকে মৃত্যুর দিকেই ঠেলে দিচ্ছে তামাশা করতে করতে।
শিক্ষকরা সচেতন হলে বিষয়টি থেকে শিশুটি মুক্তি পেতে পারতো। কিন্তু তা হচ্ছে না। শিক্ষকরাও উল্টো মজা নিতে চায়। তারাও সচেতন নয়। অটিজমে আক্রান্তদের প্রতিই বুলিং বেশি করা হয়। তাদের প্রতি শিক্ষকদের মমত্ব বাড়ছে। তেরে জমিন পার এর মতো সিনেমাও ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু শুধু দরিদ্র দেশেই নয়, উন্নত দেশেও বুলিং চলছে।
নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ তৈরির জন্য র্যাগিং ও বুলিং সম্পূর্ণ বন্ধই কাম্য।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৯