somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মুজিব রহমান
সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

আমার লেখা এগারোটি কবিতা

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১। ইছামতির তীরে

ইছামতির তীরে দাঁড়াতে দাঁড়াতে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে যাই
তন্দ্রাচ্ছন্ন হতে হতে ফুল পাখির সাথে হাত মেলাই
ফুলেরা উড়ছে দৃষ্টির আড়ালে, মেঘের আড়ালে
পাখিরা ডানা মেলছে, ধরতে পারি হাত বাড়ালে।

অস্তগামী সূর্যের দিকে হাঁট হাঁটতে লম্বা হচ্ছে ছায়া
হাঁটতে হাঁটতে হাওয়া হয়ে যাচ্ছি, ফিরছে তার মায়া
দীর্ঘশ্বাসগুলো কুয়াশা হয়ে যাচ্ছে, দেখে না কেউ
কুয়াশার চাদর সরিয়ে দেখি, নাই ইছামতির ঢেউ।

ঘোর কাটে না, দৌড়াতে দৌড়াতে হয়ে যাচ্ছি ঝড়
দিকবিদিক গোত্তা খাচ্ছি, ভাঙ্গছি ঢেউ, বৃক্ষ, ঘর
ইছামতির জলে দেখতে পাই, মৌমিতার স্বচ্ছ আঁখি
সেলাই করি সূর্যাস্ত, কত রকম বনফুল, কত পাখি।

ইছামতির তীরে দাঁড়ালেই হয়, তন্দ্রাচ্ছন্নতার অসুখ
তন্দ্রাচ্ছন্ন হতে হতে চলে আসে শৈশব, একটি মুখ
বিবর্ণ বিকেল, ডুবে যেতে থাকে ইছামতির জলে
তন্দ্রাচ্ছন্ন ইছামতি ডুবে যেতে থাকে বুকের অতলে।


২। কৃষকের কথামালা

আড়িয়ল বিলের ভূমিপুত্র আমি, আমাকে তুমি ভয় দেখাও
দুহাতে ট্রা্‌ক্টর ঠেলে ফসল তুলি, আমাকে তুমি জয় শেখাও
দুপুরে পাতার চোখে ঘুমি নিয়ে, জয় করেছি ক্লান্তির রেখাও
দিঘির মতো বৃষ্টির মাঝে, ভয় নয় পেয়ে যাই শ্রান্তির দেখাও।

এই ভরা বর্ষায় আমার জল আছে, তুমি আজলায় জল নাও
লাউয়ের লকলকে ডগার মতো বল আছে, তুমি বল নাও
দেখো মুঠোভর্তি বারুদ আছে, চোখ ভর্তি আছে আগুন
এই ভর ভর্ষায় শুধু শ্রাবণ নয়, আমার বুকে থাকে ফাগুন।

তোমরা রাজধানী থেকে এসেছো, তোমাদের চোখে ঘৃণা
তোমরা মহানগর থেকে এসেছো, তোমাদের হাতে বীণা
দেখো আমার বুকে আছে রক্ত, নির্ঘুম থাকে সারা বিল
আমরা মনের দরোজা খোলাই রাখি, ঘরেও দেই না খিল।

আমার পাতার বাঁশি, দেখো বৃষ্টির ভেতরে বৃষ্টি নামায়
আমার বর্ষার জল, অবিরাম ঝরে, আছে কেউ থামায়?
আমাদের স্বপ্ন নাচে এই বিলের শিং, কই, শোল, বোয়ালে
আবার বর্ষা শেষে, শরৎ এলে, স্বপ্ন নাচবে ক্ষেতের আলে।

এই বিলের উত্তরে সিরাজ স্যার, দক্ষিণে হুমায়ুন আজাদ
তারাও শিখেছে আমার কাছে, নিয়েছে হিজলের স্বাদ
আমার চোখে আছে বরুণের ঘুম, আমাকে ভয় দেখাও?
চোখ খুললেই দেখবে সূর্য, আমাকে তুমি জয় শেখাও?


৩। দৌড়ো

বহু আগেই কেটে গেছে ঘুড়ি
হাতে নিয়ে অর্থহীন ঘোরাঘুরি
বিষন্ন নাটাই
যে গাছে এখনো গজায়নি শিকড়
দিয়েছি বিশাল বটের আকর
তার নামটাই।
ভূসুকু ’বঙ্গাল’ বলে দিয়েছিল গালি
না বুঝে ব্রাত্য অবুঝ বাঙ্গালী
তাতেই খুশি।
যে হাতে উঠেনি তরবারী
তাকেই বলি করে বাড়াবাড়ি-
দুঃসাহসী।
ভোট নাই তবুও জয় গণতন্ত্র
হাস্যোজ্জ্বল নেতা জপে মন্ত্র
খুশি দুই গাল
সবদেশে যুগেযুগে জন্মে বীরবাহু
এ মাটির ফল গ্রাস করেছে রাহু
সবই মাকাল।
দশ জনের মগ ফিরিঙ্গি হার্মাদ
তাদের হাতেই হতো কুপোকাত
হাজার হাজার
আমরা শুধু মোনাজাত তুলি
বানাই জ্ঞান আর সৌহার্দ ভুলি
মন্দির, মাজার।
মাত্র সতের অশ্বারোহী বিদেশি
দখল করতে পারে লক্ষণের আয়েশি
রাজ্য গৌড়
আমাদের আছে পা দু‘খানি
ভয় দেখালেই চোখে আসে পানি
বলি- দৌড়ো!


৪। রাষ্ট্র যখন শরশয্যায়

আমার জীবন ধারণের অধিকারকে বিসর্জন দিচ্ছি
যদি রাষ্ট্র বন্ধ করে দেয় পায়রাদের ওড়ার বাতাস
আমি বিস্মিত হবো না।
ভীষ্মের মতো আমার রাষ্ট্রও শুয়ে পড়েছে শরশয্যায়
কিছুতেই স্পর্শ করতে পারছে না গণতান্ত্রিক কোমলতা
ভাবছে স্বর্গের কথা, এবেলা মৃত্যুর সময় নয়
আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি আগামীকালও ক্ষমতাসীন সকলে
ওড়াবে মিথ্যার আগুনে ফানুস।
অনেকেই জানে না আমার মায়ের নাম পদ্মা
তার কোলে মাথা রেখে এখনো জেগে থাকি
সেজন্যই আমার বুকের ভিতর আছড়ে পড়ে ক্রোধান্ধ ঢেউ
পরিরা আর ফড়িং হয়ে ওড়ে না
কারণ শেষ ফড়িংটিও নির্মমভাবে নিহত হয়েছে
অক্ষম পাথরেরাতো আর সততা-সক্ষমতার কথা বলবে না
এজন্য প্রয়োজন নিরিবিচ্ছিন্ন গণতন্ত্র
ফড়িং এর খুনিরা উল্লাস করছে
তারা সক্ষম হয়েছে গণতন্ত্রকেও খুন করতে
কুরুক্ষেত্রে কৌরব-পাণ্ডবদের যুদ্ধেতো নির্ধারিত ছিল ফলাফল
আমাদের একটা নৈতিক দায়িত্ব ছিল- ফড়িংদের বাঁচানোর।


৫। সে ছিল

তখন আমার ছিল নাতো কেউ
হৃদয়ে খেলেনি কোন ঢেউ
হঠাৎই তার সাথে দেখা হয়
সে আমার মন করে জয়।

সে হয়ে উঠে আমার জন
আমার বৃক্ষমালা, গহীন বন
আমার উথাল বুকের কাঁপন
হয়ে উঠে আমার আপন।

এখন আমার নেই কেউ
হৃদয়ে খেলে পুরোনো ঢেউ
সে আমার অক্ষয় পুরানো ক্ষত
আর কেউ আসবে না তার মত।


৬। মুকুলের পূর্ণতা

আমের মুকুল ফোঁটে যখন বের হয় অবয়ব
প্রসবের যন্ত্রণায় কেঁপে উঠে গাছের শরীর
তারপর দেখে সবুজ গঠন, কি অপরূপ সব!
এসব সুখানুভূতি ছড়িয়ে যায় মাটির গভীর।

সূর্যটার গর্বিত মুখ, বাতাশের মুখ হাসিভরা
সুখের অনুরণনে গড়াগড়ি খায় পানির অনু
সবার শ্রমে ঘর আলো করেছে সবুজ অস্পরা
এ ভালবাসায় গোলগাল বেড়ে উঠে আমের তনু।

এই যে লক্ষকোটি ঝরে যাওয়ার মাঝে টিকে থাকা
কখনো ঝড়, তীব্র খরা কিংবা পোকার উৎপাত
ভ্রমরের অনুপস্থিতি- সোজা নয় সবই বাঁকা
কে ঝরে যাবে, বুঝা দায় ঘটে আকস্মাৎ প্রপাত
এসব অনিশ্চয়তায় বেড়ে উঠে- আসে পূর্ণতা
সব ঝরে আসে সবুজ উল্লাস, থাকে না শূণ্যতা।


৭। খুনের ইচ্ছা

একটি খুন করতে ইচ্ছে করছে
কিছুতেই বুঝতে পারছি না কাকে খুন করবো
কত কিছু দেখতে দেখতে অক্ষরের চেয়ে দামী হয়ে গেল
একটি আর্জেজ ছুড়ে মারবো সরকারের নাক বরাবর
নাকী বসরার লাল গোলাপ ধূসর করার জন্য
বেছে নেবো যুক্তরাষ্ট্রকে
চাঁদও রাতটাকে রহস্যময় করে তোলে
পিস্তল তাক করবো চাঁদের বরাবর
কষ্ট জাগলেই নীলের কথা মনে পড়ে
একটি আনবিক দিয়ে খুন করবো নীলাকাশ
আর আমার প্রেমিকা শিমুল-
রক্তের মতো ঝরে পড়েছিল আমার হৃদপিণ্ড থেকে
কি করে সে স্বাধীনতা হারিয়ে অন্যের দাসী হয়
নাকী ওর মিষ্টি হাসিটাকে লক্ষ্য করে
ছুড়ে মারবো এক ঝাক ক্ষেপণাস্ত্র
এখন মনে হচ্ছে
আসলে খুন করা দরকার কবিতা
ও আমাকে নিঃসঙ্গ ও খুনে করে তুলছে
পৃথিবীটা কবিতার বাসযোগ্য নয়।


৮। আমার কেবল বুক পুড়ে

হাটতে হাটতেও আমার কেবল বুক পুড়ে
কুয়াশা ভেজা ঘাসে পদচিহ্ন রেখে হাটতে হাটতে
কান্তজিউর মন্দিরের পাদদেশে লিখেছিলাম তুমি আমি
আমাদের দুজনার যৌথ নাম যোগ চিহ্ন দিয়ে।
কুয়াশার চিহ্নতো মুছেছে সাথে সাথেই
নিশ্চয়ই মুছে গেছে, মন্দিরের গায়ে লেখা নাম
নিশ্চয়ই মুছে গেছে, তোমার হৃদয়ে লেখা আমিও
আমিই শুধু মনে রাখি, আমার কেবল বুক পুড়ে।

চিম্বুকের ঢালে, পাশাপাশি বসে ধরেছিলাম হাত
বহু দূরের কুয়াশা আর অস্পষ্ট সাগর স্বাক্ষী রেখে
বলেছিলে, এ হাত ছাড়বো না দুজনেই
কক্সবাজারের বেলাভূমিতে দাঁড়িয়ে, সাক্ষী অস্তগামী সূর্য
সমুদ্রে পা ভিজিয়ে হাটতে হাটতে আমাদের ভালবাসা
দৃঢ় বন্ধনে বেধেছিলাম, অথচ আজ তুমি নেই
আজো আমি বেলাভূমিতে হাটি, আমার কেবল বুক পড়ে।

হাতে হাত ধরে পার হয়েছিলাম হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পায়ে পায়ে
লালনের আখড়ায় পাশাপাশি বসে শুনেছিলাম গান
পাশাপাশি দাঁড়িয়ে দেখেছি, ডালিম গাছের নিচে
জসীম উদ্দিনের কবর- সেই কবর আজো সাক্ষ্য দিবে
তুমিও আমৃত্যু এবং মৃত্যুর পরে থাকতে চেয়েছ পাশাপাশি
করোতোয়া নদের উপর কাপাকাপা সেই ব্রীজ
ঝিরিঝিরি হিমালয়ের কবোষ্ণ বসন্তের বাতাস
অদূরের রেলসেতু সাক্ষ্য দিবে আজো
এই সেতুর সেই ভয়াবহ দূর্ঘটনাও সাক্ষ্য দিবে
তুমি বলেছিলে, ভালবাসি এই সেতু আর তোমাকে।

আমার কেন বুক পুড়ে? আমি কেন পথে পথে হাঁটি?
তুমি তো ভুলে গেছো, শাহজালালের মাজারে
আমরা পাশাপাশি উঠেছিলাম, বেধেছিলাম বিশ্বাসের সুতা
ধুকতে থাকা নয়নতারার ডালে, সেই ডাল আজো সাক্ষী
সাক্ষ্য দিবে বগুড়ার গকুলের বেহুলার বাসর ঘর
আমরা সেই ঘরে শুয়েছিলাম, তুমি বলেছিলে নিচ্ছিদ্র রাখবে
সুতানালী সাপকে কিছুতেই ছুঁতে দিবে না, আমাদের বাসর।
সাক্ষ্য দিবে সেই ছুরিটি, আমাকে ভালবাসার কথা বলতে বলতে
আপেল কাটতে গিয়ে, কেটে ফেলেছিলে হাত।
তুমি কত সহজেই ভুলে গেলে, অথচ আমি ভুলতে পারিনা
হাটতে বসতে শুতে আমার কেবল বুক পুড়ে।।

৯। কারো আপন নই

সারাদিনের ক্লানিত নিয়ে যে ঘরে ফিরে আসি
সে ঘরটিকে আপন মনে হয় না।
যে নারীর সাথে রাতে ঘুমাই, ইচ্ছায় অনিচ্ছায়
শরীরের ক্ষুধা মেটাই বহুকাল যাবৎ
সে নারীকেও আপন মনে হয় না।
মাছে ভরা সানবাঁধানো যে পুকুরে ছিপ ফেলে ধরেছি মাছ
যে নদীর স্বচ্ছ জলে দলবেধে সাঁতার কেটেছি স্রোতে ঢেউয়ে
সে জলাধারকেও আপন মনে হয় না।
বাড়ির দক্ষিণের যে লেংড়া আমগাছটি
বহুদিন রসালো স্বাদ যুগিয়েছে আমাদের
যে গাছ হতে প্রিয় বন্ধুকে আম খাওয়াতে গিয়ে
ডাল ভেঙ্গে নিচে পড়ে জ্ঞান হারিয়েছিলাম
আর চোখ মেলে দেখেছিলাম সবচেয়ে কাঙিক্ষত মুখ
সেই গাছটিকেও আপন মনে হয় না।
নিকটাত্মীয় যারা ভালবেসেছে অকৃত্রিম
প্রিয় বন্ধু- যার পাশে থেকে অতিক্রম করেছি কৈশোর
সেই মেয়েটি- যার চোখে চোখ রেখে পার করেছি উচ্চ শিক্ষা
তাদের কাউকেই আপন মনে হয় না।
পৃথিবীর বা মহাবিশ্বের কোন কিছু বা কেউ আমার আপন নয়
অথবা, হয়তো; বাস-বিক আমিই কারো আপন নই।


১০। তোমার পায়ের ছোঁয়ায়

তুমি কতো অবলীলায় পার হও নয়ানজুলি নির্মোহ
অথচ কি তুমুল কেঁপে উঠে বাঁশের সাঁকো
আর আমি সন্ধ্যা সকাল পার করি অনাবিল কেঁপে কেঁপে
তোমার পায়ের ছোঁয়া রেখে যাওয়া সাঁকোর দিকে তাকিয়ে।

আহা বাঁশের সাঁকো! তুচ্ছ বাঁশের সাঁকো
গর্বিত হয়, চোখ মুদে নিঃশ্বাস নেয় সুখের
আহা নয়ানজুলির নির্বোধ কাদাজল তোমার ছায়া পেয়ে
হতভম্ব হয় রোজ, তারপর চোখ মেলে পদ্ম ফোটায় তুমুল।

বাতাসরা ঘূর্ণি খেয়ে তোমাকে ছুঁতে যায়
তুমি ঝড় ভ্রমেও থমকে দাঁড়াও না সাঁকোর উপর কদাচিৎ
গাছের পাতারা যেই আরেকটু ঝুঁকে তোমাকে দেখার জন্য
আচমকাই খসে পড়ে অর্বাচিন, তোমার পায়ের কাছে
ভ্রক্ষেপহীন তুমি পদদলিত কর অনায়াসে নির্মম
এ সবই নখদর্পনে আমার, প্রতিদিন দেখে দেখে
ঐ সাঁকো আমার বিদ্যালয়, আমার জ্ঞান ভাণ্ডার
তোমার পায়ের ছোঁয়ায় কেঁপে উঠে অর্থহীন প্রতিদিন।


১১। অরণ্যে নয় লোকালয়ে

মেয়েটি নিজের নাম নিয়েছিল অটবী মনস্বিতা
এবং বলেছিল, আর লোকালয়ে নয়,
অরণ্য আমার দেবালয়, অরণ্য হবে আমার ঠিকানা।
এরকম কোমল একজনের নাম কি করে এমন কঠিন হয়
তার অধরে আঙ্গুল ছুঁয়ে বলতে চেয়েছিলাম-
এতো কঠিন নাম তোমার জন্য নয়;
তুমি কোন বিভ্রান্তিতে অরণ্যকে দেবালয় ভেবে
আবাস গড়তে চাও গহীন নির্জনতায়?

হয়তো অরণ্যে চাঁদের গুরু মাখবে সারা গায়
হয়তো রাতের পাখিরা সুমিষ্ট কণ্ঠে মোহিত করবে
হয়তো দক্ষিণা বাতাস শান্ত করবে তোমার উত্তপ্ত শরীর
হয়তো সবুজে সবুজে তোমার চোখ শীতল হবে।

কক্ষচ্যুত নক্ষত্ররা কদিন বাঁচে বলো
রক্ত ঝরতে ঝরতে জানোতো নিস্তেজ হয় হৃদয়
অরণ্যের তীব্র সবুজ, নীলের কষ্টের তীব্রতায় অন্ধকারের রং নেয়
কতো বছর আর বাঁচতো বলো নিঃসঙ্গ রবীনসন ক্রোশো।

এসো তোমার নামটি বদলে দেই
নাম রাখি ঠিকানা, শুধু আমার ব্যক্তিগত ঠিকানা
আমি তোমার কাছেই থাকবো, তোমাকে ঘিরে
তুমি আমার প্রত্যক্ষে লোকালয়েই থাকো, আমার ঠিকানা হয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×