somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মুজিব রহমান
সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

আবিরনদের মৃত্যু থামবে না! বিষয়টি ওআইসি ও জাতিসংঘে উত্থাপন করুন।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এক নিরন্তর মৃত্যুর স্রোতধারায় সৌদিআরবে কর্মরত আমাদের গৃহকর্মীরা৷ আমরা কোন চাপই তৈরি করতে পারছি না৷ কোন মৃত্যুরই বিচার শেষ পর্যন্ত হয় নি৷ এ এক অবিশ্বাস্য ক্রনিক হত্যাকাণ্ড যা যৌন হয়রাণির পরবর্তীতে সংঘটিত হয়৷ সৌদি মুসলিমদের কিছু ভাবাদর্শ গঠিত হয়েছে৷ তারা দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমদের এমনিতেই মিসকিন জ্ঞান করে, সহি মুসলিম নয় বলে মনোভাব পোষণ করে৷ তারা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গৃহকর্মীদের আজো দাসী মনে করে যৌনসম্ভোগ করে৷ তারা দাসীদের ভোগ করাকে ধর্মীয় অধিকার মনে করে৷ আবার অন্য ধর্মের নারীদের পেলে গণিমতের মাল হিসেবেও ভোগ করে৷ এমন নষ্ট, ভয়ানক ও অসভ্য-বর্বর মানসিকতার মানুষদের যতদিন এমন ভুল ভাবাদর্শ থাকবে ততদিন আমাদের মেয়েরা-মায়েরা ধর্ষিতা ও খুন হতেই থাকবে৷ তাদের বিরুদ্ধে বিপুল আন্দোলন গড়ে তুলে বিশ্ববাসীর দৃষ্টিতে আনতে পারলে এবং সৌদি নাগরিকদের দেশের বাইরে পেলেই বিচারের আওতায় আনা গেলেই হয়তো আবিরনরা বাঁচতে পারতো৷ আমাদের রাষ্ট্র আমাদের মায়েদের রক্ষায় সচেতন নয়৷ কোন সতর্কতা অবলম্বন করছে না৷ দায়িত্বহীন ও অপেশাদার আচরণের কারণেই শয়ে শয়ে মা-বোন লাশ হয়ে দেশে ফিরে আসে৷ চাপের মুখে সৌদি আদালত দুঃখপ্রকাশ করলেও তাদের ন্যায় বিচার করার কোন নজির নেই৷ আবিরনকে এ বছরই হত্যা করা হয় নির্মম নির্যাতন করে। আট জন বর্ববর পুরুষ তাকে যৌন হয়রাণি করতো, খেতে দিতো না ও মারধর করতো।

দারিদ্রতা থেকে মুক্তির জন্য আমাদের মা-বোনেরা আল্লাহর উপর ভরসা করে পাড়ি জমায় নবীর দেশে। তারা ধর্মপ্রাণ হিসেবেই গভীর আস্থা রাখে আল্লাহ ও তার বন্ধু নবীর উপর। ভেবে নেয় নবীর দেশে গেলে আল্লাহ তাকে রক্ষা করবেই। দরিদ্র মানুষদের কাছে অনেক খবর থাকে না। তাদের প্রতারকগণ বুঝিয়ে বলে, নবীর দেশে যাচ্ছো- ওখানে পা রাখাও ভাগ্যের ব্যাপার। হজ্ব করতে পারলে সব গুণাহ মাফ। দরিদ্র নারীরা কোথাও কবে কোন ভুল ত্রুটি করেছে তার জন্য মুক্তি পেতে হজ্বের বাসনাও তৈরি হয়। হায়! সেতো জানে না, এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বর্বরদের বাস কোথায়? পৃথিবীর সবচেয়ে নারীলোভী কারা? কারা শিক্ষাবিহনী, জ্ঞানচর্চাবিহীন দানব? কারা কর্মবিমুখ ও যৌন তাড়িত অমানুষ? আল্লাহর ভরসার, নবীর দেশে গিয়েই টের পায়- তারা এসে পড়েছে সাক্ষাৎ দোজখে। দোজখের দানবরা কিলবিল করে তাকে খেতে চায়, ঠকাতে চায়, নিরন্ন রাখতে চায়।

অনেকেই বলে মেয়েরা সৌদী আরব যায় কেন? যায় তো দারিদ্রতা থেকে মুক্তির জন্যই। তাদের রক্ষা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র যেহেতু দরিদ্র নারীদের সকলের জন্য ভূমিকা রাখতে পারে না তাই সুযোগ করে দেয় সৌদি আরব যেতে। একারণেই তাদের রক্ষা করার দায়িত্বও রাষ্ট্রেরই। রাষ্ট্রকেই প্রতিবাদ জানাতে হবে। বিষয়টি তুলে ধরতে হবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ওআইসি ও জাতিসংঘকে জানাতে হবে। বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোকেও সোচ্চার হতে হবে। সৌদির নারগরিদের বর্বরতার বিচার করতে হবে। হাজার হাজার নারীকে তারা অনবরত ধর্ষণ করবে তা মেনে নেয়া যায় না। আবিরনের জন্য সৌদি বিচার বিভাগ ক্ষমা চেয়েছে। হাজার হাজার আবিরনরা ধর্ষিতা হয়ে খুন হয়েছেন। তাদের জন্যও ক্ষমা চাইতে হবে- বিচার বিভাগকে, সৌদি সরকারকে ও সৌদির গ্রান্ড মুফতিকে। একই সাথে ধর্ষক-খুনিদের আনতে হবে বিচারের আওতায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৪
১২টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×