somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ট্রানজিট।

১১ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভারতীয় শাসকগোষ্টীর ট্রানজিটের মতো এমন অন্যায় চাওয়া আজ বাস্তবতা এবং দেশের 'সচেতন' অংশ যেন নির্বাক। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কে গালিগালাজ করে কি লাভ। দেশের লোকজন যদি চুপচাপ থাকে, কত টাকা আয় রোজগার হবে তার হিসাব-কিতাব, স্বচ্ছতা, বা নিজের ভাগেরটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাহলে হাসিনা-খালেদার কি এসে যায়! তাদের ভবিষ্যৎ তো ফকফকা। তাদের বংশধর রাজা-রাণী হতে না পারলে লন্ডন নিউইয়র্কে থাকবে বহাল তবিয়তে। আর আামাদের জন্য আছে বা থাকবে ৩০ লক্ষ অভুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক, ঢাকা শহরের একাংশে ক্রোমিয়াম দূষণের চামড়া কারখানা, পরিবেশের জন্য ভয়াবহ শত শত ওষুধ বা টেক্সটাইল কারখানা, শিপবিল্ডিং বা ব্রেকিং কারখানা। আরও চটকদার মানবসম্পদ রপ্তানির নামে ‘আধুনিক দাস-দাসী বা গুর্খা’ সরবরাহ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন।

আঞ্চলিক সহযোগিতা নাকি এখনকার বাস্তবতা। খুব ভাল কথা। এতো সবসময়ের জন্য দরকারি। আমাদের আশেপাশে যারা থাকে সে সমস্ত মানুষের কথাই নিশ্চয়ই সর্বাগ্রে ভাবা দরকার। আগরতলায় বসবাসকারী কিছু বাঙগালির কথা বাদ দিলে বাংলার পূর্বে সেভেন সিস্টারের জনগণ কি চায় এই ট্রানজিট? তারা মুক্তি সংগ্রামে লিপ্ত। সেনাবাহিনী দ্বারা পুরো এলাকা দখলে রেখেছে ভারতীয় শাসকরা। এমনই অবস্থা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেতে আর্মির এসকর্ট লাগে। কোন উন্নয়নের ছোঁয়া নেই। ঘন্টার পর ঘন্টা মাথার চুল টানলেও একটা ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম মনে পড়ে না। কেন এই দশা? এ ভারত তাহলে আমরা যে ভারত জুজুর ভয় পাই তা নয়। এখানকার জনগণের সাথে ভাল সম্পর্ক নিশ্চয়ই আমাদের দরকার।

বাংলাদেশের উত্তরে দার্জিলিং তারপর নেপাল, চীন। দার্জিলিংয়ের মানুষ গুর্খাল্যাণ্ড আন্দোলন করছে দীর্ঘদিন ধরে, তাছাড়া নকশালবাড়ির আন্দোলন নিশ্চয়ই মনে করিয়ে দেয় এখানকার মানুষ আমাদেরকে চেপে ধরে নি। আর পশ্চিমের পশ্চিমবঙ্গ ভারতে জোড়েশোড়ে চলা মাওবাদী আন্দোলনের এলাকা। এরা তো আমাদেরকে আঁকড়ে ধরা ভারত নয়। তাহলে আমরা কাকে ডরাই বা কাকে ডরানোর কথা বলা হয়? সাধারণ চোখে তাকালেও বুঝা যায় আমরা ভারতীয় শাসকদের থাবার ভিতরে না।

ট্রানজিট দেয়ার ফলে এই প্রথমবারের মতো আমরা আমাদের আশেপাশের মুক্তিকামী মানুষের সাথে বেঈমানী করে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদী থাবায় ঢুকলাম। সেভেন সিস্টারকে সিকিম বানাতে চায় ভারত, কেউ কিছু জানবে না, সবকিছু চুপচাপ থাকবে, ছড়িয়ে পড়বে জলপাই রংয়ের শান্তি। লক্ষ লক্ষ মুক্তিকামী শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে গড়া বাংলার উপর দিয়ে যাবে ভারতীয় সামরিক-বেসামরিক শাসকগোষ্ঠীর রশদ। যারা টুঁটি চেপে ধরবে সেভেন সিস্টারের মুক্তিকামী মানুষদের।

আর আমরা জনগণ আ. লী. বা বা. জা. দলের কাছে দেশের মেন্ডেট দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকি কিভাবে!?

লেখা - ১১ আগস্ট ২০১০।
এডিট - ৬ জুলাই ২০১১।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৯:২০
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×