মানুষ ও প্রকৃতি, বিশেষ করে আবহমান বাংলার লোকজ উপাদান প্রাধান্য পেয়েছে পাঁচ নবীনের সৃজনকর্মে। গতানুগতিক ধারা থেকে তাঁরা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। সবার কাজেই নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যের ছাপ ল্য করা যায়। নিরীার দিকে ঝোঁক রয়েছে তাঁদের।
গতকাল মঙ্গলবার পাঁচ নবীনের ‘পেন্টা ডটস ফাস্ট সিরামিকস্ এক্সিজিবিশন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা তরুণদের সৃষ্টি সম্পর্কে এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের জয়নুল গ্যালারিতে শুরু তাদের যৌথ মৃৎশিল্প প্রদর্শনী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ১১ ও ১৩তম ব্যাচের ৫ শিার্থী শিল্পীরা হলেন আনোয়ার হোসেন জনি, ফওজিয়া আবেদীন তানি, মোহাম্মদ রনি হাবিব, এএসএম আবদুল্লাহ ও শরীফ আহমেদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্য অধ্যাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের মৃৎশিল্পে হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। তরুণরা ঐহিত্যের সঙ্গে আধুনিকতার সমন্বয় করে বৈচিত্রময় সৃষ্টিসম্ভার হাজির করেছেন।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক শিল্পী আব্দুশ শাকুর শাহ, মৃৎশিল্প বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিল্পী রবিউল ইসলাম, শিল্পী দেবাশিষ পাল, শিল্পী ফারুক মোল্লা প্রমুখ।
প্রদর্শনীতে আছে ১১০টি শিল্পকর্ম। শিল্পীদের কাজে লোকশিল্পের প্রভাব দেখা গেল। গ্রাম-বাংলার চিরায়ত উপাদান, প্রকৃতির অনুষঙ্গ, বিশেষ করে ফুল, লতাগুল্ম, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, মাছ, সরীসৃপ ইত্যাদি মৃৎপাত্রে উঠে এসেছে।
প্রদর্শনীতে টেরাকোটার কাজই বেশি। আধা-বিমূর্ত রীতিতে শিল্পীরা মৃৎপাত্রে ফুটিয়ে তুলেছেন লোকশিল্পের বিভিন্ন উপাদান। রাজা-রাণীর অবয়ব, বিভিন্ন আকৃতির মুখোশ এবং কৃষক-কৃষাণীর আঁকা ছবি টেরাকোটায় দেখা গেল। প্রদর্শনীর কাজ সম্পর্কে শিল্পীরা জানান, মৃৎশিল্পর্কে তাঁরা ভাস্কর্য এবং পেইন্টিংয়ের পর্যায়ে নিয়ে যেতে চেয়েছেন।
ব্যাঙ্গালোরে চিকিৎসাধীন কবি সমুদ্র গুপ্তকে প্রদর্শনীটি উৎসর্গ করা হয়। প্রদর্শনী ৩০ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
সবাইকে আমন্ত্রণ রইল। আপনাদের উপস্থিতি নবীন শিল্পীদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




