somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

RAW+AL+BDR-ARMY=225

০৫ ই মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

RAW-এর অগোচরে বাংলদেশের কোন ঘটনাই ঘটানো সম্ভব নয়। আর RAW জানা মানে AL জানা। আসলে BDR-বিদ্রোহ ঘটনা একটা সংবদ্ধ প্রচেষ্ঠার ফল। এখানে পুরো ঘটনার জরিত ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ, RAW, AL, এবং জেঃ মইন ইউ গংরা। এই বিদ্রোহ ঘটনার নিলনকশা তৈরী করেছে ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। অনেক আগে থেকে শুরু করে ঘটনার প্রথম দিন পর্যন্ত তা বাস্তবায়নের কাজ করে গেছে RAW । তারা একটা সংগবদ্ধ কিলিং স্কোয়াড পাঠিয়েছিল। কিছু BDR জওয়ানদের সাথে নিয়ে ঐ কিলিং স্কোয়াড বেশিরভাগ হত্যাকান্ডের কাজ তারা প্রথম দিন দুপুরের মধ্যই সেরে ফেলে। হত্যাকান্ডের পর RAW-এর কিলিং স্কোয়াডটি আলোচনার নামে মন্ত্রী-এমপিদের সাথে আসা RAW-এর কালো কাঁচের শেড দেওয়া গাড়ীতে করে পালিয়ে যায়। এবং RAW-এর কাজ মূলতঃ এখানেই শেষ। এরপর আত্তসমর্পনের নামে নাটক শুরু হয়। এই নাটকের মধ্যদিয়ে সারা রাত থেকে শুরু করে পরদিন দুপুর দুইটার মধ্যেই ঘটনার সাথে সরাসরি জরিত BDR-রা পালিয়ে যায়। এদের পালানোর সুবিদার্থে পিলখানায় মন্ত্রী-এমপিদের ঘন ঘন আসা-যাওয়া, অযথা কালক্ষেপন এবং আশে-পাশে মিটিং মিছিলের ব্যবস্থা করা হয়। আর জে: মইন ইউ গংরা তার নিয়ন্ত্রিত গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বহু আগে থেকেই রাজনিতিবীদদের পিছনে লাগিয়ে দিয়ে নিরবিঘ্নভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ করে দেয়। এবং পরিকল্পনামাফিক গত দুই-তিন মাসে কর্নেল গুলজারের মত বেশ কিছু চৌকশ ও দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাকে BDR-এ বদলি করা হয়।
বিদ্রোহের দ্বিতীয় দিনে তার নির্দেশে হাসিনার বাসভবনে সেনা মোতায়েন করা হয়। তার জানা ছিলো যে, তার এবং সরকারের বিরুদ্ধে হয়তো কু করার চেষ্টা হবে, তারপর পাল্টা কু হবে। এই কু-পাল্টা-কু এর মাঝখানে আরও অনেক সেনা অফিসার (হতে পারে সেটা এইবারের চেয়েও অনেক বেশি) মারা যাবে। এর মধ্যেই RAW-এর পরিকল্পনা মত একদল আর্মিদের হাতে খালেদা, মওদুদ আহমেদ এবং মাহমুদুর রহমানদের মত লোকদের হত্যা করা হবে। সাধারন জনগনকে বুঝানো হবে যে, আর্মির উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য BDR-বিদ্রোহ তারাই ঘটিয়েছে। যার কারনে বিক্ষুব্ধ সেনাসদস্যদের হাতে তাদের নিহত হতে হয়েছে। তারপর খালেদা হত্যাকান্ড ও কু-এর সাথে জরিত থাকার অভিযোগে অনেক সেনাসদস্যকে কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে মৃত্যদন্ড দেওয়া হবে। এবং এরা হবে BDR বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তাদের মত সবাই দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তা। এইভাবেই বাস্তবায়ন ক্লিন করার কাজ।
তারপর শুরু হবে রাজনৈতিক হানাহানি। সেটা নিয়ন্ত্রন করার জন্য Indian সেনাবাহীনির সাহায্য চাওয়া হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিণতি হবে সিকিম। India এই পর্যন্ত সন্তষ্ট থাকতে চাইবে। কিনতু মোসাদ, সিআইএ তাদের পরিকলপনা আরও অনেকদুর এগিয়ে নিয়ে যাবে যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্বশেষ পরিণতি হবে আফগানিস্তান।
যাইহোক সেনাবাহিনীর দেশপ্রেমিক সেনাকর্মকর্তাদের চরম ধৈর্য ও বিচক্ষনতায় এই পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তবে সেই সম্ভাবনা এখনো উরিয়ে দেওয়া যায়না।
তবে এইবার খেলা অন্য স্টাইলে শুরু হয়েছে। তদন্ত তদন্ত খেলা। সেনা সদস্যরা চাইলেও জেঃ মইন থাকাকালীন BDR-বিদ্রোহের ঘটনার ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত কতটুকু সম্ভব হবে তা সময়ই বলে দেবে। হয়ত ভিনদেশি গোয়েন্দা সংস্থা আনা হবে তদন্তের বারোটা বাজানোর জন্য। যারা হবে তাদেরই রক্ষাকবজ। জামাত-বিএনপি কে টার্গেট করে তাদের জরিত করা সম্ভব নাহলে শেষ পর্যন্ত JMB বা অন্য কোন আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনকে দায়ী করা হবে। তারা খুশি হয়েই এই দায়দায়িত্ব নিতে চাইবে কারণ এরা মূলতঃ 'র'-মোসাদেরই সৃষ্ট। কাজেই সত্য ঘটনা প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। বরং হতাহত সেনাকর্মকর্তাদের পরিবারকে নগদ অনুদান, চাকরী, খাওয়া-পড়া ইত্যাদি ব্যবস্থা করার মাধ্য6মে সেনাবাহিনীকে সন্তষ্ট রাখার চেষ্টা করা হবে। অন্যদিকে জনগনের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রসারিত করতে নতুন কোন ঘটনার জন্ম দেওয়া হবে।
এরপর কথিত জংগী মোকাবেলার জন্য ভারতের সাথে টাস্কফোর্স গঠন আরও তরান্বিত হবে। এই ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের অবধারিত পরিণতি আফগানিস্তান।
অনেকে মনে করতে পারেন, নিজ দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আওয়আমীলীগের এই ষড়যন্ত্রে জরিয়ে লাভ কি এবং এতবড় রিস্ক নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের যুক্তি কি। লাভ ও যুক্তি অবশ্যই আছে।
ঘটনাচক্রে জেঃ মইনদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সেনাবাহিনী AL-কে ক্ষমতায় নিয়ে আসলেও AL কোনদিনই সেনাবাহিনীকে তাদের বন্ধু মনে করেনা। বরং সবসময় তাদের হুমকী মনে করে। এই কারনেই ক্ষমতায় আসতে না আসতেই সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তারা অপমানজনক বীল পাশ করেছে, যাতে এই বারের ভুল সংশোধন করে পরবর্তী নির্বাচন সুষ্ঠ করার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী কোন ভুমিকা না নিতে পারে। আর তাছারা 2021 শাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে হলে দরকার একটা লেংড়া নুলা সেনাবাহিনী ।নিহতদের পদ পুরনের মাধ্যমে সম্ভব হবে হাসিনার ছেলে জয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী গড়া সেই সেকুলার সেনাবাহিনী। অন্যদিকে নতুন অফিসার নিয়োগের মাধ্যমে রক্ষিবাহিনীর মত পোষা BDR বাহিনী। শুধু লাভ আর লাভ। আর এদিকে ভারতের সামনে আগ্গাবহ বাংলাদেশের হাতছানি। আমেরিকা-ইসরাইলের টার্গেট সব সম্ভাবনাময় মুসলিম দেশে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের বিস্তার ঘটানো। এবং আফগানিস্তান-ইরাক বানিয়ে তৈল-গ্যাস-বন্দর দখল করা। নিজ নিজ স্বার্থে সবাই যেন একই সূত্রে গাথা।
আর ঝুকি নেওয়ার কথা বলছেন? ঝুকি নেওয়া আওয়ামীলিগের জন্য এক ধরনের নেশা। কমপক্ষে 2021 সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা যেকোন ঝুকি নিতে প্রস্তুত। আর তারা ভাল করেই জানে সেনাবাহিনীর বর্তমান অসহায় অবস্থার কথা। জেঃ মইনরা খুবই দক্ষতার সাথে সেনাবাহিনীকে গনবিচ্ছিন্ন করেছে। তার চক্রান্তে সেনাবাহিনী সাধারণ জনগনসহ জাতীয়তাবাদীদের দীর্ঘদিনের আস্থা হারিয়েছে। এ অবস্থায় সেনাবাহিনী কোন ভাবেই তাদের উপর প্রতিশোধ পরায়ন হতে পারবেনা। তারপরেও যদি কিছু হ্য় তাহলে ভারত-আমেরিকা উদ্ধার করার জন্যতো আছেই। সে ক্ষেত্রে হাসিনার নবজন্ম অবধারিত। জাতীয় পিতার পর জাতীয় মাতার মুকুটের হাতছানি। কাজেই চিন্তা কি।
কিন্তু বিধিবাম। আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী সেই ছকে এইবার আর পা দেইনি। এ অবস্থায় সম্মানিত পাঠক ভেবে দেখুন আমাদের করনীয় কি? আসন্ন বিপর্যয়ের কবল থেকে আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে কি করা উচিত?
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×