পারটেক্স গ্রুপের গাড়িতে বিদেশী বিয়ার ও মদের বোতল উদ্ধার: গ্রেফতার ০১
কে এই হাসেম সাহেব?
---
The News Today.com: রাজারবাগ পুলিশ লাইন অবস্থিত আন্ত:নগর সিটি সার্ভিস “গ্রীন লাইন” টার্মিনাল (টিকেট কাউন্টারের সামনে) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ Partex গ্রুপ এর পানি বোঝাই ডেলিভারী পিক-আপ থেকে প্রচুর পরিমাণে বিদেশী মদের বোতল ও Heineken ব্র্যান্ডের বিয়ার উদ্ধার করে।
গতকাল রাত নয় টা থেকে শুরু করে ঘন্টাব্যাপী শতাধিক উৎসুক জনতার ভীড়ে ও তিন শতাধিক বিভিন্ন রুটের যাত্রীদের সম্মুখে এই অপরাধ উদ্ধার অভিযান ও গ্রেফতার কাজ চলতে থাকে। খবর পেয়ে ও.সি., থানা পুলিশ ও সিভিল ড্রেসে অস্ত্রধারী পুলিশ “গ্রীন লাইন” টিকেট কাউন্টার টার্মিনালে অবস্থিত গাড়িটি আটক করে চারদিকে পুলিশি প্রহরায় ঘেরাও করে রাখে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহলের ছোটাছুটি, দৌড়ঝাপ উৎসুক জনতার চোখকে মোটেক ফাঁকি দিতে পারেনি। টেলিফোনের পর টেলিফোন, উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ রক্ষা করা সহ সবধরনের কাজই চলছিল সমানতালে। মাঝে মধ্যেই পুলিশ জনতাকে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে তাগিদ দেয় এবং কাউকেই নিরাপত্তা বলয়ে প্রবেশ করতে দেয়নি। ইতিমধ্যেই সেখানে উপস্থিত হয়েছেন মিডিয়া সাংবাদিক এবং একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেল। এতে ঘটনার উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পায়।
ফটো সাংবাদিক ছবি তুলছেন দেখে একজন এসে বললেন- ছবি না তুলতে সমস্যা হবে। পরে সাংবাদিক তার পরিচয় তুলে ধরলে তিনি বলেন, যেনো পত্রিকায় ছাপা না হয়। The News Today.com এর পক্ষ থেকে ফটো সাংবাদিক (নাম প্রকাশে অনাগ্রহ) সাহেবের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ছবি তোলা আমার কাজ; ছাপানোর কাজ আমার না, সেটা সংবাদ এডিটরের। “নিউজটা কি পত্রিকায় আসা উচিত নয় জানতে চাইলে তিনি জানান, সাংবাদিক নির্যাতনের কথা, ক্যামেরা ভাঙচুর ও ঘায়েল করা লোমহর্ষক কাহিনী এবং সংবাদ এডিটরদের অসৎ ভূমিকা। আমরা ছবি তুলি এবং তা জমা দেই; ছাপাবেন কি, না ছাপাবেন তা বলতে পারছি না; তবে সম্ভবত ছাপা হবে না।”
এদিকে বেসরকারী টিভি চ্যানেল ’আই’ ঘটনার উপর একটি লাইভ বিবৃতি নিয়েছেন থানা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে; নিরাপত্তা বলয় থাকায় সেখানে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি। তবে বাইর থেকে পর্যবেক্ষণ এ দেখা গেছে পুলিশ গাড়ি থেকে বোতলের পর বোতল মদ এবং অনেকগুলো কার্টুনে বোঝাই করা উল্লেখিত বিদেশী ব্র্যান্ডের বিয়ার এর বোতল নিচে নামায় এবং তা ইস্যু করে। পরবর্তীতে মদ ও বিয়ারের বোতল গুলো পুনরায় গাড়িতে তুলে পুলিশ লক লাগিয়ে দেন এবং ড্রাইভারকে গ্রেফতার করে গাড়িটি থানায় নিয়ে যান।
এদিকে উৎসুক জনতা ঘটনা নিয়ে নিজেদের মধ্যে অনেক আলোচনা-সমালোচনা, তর্ক-বির্তর্কের ঝড় তুলছেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, Partex Group এর স্টাফরা এই ঘটনার সাথে জড়িত। কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রিজার্ভ করা ৩ টি গাড়িতে এই গ্রুপের স্টাফরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন; আর পথিমধ্যেই ঘটল অনভিপ্রেত ঘটনা। অনেকেই আবার জানতে চাচ্ছেন, পত্রিকায় এবং টিভি চ্যানেলে এই নিজউটি আসবে কিনা? কেউবা বলছেন, সরকার মদ আর বিয়ারের লাইসেন্স দিয়েছে তাই অবাধে মদ আর বিয়ার এখন উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের মাঝে ব্যাপকহারে সমাদৃত হয়েছে। নাম গোপন রাখার শর্তে একজন বললেন, পারটেক্স গ্রুপের মালিক জনাব হাসেম সাহেবের জন্য এগুলি কোন ঘটনাই নয়, একটি ফোনই যথেষ্ট। কিছুদিন আগে পপ সম্রাট আজম খানকে দিয়ে এ্যাড করেছিলেন Crown Energy ড্রিংস’র যা মুলত ছিল একটি উন্নতমানের বিয়ার। শুধুমাত্র মোড়কের উপর উল্লেখ ছিল- এ্যালকোহল নেই। কামিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। আর এখন তো মাত্র কতগুলো কার্টুন? তাছাড়া উনি মিডিয়ার সাথে সরাসরি জড়িত এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী, প্রতাপশালী কান্ডারীদের মধ্যেই একজন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



