‘বাচতে হলে জানতে হবে’ (২৯ ডিসেম্বর-৪ জানুয়ারী)
--সাকিব ফারহান
উপরের শিরোণামটি একটি টিভি বিজ্ঞাপনের শ্লোগান। বিজ্ঞাপনটি ঘন ঘন সব টিভি চ্যানেলে দেখা যায়। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে এইডস সচেতনতা তৈরির জন্য করা হয়েছে এটি। তাই মডেলরাও বিভিন্ন শ্রেণী পেশা থেকে এসেছে। বিজ্ঞাপনটি দেখলে খানিকটা আশ্চর্য না হয়ে পারা যায়না। এর মাধ্যমে জোর দেয়া হচ্ছে নিরপদ যৌন সম্পর্কের ওপর। অথচ আমাদের দেশে এইডস যেমন একটি বড় সমস্যা নয় একইভাবে সকল শ্রেনীর মানুষের মধ্যে অবাধ যৌনাচার নেই। ধরতে গেলে বলা যায় দেশের নব্বই শতাংশের বেশি মানুষ এসব ব্যাপারে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে। যেসব যায়গায় অবাধ যৌনাচারের ব্যবস্থা রয়েছে ঠিক সেসব মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করাই যথেষ্ঠ ছিল। সেটাই হতে পারতো এইডস ঠেকানোর সতর্কতামুলক আগাম পদক্ষেপ। তাহলে অপ্রয়োজনে কেন ১৪ কাটি মানুষকে এ ভয়ানক আশংকার মধ্যে সংযুক্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়াই কেন তাদের সাবধান করা হচ্ছে। সচেতন মহলের অনেকের মনে এ প্রশ্ন। শূধু বিজ্ঞাপন নয়। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ন যায়গায় এর বিশাল বিশাল বিলবোর্ডও দেখা যায়। বিষয়টি আমার কাছে স্পষ্ট হলো অন্য আরেকটি বিজ্ঞাপন দেখে। জানিনা কাকতালীয়ভাবে না পরিকল্পনা মাফিক তা করা হয়েছে। একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেখলাম ‘বাচতে হলে জানতে হবে’ এ বিজ্ঞাপনের পরই দেখানো হয়েছে সেটি। দেখা যায় এক যুবক ইঙ্গিতে আহবান জানাচ্ছে এক তরুনীকে। তরুনী যুবতি ভীত সন্ত্রস্ত। রীতিমতো মেয়েটি পালাচ্ছিলো। যুবক তাকে অনুসরন করে মেয়েটির আস্তানায় চলে যায়। মেয়েটির উদ্বেগ আরো বেড়ে গেল। যেই যুবকটি একটি নির্দিষ্ট ব্রান্ডের জন্ম নিরোধক কনডম বের করলো সেই মেয়েটির সব ভয়ভীতি দুর হয়ে চেহেরায় ফুটে উঠলো উচ্ছ্বাস ও আবেগের উন্মাদনা। বুঝতে অসুবিধা হলো না এটি কনডমের বিজ্ঞাপন। আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল ‘বাচতে হলে জানতে হবে’ ১৪ কোটি মানুষকে লক্ষ্য করে ঘন ঘন প্রচার করার উদ্দেশ্য কি। মুলত বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য বিক্রি করতে চায় ১৪ কোটি মানুষের বিশাল বাজারে। এইডস বিরোধী সস্তা শ্লোগান নিয়ে তারা কনডম ফেরি করছে। আমাদের সামাজিক মুল্যবোধ আর ধর্মীয় অনুশাসন সেখানে জলের পানির মতো ভেসে যাচ্ছে। সেগুলোকে থোড়াই কেয়ার করা হচ্ছে।
সূত্র: Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



