আমাদের সিনেমা এখন "অশ্লীলতামুক্ত" (!) হয়েছে। এফডিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর বদরুল আমীন সাব কৈলেন, তিনি বেশ কিছু নায়িকার "প্রবেশাধিকার" বন্ধ কৈরা দিছেন এফডিসিতে। ভালো কাজ। নায়িকারাই (নারী জাতি) আসলে সকল দুষের দুষী। পরিচালক গো কুনু দুষ নাই। তারা তো আসলে ভালো ছবিই বানাইতে চাইছিলেন, কিন্তু নায়িকাগুলাই আসলে বেহায়া। ম্যানেজিং ডিরেক্টরের কথা শুইনা সেইরকমই মনে হৈতাছিল।
বাসদ (বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল) একবার অশ্লীলতা বিরোধী আন্দোলনে নাইমা সিনেমার পোস্টারে মুনমুনের গায়ে কালি মাখার কর্মসূচি দিয়েছিল। আমার কাছে দুইটার মধ্যে কোথায় জানি মিল আছে মনে হয়। মিল আরো অনেক জায়গায় আছে।
রাব কিন্তু একবার এফডিসিতে গিয়েছিল অশ্লীলতা ঠেকানোর জন্য। শ্যুটিং-এর সময় রাব ভাইয়েরা বন্দুক উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিল, তবে কথা হল, তারা মাথাটা খানিক ঝুঁকিয়ে রুকু দেবার মতো করে, আর নিচু থেকে উঁকি দেবার মতো করে, ৩০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি উপরের দিকে তাকিয়ে ছিল, এক্সট্রাদের খাটো খাটো স্কার্ট কিংবা উঁচু করে পরা পেটিকোটের ফাঁক দিয়ে কিছু দেখা যায় কি না তা দেখার জন্য, যেই না দেখা গেল, অবশ্য ওদের কেউ ভুলও দেখে থাকতে পারে, তাছাড়া ক্যামেরার ঠিক পেছন থেকে মারা ওয়াশ লাইটটা তখন কায়দা করে নিবিয়ে দেয়া হয়েছিল, সেজন্যই অল্প আলোয় ছায়া দেখেই সেটাকে গোপন কিছু ভেবে রাব ভাইয়েরা এক চিৎকার করে 'কা-আ-ট!' বলে বসলো। আমাদের রাব ভাই। সবার প্রিয়।
আর বেকুব কনস্টেবলগুলো ভাবলো 'কাট'। বাস, ডাইরেক্ট ক্রসফায়ার। ধুম!
তবে কথা হল, সেই ফায়ার কোন বন্দুক দিয়ে করা হয়েছিল, চামড়ার বন্দুক নাকি রিয়েল অ্যামুনিশন তা আর জানা যায়নি।
আমরা আবার অতো কিছু নিয়ে মাথা ঘামাই না। মাথা থাকলে তো ঘামাবো!
ওই ঝন্টু! ...র পোলা! এদিকে এক কাপ চা দিছ!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:০৮