গত ১৩ ই জুলাই মঙ্গলবার জনৈক ব্যক্তিকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করান তাঁর বড় ছেলে(নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)। রোগী দীর্ঘদিন যাবত আলসারে ভুগছিলেন। ১৩ ই জুলাই দুপুরে তাঁর অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয় অপারেশন করানোর জন্য। সেখানে পরের দিন ১৪ ই জুলাই সকাল ১১ টায় অপারেশন এর জন্য সময় দেওয়া হয়। রোগীকে স্বজনরা এই সময়ের মধ্যেই অপারেশন থিয়েটরে ঢুকিয়ে দেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। সেখানে একই সময়ে আরো একটি অপারেশন চলছিল। অতঃপর যথারীতি বিদ্যুত এর বহির্গমন। কর্তব্যরত ডাক্তার ও কর্মচারীরা অপারেশন করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে অবশ্য জেনারেটর এর মাধ্যমে তা করতে রাজি হন( রাজি করানো হয়েছিল)। যদি ওই সময়ের মধ্যে অপারেশন না করা হয় তাহলে হয়তো রোগী মারা যেত।
ডাক্তার ও কর্মচারীরা চাচ্ছিলেন চলে যেতে, কারন, তাদের নাকি অন্য হাস্পাতালে কাজ আছে!
কিন্তু অপারেশন থিয়েটরে নেয়ার পরই অতিরিক্তি পরিমানে জ্ঞাননাশক(যেটাকে সবাই এনেস্থেসিয়া নামে চেনে) দেয়া হয় এবং রোগীর সজ্বনদের ধারণা রোগী এর পরই মারা যান। অপারেশনে প্রায় ২ ঘন্টার বেশি লাগার কথা, সেখানে ২০ মিনিট পরেই ডাক্তার বেরিয়ে এসে বললেন, ' অপারেশন সফল'।
কিন্তু এর পরও রোগীকে(মৃত ব্যাক্তিকে) স্যালাইন, ব্যথানাশক দেয়া হয়। আমার জানামতে মারা যাওয়ার কিছুক্ষন পরও মৃত ব্যাক্তির শরীর স্যালাইন নেয়ার উপযুক্ত থাকে।
যখন এর ব্যাপারে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওনারা বন্ড সই দিয়েই অপারেশন করিয়েছেন, সেখানে আমার কি করার আছে!
যদি তাই হবে, তাহলে এত টাকা খরচ করে সরকারী হাসপাতাল গুলো পরিচালনা করার কোনো প্রয়োজন আছে কি? আর এভাবে অবহেলার জন্য আর কত প্রাণ অকালে নিশেঃষ হবে?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



