বন্যা কবলিত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি স্থিতিশীল থাকলেও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে জামালপুর দেওয়ানগঞ্জ রেলপথও। বগুড়ার ধুনটে শিমুলবাড়ী বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে ফাটলও দেখা দিয়েছে। তবে আগামী কয়েক ঘণ্টায় এ চার জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির দিকে যাবে বলে বন্যা পূর্বাভাস জানিয়েছেন।অন্যদিকে বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য এবং বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। পানিবন্দি অবস্থায় বেশ কয়েক দিন পার হলেও সরকারি ও বেসরকারি কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছেন না দুর্গতরা।তাই এই মুহুর্তে বন্যা কবলিত এলাকায় পানি বন্দিদের প্রযপ্ত পরিমান শুকনো খাবার এবং পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি প্রয়োজন । পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা তথ্য কেন্দ্রটি এক দিকের পানি কমার আভাস দিলেও গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির কথাও জানিয়েছেন।আর গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার গোয়ালন্দ পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ এবং শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।অন্যদিকে ধরলা নদী সংলগ্ন কুড়িগ্রাম এবং সুরমা কুশিয়ারা নদীর পানি কমায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে সুনামগঞ্জে। ঢাকার আশপাশের বুড়িগঙ্গা, বালু, শীতলক্ষ্যা প্রভৃতি নদীগুলোর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণ কেন্দ্র। কিন্তু একটি বিষয় আমাদের ভুলে গেলে চলবে না তুলনামূলকভাবে পানির উচ্চ প্রবাহ যা কোন নদীর প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম তীর অতিক্রম করে ধাবিত হয়েছ। তীর ছাড়িয়ে পানি আশপাশের সমভূমি প্লাবিত করলে সাধারণত জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর প্লাবনভূমিও যেহেতু মানুষের কাঙ্খিত এবং কৃষিকাজের সহায়কও তাই বন্যাকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা এবং এর ক্ষয়ক্ষতি যাতে সীমা ছাড়িয়ে না যায় বা ক্ষয় ক্ষতি যাতে কম হয় তা লক্ষ্য করা জরুরী বা সেদিকেও পানি নিয়ন্ত্রণ বোর্ড বা কৃতপক্ষকে নজর রাখতে হবে।এছাড়াও প্রতি বছর বন্যা মৌসুমগুলোতে আগাম
ব্যাবস্থা গ্রহণ করিতে হবে যাতে করে তাতে বন্যা কবলিত এলাগুলোতে মানুষ জনের দূরভোগ কম হয় ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৫২