ভালোবাসার খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে মানুষ কবি হয়ে ওঠে।
উৎস :-আলোচ্যংশটুকু "কবিগাধা" আলি নানার,মর্মাহত প্রেম গ্রন্থ থেকে চয়ন করা হয়েছে।
প্রসংগ :- একদা এক যূবক প্রেম নামের আগুন খেলায় মগ্ন হয়ে ঘুমের মতো আয়েশের কাজ বিসর্জন দিয়ে খালি কিচির মিচির করতো সারা রাত।কিচির মিচির শুনে যখন তার আব্বা হুজুর বকা দিতেন তখন বদনা নিয়ে বেরিয়ে পড়তো।
বিশ্লেষণ :- একদা এক গভীর রাতে সে যূবক বদনা হাতে নিয়ে উড়ে উড়ে যাইতেছিলো আকাশপথে।এক হাতে ফোন আরেক হাতে বদনা।এমনই করে সে এগুতে থাকলো মেইল শয়েক উড়ার পর সে চলে গেলো প্রেম পূরিতে।আসলে অপাশের হট কথা-বার্তা শুনে যূবকেত মাথার মগজ কর্ম-দক্ষতা হারিয়ে ফেলেছিলো তাই সে মেইল শয়েক উড়ে চলে গিয়েছিলো।যখন সে বুঝতে পারলো সে একেবারে ভিন্ন একটা যায়গায় এসে পড়েছে তখন বড্ডো লেইট অর্থাৎ দেরী হয়ে গেছে।সে ওপাশের বালিকাটিকে জানাতে ইতস্তত করছে আর কাঁপা কাঁপা শরীরে ঘাম ঝড়ছে।এমন সময় এলেন প্রেমাত্মা(প্রেম+আত্মা)এসে বলেন কে হে বাছা তুমি?প্রেম পূরিতে এসে গেছো অনুমতি না নিয়ে!এতো বড় স্পর্ধা তোমার!দেখি তুমার লাইসেন্স।যূবক কিছুই বুঝতে পারেনি সে পকেটে হাত দিলো অতঃপর কাগজ একটা পেলো যেটা ছিলো তার বাই সাইকেলের লাইসেন্স,সে ভেবেছিলো অন্ধকারে হয়তো এটা দিয়েই চালিয়ে নেয়া যাবে!কিন্তু হায়!এরাতো ট্রাফিক পুলিশ নয়।খুব ঝাড়ি দেয়া হচ্ছে যূবককে সাথে শাস্তির জন্য প্রস্তুতি চলছে।ইতিমধ্যে চলে আসলো রাজ-কণ্যা।আর যূবক গাইতে লাগলো"আমার স্বপ্নে দেখা রাজ কণ্যা থাকে"রাজকণ্যা ফিক করে হেসে দিলো। এটা দেখে রাজকণ্যার বাবা যারপরনাই হলেন আনন্দিত।অতঃপর নির্দেশ প্রদান করলেন এই বাবাজিকে শাস্তি নয় লাইসেন্স দিয়ে দাও।সাথে যূবককে বললেন বাবাজী তুমি এসো নিয়মিত আমাদের এই প্রেম পুরিতে,যূবকত খুশীতে অস্থির।ততোক্ষণে চলে আসলো ৫ সুতা গরম লোহার শিক।জাফরানরঙা সেই শিক দেখতে দারুণরকম সুন্দর লাগছিলো। কায়দা করে সেই দারুণ সুন্দর শিক দিয়ে লাইসেন্স এর শিল মেরে দেয়া হলো আরকী।সেই চাপ্পরের কী দাপট!সর্বনাশ।
যূবক বাড়িতে আসলেন কিন্তু বসতে পারলেননা উপুড় হয়েই ঘুমিয়ে থাকলেন আর লিখলেন।
উপরিউক্ত লাইন দুইটি।
হায়রে"ফোন"
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৯