somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হে তরুন! আপনাকে কুরআনের দিকে ডাকছি>>>>>>>>>>>

০৬ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্বজাহানের পালনকর্তা মহামহিম আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এক চিরন্তন বানী পাঠিয়েছেন এ বসুন্ধরায়। সত্যিই এক অভূতপূর্ব ভাষার মিশ্রন এ বানীর প্রতিটি লাইনে। আল কুরআন সুদীর্ঘ ২৩ বছর ধরে নাযিল হয়েছে। কী সাবলীল উপস্থাপনা ভংগী। রাসূল (সাঃ) যখন তেলাওয়াত করতেন তখন মক্কার কাফেররাও মনোযোগ দিয়ে শ্রবন করতো। হযরত উমর ফারুক (রাঃ), যার তরবারি রাসুল (সাঃ) এর মাথা কাটার জন্য উত্থিত হয়ে গর্জে উঠেছিল রাসুল (সাঃ) এর পবিত্র রক্তে ভুমি লাল করার বাসনায়। সেই উমর কুরআনের বানী পাঠ করে অশ্র“বানে দুচোখ ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। ভগ্নিপতি ইমরানকে বলেছিলেন আমাকে নিয়ে চলো নবীজি (সাঃ) এর কাছে। এরপরই তিনি কুরআনের বিধানকে মনেপ্রাণে কবুল করে নিয়েছিলেন।
আমিরুল মুমেনিন হযরত উমর (রাঃ) রাসুল (সাঃ) এর পায়ের কাছে তরবারী রেখে বলেছিলেন , যে তরবারী ইসলামের বিরুদ্ধে উদ্দত হয়েছিলো আজ থেকে সে তরবারী ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়বে। কতো আবেগে নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের খাস সন্তুষ্টি অর্জনের বাসনায়। নিখাদ ছিলো সে বাসনা। রাসুল (সাঃ) এর অন্তরে জায়গা করে নিয়েছিলেন উমর ফারুক রাঃ। আর কী চাই? এইতো সব চেয়ে বড়ো পাওয়া।
কুরআন এমন একটি গ্রন্থ যা তেলাওয়াত করলে অন্তর পবিত্র হয়ে যায়। কুরআনকে যে ভালোবাসেনা সে সবচেয়ে বড়ো ভূল করে। কুরআনের হাফেজদের মূল্য আল্লাহর কাছে অনেক বেশী। পৃথিবী সৃষ্টির পূর্ব থেকে ধ্বংস পরবর্তী সময়ে সকল ঘটনা এই কুরআনে লিপিবদ্ধ আছে। মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদেরকে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব জানাতে চান তাইতো তিনি তার প্রিয় হাবিবের মাধ্যমে এ কুরআন নাযিল করেছেন যাতে মানুষ ঈমান আনে। মহান আল্লাহ সূরা ক্বামারে বলেছেন ঃ- “আমরা এ কুরআনকে উপদেশ গ্রহণের সহজ উৎস বানিয়ে দিয়েছি উপদেশ গ্রহনকারী কেউ আছ কি?”
কতো স্ন্দুর আহবান!
চরম সৌভাগ্য মানব জাতির জন্য। স্রষ্টার অসীম নেয়ামতের আচ্ছাদান চারদিকে বেষ্টন করে রেখেছে। কী অসীম দয়া সেই মহান অস্তিত্বের। গফুর ও গাফফার নাম ধারণ করে বুদ্ধিবৃত্তি সম্পন্ন মানবজাতিকে ভালোমন্দ বেছে নেয়ার স্বাধীন ইচ্ছা দিয়েছিলেন। অপরাধ করলেও সাথে সাথে শাস্তি দিচ্ছেন না। সুযোগ দেন যেন তার প্রিয় বান্দা তওবা করে আবার তাঁর কাছে ফিরে আসে। আল্লাহ তায়ালা সুরা আল বাকারায় বলেছেন, “আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হইওনা। নিশ্চয় আল্লাহ গুনাহ মাফ করে দিবেন”।
আল্লাহ তার সমস্ত সৃষ্টিজগতকে ভালোবাসেন। তার সৃষ্টিকে কেউ ভালোবাসলে তিনি খুশি হন। কেউ অবজ্ঞা করলে তিনি কষ্ট পান। হাশরের ময়দানে গরীব ভূখা নাঙ্গাদের পর হয়ে ধনীদেরকে বলবেন আমি তোমাদের দুয়ারে গিয়েছিলাম। সেদিন আমি ছিলাম ক্ষুদার্ত কিন্তু তোমরা আমাকে খেতে দাওনি। তখন সে বান্দাহ অবাক হয়ে বলবে ইয়া আল্লাহ আপনিতো ক্ষুধা-তৃষ্ণার উর্ধ্বে, তন্দ্রা ও নিদ্রা কোন কিছুই আপনাকে স্পর্শ করতে পারে না। তখন আল্লাহ বলবেন আমার অমুক বান্দা অমুক দিন তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল তুমি তাকে ফিরিয়ে দিয়েছো। সেদিন তুমি আমার নেয়ামত থেকে গাফেল ছিলে। কতটা বিনয় বিশ্বজাহানের অধিপতির। তিনি দূর্বলের পাশে থাকেন। সবারই উচিত তাঁর প্রতি ভরসা করে সকল বিপদে-আপদে ধৈর্য্য ধারণ করা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেই তৌফিক দান করুন।

কুরআন জ্ঞান অর্জনকে গুরুত্ব দেয় ঃ-
“ইক্বরা বিসমি রাব্বিকাল্লাযি খালাক। খালাকাল ইনসানা মিল আলাক। ইক্বরা ওয়া রব্বুকাল আকরাম। আল্লাযি আল্লামা বিল কালাম। অর্থ ঃ- পড়ো তোমার প্রভূর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। পড়ো তোমার প্রভূর নামে যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ। যিনি কলম দিয়ে শিা দিয়েছেন। (সুরা আলাক-১-৪)।
মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা নবী মুহাম্মদা(সাঃ) কে সর্বপ্রথম এই নির্দেশই দিয়েছেন। এটাই ছিলো প্রথম ওহী। জিব্রাইল (আঃ) এসে রাসুলকে সাঃ বলেছিলেন, পড়ু–ন। রাসুল (সা:) বলেছিলেন, আমিতো পড়তে জানিনা। জিব্রাইল আঃ তখন নবীজীকে সাঃ শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছিলেন। এভাবে তিনবার পড়তে বলেছিলেন তিনবারই দরোজা উম্মুক্ত হয়ে গিয়েছিল। এ বিশ্ব জগতে তার মতো জ্ঞানী আর কেউ হবে না কখনো না। তাঁর মতো নিষ্পাপ আর কেউ কখনো হবে না।
ইক্বরা শব্দ দিয়েই আল কুরআন জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরেছে। জ্ঞান অর্জনের জন্য পড়ার কোন বিকল্প নেই। তবে তা পড়তে হবে মহান প্রভূর নামে। যার কাছে জ্ঞান ভাণ্ডার রয়েছে। তিনি যে আলিমুল গায়েব। তাঁর অস্তিত্বের পরিপন্থি জ্ঞানের কোনই মূল্য নেই । যে জ্ঞান পৃথিবীতে অনেক বড় মর্যাদা এনে দিতে পারে কিন্তু আখেরাতের মূল জীবনে কোন কাজেতো আসবেইনা বরং তা দূভাগ্যের কারণ হতে পারে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে জ্ঞান দান করুন। জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব বুঝাতে প্রিয় নবী সাঃ বলেছেন “জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীন দেশ পর্যন্ত হলেও যাও”। জ্ঞান অর্জনকারীর জানার কোন শেষ নেই। কারণ আল্লাহ এতো নিয়ামত দিয়েছেন এই পৃথিবীতে তার সবটা জানতে একজন মানুষের কতো বেশী সময় লাগতে পারে তা একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন।
এই পৃথিবীর জ্ঞান বিজ্ঞান মনোহর দৃশ্য এসবের প্রতি মানুষের অনুসন্ধানের অন্ত নেই। গভীর থেকে অতল গহবরে পৌঁছে যেতে চায়,চাঁদে গিয়ে বসতি গড়তে চায়। মঙ্গলগ্রহে জনবসতি স্বপ্ন দেখে ইন্টানেটের মাধ্যমে পূরো পৃথিবীকে জানতে চায়। এ সবই ঠিক আছে। সৌরজগত, পৃথিবী অন্যান্য গ্রহ উপগ্রহ সবকিছূর গবেষণা চলছে। সফলতাও এসেছে এটাও ঠিক। কিন্তু মানুষ যেসব নিয়ে গবেষণা করছে, সে সব যে স্রষ্টা বানাচ্ছে তাঁকে জানার জন্য কেন আগ্রহবোধ করে না? কেন এখানেই তাদের হীনমন্যতা? স্বাধীন ইচ্ছা নিয়ে তার ভূল ব্যবহার করছে এ জ্ঞান তাদের কিছুতেই কাজে আসছেনা। বিরাট ভূলের মধ্যে পড়ে থাকছে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর। এমন কি এ ভূলের মধ্যেই তাদের মৃত্যু এসে পাকড়াও করছে। আফসোস! এ মৃত্যু তাদের সফলতার বদলে পুরোপুরি ব্যর্থতাই এনে দেয়। আল্লাহ এরুপ ব্যক্তিদেরকে এতো শাস্তি দিবেন যে, কল্পনায় আসলে গায়ে কাটা দিয়ে উঠে।পৃথিবীর সকল নেয়ামতের মালিকের নাফরমানী করার মতো ধৃষ্টতা প্রদর্শনের সাহস যাদের হয় তাদের অবশ্য অবশ্যই টের পাওয়া উচিত পৃথিবীর একমাত্র অধিপতির ক্ষমতা সম্পর্কে। আল্লাহ অবশ্যই বুঝিয়ে দেবেন।
“বল অন্ধ ও চুস্মান কি সমান হতে পারে? আলোও অন্ধকার কী এক ও অভিন্ন হতে পারে? ” (রাদ-১৬)।
আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে, জ্ঞান সম্পর্কে, নেয়ামত সম্পর্কে যার জ্ঞান নেই সেতো অন্ধই। সে পৃথিবীর যতোবড় ডিগ্রীধারী হোকনা কেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে তার কোনই মূল্য নেই। আর মালিকের কাছে যেটার মূল্য নেই সেটা কখনো সফলতা আনতে পারে না। এ চর ব্যার্থতা।
নাস্তিক্যবাদীদের জন্য শিক্ষা ঃ
আল্লাহর অস্তিত্বকে যারা অস্বীকার করে তাদেরকে নাস্তিক বলা হয়। নাস্তিক লোকেরা সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করেনা। তারা ভাবে সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছু নেই। এই পৃথিবী আপনা-আপনি সৃষ্টি হয়েছে। তাদের এ ধারণা ব্যার্থতা ছাড়া তাদের জীবনকে কিছুই দিতে পারে না। এটা তাদের ধৃষ্টতা প্রদর্শন ছাড়া আর কিছুই নয়।
তারা বলে সৃষ্টিকর্তা যদি থাকতোই তাহলে মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য দেখা দিত। তাদের দাবী প্রসঙ্গে বলতে হয় বিশ্বাস অবিশ্বাসের কথা তো সেজন্যই বলা হয়েছে, যা দেখা যায় না তাই বিশ্বাস করতে হয়। যা দেখা হলো তাতে তো আর বিশ্বাসের কিছু থাকে না।। উদারহরণ স্বরুপ ঃ-
কেউ কাউকে বললো আমি তোমাকে ভালোবাসী। এ কথাকে বিশ্বাস করতে হবে কারণ ভালোবাসা দেখা যায় না। এটা একটা অনূভূতির কথা। কিন্তু মহান আল্লাহ এর এতো বেশি নেয়ামত এ পৃথিবীতে তা এক মহান শক্তিধর অস্তিত্ব ছাড়া সম্ভব নয়।
নাস্তিক্যবাদীদের মধ্যে ডারউইন নামে একজন নাস্তিকের মতবাদটি গভীর প্রভাব ফেলে। ডারউইনের মতবাদে এ সৃষ্টি জগত আপনা-আপনি সৃষ্টি হয়েছে। এবং নির্দিষ্ট মেয়াদ পরে আপনা-আপনি ধ্বংস হয়ে যাবে। তার ধারণা প্রতিটি জীব কিছু জড় পদার্থের সংমিশ্রনে তৈরি হয়েছে। সে জীব যে পদার্থ থেকে তৈরি হয়েছে নির্দিষ্ট মেয়াদ পরে আবার সেই পদার্থেই পরিণত হবে। গাছপালা, মানুষ সবকিছুই আপনা-আপনি সৃষ্টি হয়।
ডারউইনের মতবাদ বিশ্বাসীদের বলতে হয় যে, আপনা-আপনি সৃষ্টি হলো সে নিশ্চয়ই জানবে সে কীভাবে সৃষ্টি হলো। তাহলে তারা বলুক তারা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে? পারবে না বরং এড়িয়ে যাবে। আসলে এদের সবকিছুই এক ধরনের পিছলামি যা তাদের চোখের মনিতে ছানি ফেলে রেখেছে। না তার সত্যতা দেখতে পারে ,না পারে নিজেদের ধারণাকে প্রমাণ করতে। সত্য বিমুখ ওরা, ওদের অন্তরে মহান রাব্বুল আলামিন মহর মেরে দিয়েছেন। ফলে তারা না পায় দেখতে না পায় শুনতে। গোড়ামরে চরম পর্যায়ে পৌঁছে নিজেদেরকে মূলত মূর্খতার মধ্যে ফেলে রাখে। “যারা নিজেদের অদৃশ্য আল্লাহকে ভয় করে, নিশ্চয়ই তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও অতিবড় সুফল।”
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে শুধু বিশ্বাসই নয়, তাকেঁ ভয় করতে হবে। একমাত্র তাকেই ভয় করতে হবে। ভয় করতে হবে তাঁর শাস্তিকে। কিন্তু নাস্তিক্যবাদীরা তাঁকে বিশ্বাসতো করেইনা ভয়তো দুরের কথা।
তারা আরো বলে জ্বীন বলতে কিছুই নেই। অথচ আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন ঃ- “ওয়ামা খালাকতুল জিন্না ওয়াল ইনসা ইল্লা লিইয়াবুদুন।” অর্থ আমি জ্বীন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি আমার ইবাদতের জন্য। এই কুরআনকে ভালোভাবে বুঝলে নাস্তিক্যবাদীরা এ ধরনের চিন্তা করতে পারতো না। এ ধরনের অবিশ্বাসীদের জন্য আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে জাহান্নামে। যা পৃথিবীর আগুন থেকে ৭০গুন বেশি তাপ। কতো ভয়ংকর সে শাস্তি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন।
আল কুরআন ঐক্যের কথা বলে ঃ
ইন্নাল্লাহা ইউহিব্বুল্লাযিনা ইওকাতিলুনা ফি- সাবিলীহি সাফ্ফান কা আন্নাহুম বুনইয়ানুম মারসুস। “অর্থ ঃ আল্লাহ তো ভালোবাসেন সেই সব লোকদের যারা তাঁর পথে কাতার বন্দী হয়ে লড়াই করে যেন তারা সীসা ঢালা প্রাচীর।” (সূরা ছফ-৪)।
আল্লাহ সেইসব লোকদের ভালোবাসেন, যারা কাতার বন্দী হয়ে লড়াই করে। কাতার বন্দী অর্থ হলো এক কাতারে একই সারিতে। মূল ভাবার্থ একদল হয়ে যারা আল্লাহর পথে চলে। মানুষকে আল্লাহর পথে আহবান করে আর প্রয়োজন হলে একই সাথে আল্লাহর শত্র“দের যমিন থেকে উৎকাত করতে লড়াই করে। আল্লাহ তাদের ভালবাসেন। আল্লাহ সবাইকে ভালোবাসেন এটা সত্য কিন্তু যাদের কথা উল্লেখ করে বলেছেন তারা কতইনা সৌভাগ্য। ক্লাস ফোর কিংবা ফাইভে পড়ে এসেছি “দশের লাঠি একের বুঝা” শিরোনামের ভাবসপ্রসারণ। সেখানে আছে, একটা কাজ একজন মানুষ যদি দশদিনে করতে পারে দশজন লোক সেটি একদিনেই করতে পারে।
সত্যিইতো একথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। একতা যার ইংরেজী প্রতিশব্দ (Unity) এই একতা না থাকলে জীবনে অনেক অর্জনই অসম্ভব হয়ে পড়বে। কেননা একতাই বল। এ সম্পর্কে মোয়াজ ইবনে যাবাল রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ বলেছেন “মেষ পালের বাঘের ন্যায় মানুষের শত্র“ হলো শয়তান। মেষ পালের মধ্য থেকে বাঘ সেই মেষটিকে ধরে নিয়ে যায় যে একাকী বিচরণ করে। কিংবা খাদ্যের অন্বেষনে পাল থেকে বিছিন্ন হয়ে যায়। সাবধান, তোমরা দল ছেড়ে দুর্গম গিরি পথে যাবে না এবং তোমরা অবশ্যই দলবদ্ধ ভাবে সাধারণের সাথে থাকবে।” (আহমদ)
একটি প্রাণী বা মানুষ সে যদি আলাদা হয় তার পরিবার কিংবা তার প্রতিবেশীদের মধ্যে কারো সাথে যদি কোন সম্পর্ক না থাকে তাহলে তার সাথে শত্র“তা করতে ভালোবাসে। কেননা তার পক্ষ হয়ে কেউ কথা বলার নেই। আর একাকী থাকাটা মানুষের স্বভাবজাত নয়। একা কেউ আসলে থাকতে পারে না। শতকরার মধ্যে দুইজনের কথা আলাদা।
এরিস্টটল বলেছেন ঃ “মানুষ সামাজিক জীব। যে সমাজে বসবাস করে না সে পশু না হয় দেবতা”। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার শ্রেষ্ঠ জীবদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন “আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ কর পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইয়োনা।” (সুরা আল ইমরান -১০৩)।
আল্লাহ একতাবদ্ধ জীবনকে এতো বেশী ভালোবাসেন যার উদারহরণ দেয়া প্রয়োজন। একজন মুসলমান ভাই তার অপর মুসলমান ভাইয়ের সাথে কথা কাটাকাটি বা কোন বিষয় নিয়ে তিনদিনের বেশী কথা না বলে তাহলে মুসলমানের খাতা থেকে তার নাম উঠে যাবে। আর যে আগে কথা বলবে সে পুরস্কার পাবে। আল্লাহ তাকে পুরস্কার দিবেন। এরপরে আছে, আত্মীয়তার সম্পর্কে ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দাহাদেরকে দলবদ্ধ দেখতে ভালোবাসেন। অতএব সকলকে দলবদ্ধ হয়ে চলা উচিত।মহান আল্লাহ আমাদের কুরআনের পথে চলার তৌফিক দান করুন।
৯টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×