somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অজানা পথের তরী

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯ তম পর্ব:
আজ জুলাই মাসের ১৫ তারিখ, আত্মীয়-স্বজন সকলেই প্রায় উপস্থিত বিয়ের আয়োজনও প্রায় শেষ। এখন আহমাদের বাড়ী থেকে ১৫জন বরযাত্রী রওনা হয়েছে, ৪ঘণ্টা জ্যামসহ কাটিয়ে সবাই কেমন হাপিয়ে উঠেছে। যা হোক, একপর্যায় তারা কনের বাড়ী অর্থাৎ ফারিহাদের বাড়ী পৌছলে, তারাও তাদের বরণ করে নিল। বিয়ের আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করে, ফারিহার বাবা-মায়ের সামনে ফারিহাকে নগদ ৪০০০০১টাকা দেনমোহর দিয়ে দিল। আহমাদের পক্ষে উকিল বাবা হলেন, আহমাদের বড় মামা। এভাবে কাজ শেষ ও দোআ করতে বেশ দেরী হয়ে গেল অর্থাৎ বিকেল ৩টা। এভাবে বিয়ে পড়ানো হয়ে গেলে সকলেই গোল করে বসে পড়লো। মহিলাগণ একপাশে আর পুরুষগণ অন্যপাশে কিন্তু বর ও কনে এবং আহমাদের বাবা-মা ও ফারিহার বাবা-মা একই সাথে বসলো। রান্নার সবাই প্রশংসা করল, দেখতে দেখতে খানার পর্ব শেষ হলে কিছুসময় অপেক্ষা করে সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আহমাদ রওনা হল। আবার সেই দীর্ঘ জ্যাম পার হয়ে যেতে হবে কিন্তু ফারিহাকে বিয়ে করে আহমাদের বরকত শুরু হয়ে গেল। যেরকম, পাক্কা ২ঘণ্টার মাঝে নিজেদের বাড়ী পৌছে গেল। বাসায় যখন পা রাখল তখন ঘড়িতে রাত ৯টা বাজে। বাসায় ফিরে আনুষঙ্গিক কাজ সাড়তে আরো ১ঘণ্টা। এরপর রাতের খাওয়া এবং বাবা-মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিজেদের রুমে যাওয়া। আহমাদ পরে ঢুকে তার আগে দোআ পড়ে নেয়, বিছানায় সে যেরকম ছক এঁকেছিল তা ফারিহার সাথে share করে। কিছু কিছু জায়গায় ফারিহা বলে এভাবে না করে ওভাবে করলে ভালো হয়। এভাবে প্রয়োজনীয় আলোচনা সেড়ে নিল আর চটজলদি শুয়ে পড়ল। ক্লান্তি কাটার জন্য যে পরিমাণ ঘুম প্রয়োজন সে পরিমাণ ঘুমিয়ে শেষ রাতে দুজন উঠে নামাজ পড়ে আর চোখের পানি ছাড়ে। এভাবে একপর্যায় ফজরের আযান দেয় আর নামাজ পড়ার মাধ্যমে তাদের বাসর রাত পার করে। আর তারা উভয়েই আল্লাহর কাছে রহমত ও বরকত চায়।।

http://www.somewhereinblog.net/blog/Naeeim/editpost/30056549/draft/0
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×