১৯ তম পর্ব:
আজ জুলাই মাসের ১৫ তারিখ, আত্মীয়-স্বজন সকলেই প্রায় উপস্থিত বিয়ের আয়োজনও প্রায় শেষ। এখন আহমাদের বাড়ী থেকে ১৫জন বরযাত্রী রওনা হয়েছে, ৪ঘণ্টা জ্যামসহ কাটিয়ে সবাই কেমন হাপিয়ে উঠেছে। যা হোক, একপর্যায় তারা কনের বাড়ী অর্থাৎ ফারিহাদের বাড়ী পৌছলে, তারাও তাদের বরণ করে নিল। বিয়ের আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করে, ফারিহার বাবা-মায়ের সামনে ফারিহাকে নগদ ৪০০০০১টাকা দেনমোহর দিয়ে দিল। আহমাদের পক্ষে উকিল বাবা হলেন, আহমাদের বড় মামা। এভাবে কাজ শেষ ও দোআ করতে বেশ দেরী হয়ে গেল অর্থাৎ বিকেল ৩টা। এভাবে বিয়ে পড়ানো হয়ে গেলে সকলেই গোল করে বসে পড়লো। মহিলাগণ একপাশে আর পুরুষগণ অন্যপাশে কিন্তু বর ও কনে এবং আহমাদের বাবা-মা ও ফারিহার বাবা-মা একই সাথে বসলো। রান্নার সবাই প্রশংসা করল, দেখতে দেখতে খানার পর্ব শেষ হলে কিছুসময় অপেক্ষা করে সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আহমাদ রওনা হল। আবার সেই দীর্ঘ জ্যাম পার হয়ে যেতে হবে কিন্তু ফারিহাকে বিয়ে করে আহমাদের বরকত শুরু হয়ে গেল। যেরকম, পাক্কা ২ঘণ্টার মাঝে নিজেদের বাড়ী পৌছে গেল। বাসায় যখন পা রাখল তখন ঘড়িতে রাত ৯টা বাজে। বাসায় ফিরে আনুষঙ্গিক কাজ সাড়তে আরো ১ঘণ্টা। এরপর রাতের খাওয়া এবং বাবা-মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিজেদের রুমে যাওয়া। আহমাদ পরে ঢুকে তার আগে দোআ পড়ে নেয়, বিছানায় সে যেরকম ছক এঁকেছিল তা ফারিহার সাথে share করে। কিছু কিছু জায়গায় ফারিহা বলে এভাবে না করে ওভাবে করলে ভালো হয়। এভাবে প্রয়োজনীয় আলোচনা সেড়ে নিল আর চটজলদি শুয়ে পড়ল। ক্লান্তি কাটার জন্য যে পরিমাণ ঘুম প্রয়োজন সে পরিমাণ ঘুমিয়ে শেষ রাতে দুজন উঠে নামাজ পড়ে আর চোখের পানি ছাড়ে। এভাবে একপর্যায় ফজরের আযান দেয় আর নামাজ পড়ার মাধ্যমে তাদের বাসর রাত পার করে। আর তারা উভয়েই আল্লাহর কাছে রহমত ও বরকত চায়।।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Naeeim/editpost/30056549/draft/0
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩২