somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্রিকেট-অদ্ভূত কিছু শট (অনেকগুলো ছবি, লোড হতে একটু সময় নিতে পারে)

১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৫:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমরা যারা ক্রিকেট দেখি তাদের কেই না চার বা ছয় দেখতে পছন্দ করি। যুগ যুগ ধরে ক্রিকেটে এসেছে নানা পরিবর্তন। আর সেই সাথে বদলেছে খেলোয়ারদের মানসিকতা, খেলার ধরন, অভ্যাস, শট.........প্রভৃতি। টুয়েন্টি-টুয়েন্টি আর ওয়ানডে ক্রিকেটের এই যুগে আধুনিক ক্রিকেটারদের মূল লক্ষ্য কম বল খেলে যতোটা সম্ভব বেশি রান করা। আর সেই প্রয়াস থেকেই জন্ম হয়েছে অদ্ভূত সব ক্রিকেট স্ট্রোকের.......

রিভার্স সুইপ (Reverse Sweep):

রিভার্স সুইপ হচ্ছে একধরনের সুইপ শট, তবে উল্টো দিকে। আমরা সচরাচর যে সুইপ শট দেখি সেটা হচ্ছে ব্যাকফুটের হাঁটুর উপর ভর দিয়ে, ব্যাকফুট মুড়িয়ে, পিচের উপর ঝুঁকে ফ্রন্টফুট সামনে দিয়ে পিচের সাথে সমান্তরালভাবে এমনভাবে ব্যাট চালানো যাতে বল শট খেলার পর বল ফাইন লেগ ও লং লেগ এলাকার দিকে যায়।


ছবি: প্রথাগত/অর্থোডক্স সুইপ শট-ইউনুস খান (ডানহাতি)


ছবি: প্রথাগত/অর্থোডক্স সুইপ শট-মাইকেল হাসি (বামহাতি)


কিন্তু রিভার্স সুইপের ক্ষেত্রে বোলার বল ডেলিভারি করার সামান্য পূর্বে ব্যাটসম্যান মুহূর্তেই সম্পূর্ণভাবে ঘুরে গিয়ে ও ব্যাটের গ্রিপ পরিবর্তন করে প্রায় (প্রায় বলার কারন আছে) উল্টো স্ট্যান্স গ্রহন করেন এবং এমনভাবে সুইপ শটটি খেলেন যাতে বল কাভার ও থার্ডম্যানের মাঝে কোন এলাকায় যায়। ব্যাপারটা অনেকটা এভাবে কল্পনা করা যেতে পারে- ডানহাতি ব্যাটসম্যানের রিভার্স সুইপ বামহাতি ব্যাটসম্যানের সাধারণ/অর্থোডক্স সুইপ। আবার তেমনিভাবে বামহাতি ব্যাটসম্যানের রিভার্স সুইপ ডানহাতি ব্যাটসম্যানের সাধারণ/অর্থোডক্স সুইপ।


ছবি: রিভার্স সুইপ-ইউনুস খান (প্রকৃতপক্ষে ডানহাতি)


ছবি: রিভার্স সুইপ-শচীন টেন্ডুলকার (প্রকৃতপক্ষে ডানহাতি)


ছবি: রিভার্স সুইপ-এ্যান্ডি ফ্লাওয়ার (প্রকৃতপক্ষে বামহাতি)

ব্যাপক আলোচিত এই শটটির জন্ম ৭০' এর দশকে পাকিস্তানের মুশতাক মোহাম্মদের হাত ধরে। তবে মুশতাক মোহাম্মদের ভাই হানিফ মোহাম্মদকেও কখনো কখনো এই শটের জনক বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। অসাধারণ রিভার্স সুইপ খেলে থাকেন এমন খেলোয়ারদের মধ্যে এ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, ডেমিয়েন মার্টিন, জন্টি রোডস, জাভেদ মিঁয়াদাদ, শচীন টেন্ডুলকার অন্যতম।

কেভিন পিটারনসনের রিভার্স সুইপ/সুইচ হিটিং বিতর্ক:

রিভার্স সুইপ অনেকেই খেলেন কিন্তু কেভিন পিটারসনের রিভার্স সুইপ খেলার ধরন আর সবার থেকে আলাদা। একটু আগে রিভার্স সুইপের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছিলাম রিভার্স সুইপ খেলার সময় ব্যাটসম্যান মুহূর্তেই সম্পূর্ণভাবে ঘুরে গিয়ে ও ব্যাটের গ্রিপ পরিবর্তন করে "প্রায়" উল্টো স্ট্যান্স গ্রহন করেন। তখন প্রায় বলেছিলাম কারন কেভিন পিটারসন শুধু যে রিভার্স সুইপ খেলার সময় ঘুরেই যান তা নয়, বরং একজন বামহাতি ব্যাটসম্যানের পরিপূর্ণ স্ট্যান্স ধারন করেন। পিটারসন বেশ আগে থেকেই শটটি খেলতেন, তবে তখন বিষয়টি কেউ খেয়াল করেনি। কিন্তু ১৫ জুন, ২০০৮ এ পিটারসন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি ওয়ানডে ম্যাচে স্কট স্টাইরিসের বলে তার ট্রেডমার্ক স্টাইলে ২ বার ছয় হাঁকান। পিটারসন স্ট্যান্স "সুইচ" তথা পরিবর্তন করে শটটি খেলেন বলে একে সুইচ হিটিংও (Switch Hitting) বলা হয়।


ছবি: কেভিন পিটারসনের অনন্য রিভার্স সুইপ। ছয়!


ছবি: আবারো পিটারসনের রিভার্স সুইপ। আবারো ছয়! কিন্তু লং অফের উপর দিয়ে না লং অন?


ছবি: কে বলবে পিটারসন ডানহাতি!

ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ধারাভাষ্যকার মাইকেল হোল্ডিং এর তীব্র বিরোধিতা করেন করেন। তিনি কেভিন পিটারসনের রিভার্স সুইপটিকে সুইপ বলতে নারাজ ছিলেন। তার মতে পিটারসন যেভাবে শটটি খেলেন তা একজন বামহাতি ব্যাটসম্যানের অর্থোডক্স সুইপ শট ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি বলেন যে, এই একই কাজ যদি বোলার করতে যায়, অর্থাৎ ডানহাতি বোলার যদি বাম হাতে বল করতে চায় তবে তাকে আগে তা ব্যাটসম্যান ও আম্পায়ারকে অবহিত করতে হয় যেখানে কিনা ব্যাটসম্যানকে তার কিছুই করতে হচ্ছে না।
এর থেকে আরো কিছু নতুন সমস্যার কথা উঠে আসে। এর মধ্যে একটি হলো ব্যাটসম্যান এভাবে স্ট্যান্স পরিবর্তন করলে অফ সাইড হয়ে যায় লেগ সাইড আর লেগ সাইড হয়ে যায় অফ সাইড। কেননা ক্রিকেটের আইনে অফ সাইড ও লেগ সাইড নির্ধারিত হয় বোলার রানআপ থেকে দৌড়ে বল করতে আসার সময় ব্যাটসম্যানের স্ট্যান্স থেকে (সূত্র )। সেক্ষেত্রে এভাবে স্ট্যান্স পরিবর্তন করলে অফ স্টাম্প ও লেগ স্টাম্প জায়গা বদল করলে আম্পায়ার এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্ত বিবেচনা করবেন কিভাবে? কারন আমরা তো জানি যে, লেগ স্টাম্পের বাইরে বল পিচ করলে এলবিডব্লিউ নাকচ হয়ে যায়। আম্পায়ার এক্ষেত্রে লেগ স্টাম্প ধরবেন কোন সময়েরটিকে - ব্যাটসম্যান স্ট্যান্স বদলের আগে না পরে? আবার ওয়াইডের ক্ষেত্রেও তাই। ওয়ানডেতে লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে কোন বল অতিক্রম করলেই তা ওয়াইড দেয়া হয়। ব্যাটসম্যান এভাবে স্ট্যান্স পরিবর্তন করলে আম্পায়ার ওয়াইড দেয়ার ক্ষেত্রে কি বিচার করবেন?
অবশেষে ১৬ জুন, ২০০৮ এ এক জরুরী সভায় MCC অফিসিয়ালরা কেভিন পিটারসনের শটটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈধতা দেন (View this link )। তারা বলেন: "কেভিন পিটারসনের শটটি ক্রিকেটকে আরো আনন্দময় করে তুলেছে এবং এটি একটি নান্দনিক সংযোজন। শটটি খেলতে ব্যাটসম্যানকে অনেক ঝুঁকি নিতে হচ্ছে এবং বিধায় বোলারদের উইকেট নেয়ার সুযোগ বাড়বে।"
তবে এই ক্ষেত্রে এলবিডব্লিউ ও ওয়াইডের ব্যাপারে আম্পায়ারের অবস্থান নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত আজো হয়নি।

----------------------------------------------------------------------------------

মেরিলিয়ার শট (আমরা এই শটটা আশরাফুলকে দিয়ে চিনি):

অনেকে নিশ্চয়ই এতোক্ষণে ধরে ফেলেছেন আমি কোন শটটির কথা বলছি। আমার শটটি আশরাফুলকে প্রায়ই খেলতে দেখি। বোলার বল করার সময় স্বাভাবিক স্ট্যান্স অফ সাইডে সামান্য সরে গিয়ে, ব্যাট বোলারের দিকে তাক করে (অনেকটা ব্যাট পেতে দেয়ার ভঙ্গিতে) ব্যাটের সাথে বলের এমনভাবে সংযোগ ঘটানো হয় যেন বল ফাইন লেগ এলাকা দিয়ে বাউন্ডারির দিকে চলে যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে এই শটটি থেকে ছয় পর্যন্ত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে বোলারের পেসকে কাজে লাগানোই ব্যাটসম্যানের মূল উদ্দেশ্য।


ছবি: ২০০৭ এর বিশ্বকাপে গায়ানায় অনুষ্ঠিত সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সুপার এইট ম্যাচে আশরাফুল মেরিলিয়ার শট খেলছেন

যদিও আমরা শটটি আশরাফুলকে প্রচুর খেলতে দেখি তবে শটটির জনক হলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান ডগলাস মেরিলিয়ার। ৪ঠা ফেব্রুয়ারী, ২০০১ এ পার্থে অনুষ্ঠিত এক ওয়ানডে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামে জিম্বাবুয়ে। শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের ১৫ রান প্রয়োজন ছিলো। বোলার ছিলেন গ্লেন ম্যাকগ্রা আর ব্যাটসম্যান ডগলাস মেরিলিয়ার। মেরিলিয়ার ওভারের প্রথম দুই বলই এই শট খেলে উইকেটকিপারের মাথার উপর দিয়ে বল সীমনার বাইরে পাঠান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি জিম্বাবুয়ের। ৫০ ওভার শেষে ৩০১ রান সংগ্রহ করে তারা ও ফলশ্রুতিতে ১ রানে ঐ ম্যাচ হারে। পরবর্তীতে ৭ মার্চ, ২০০২ এ ভারতের সাথে ফরিদাবাদে অনুষ্ঠিত এক ওয়ানডে ম্যাচে ২৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। সে ম্যাচে মেরিলিয়ার আবার খেলেন এই শট, এবার বোলার ছিলেন জহির খান। মেরিলিয়ার ২১ বলে ৫০ পূর্ণ করেন ও ৩০ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। দলকে ম্যাচ জেতান বল বাকি রেখেই। (View this link )


ছবি: ভারতের বিরুদ্ধে মেরিলিয়ারের সেই শটগুলোর একটি

মেরিলিয়ার শট থেকেই উদ্ভূদ আরেকটি প্রায় একই ধরনের শট হলো প্যাডল স্কুপ (Paddle Scoop)। এক্ষেত্রে ব্যাট পেতে বলের গতিপথ পরিবর্তন করার পরিবর্তে ব্যাট দিয়ে সামান্য খোঁচা দিয়ে বল ইচ্ছাকৃতভাবে শূন্যে তুলে দেয়া হয়। সাধারণত শটটি এভাবে খেলা হয় যখন শর্ট ফাইন লেগে ফিল্ডার থাকে। আশরাফুল প্যাডল স্কুপ ও মেরিলিয়ার শট দু'টোই খেলেন।


ছবি: রবিন উথাপ্পার প্যাডল স্কুপ

মেরিলিয়ার ও প্যাডেল স্কুপ শটে বিশেষ পারদর্শী এমন ক'জন ব্যাটসম্যান হলেন- আশরাফুল, রবিন উথাপ্পা, ডগলাস মেরিলিয়ার, মার্ক বাউচার, মিসবাহ-উল-হক প্রভৃতি।

ট্র্যাজেডি: ২০০৭ এ টুয়েন্টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ১৫৮ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামে। শেষ ওভারে যখন ৪ বলে মাত্র ৬ রান প্রয়োজন ছিলো তখন মিসবাহ-উল-হক অবাঞ্ছিতভাবে ভারতের জোগিন্দার শর্মার একটি ফুল লেংথ ডেলিভারি ফাইন লেগের উপর দিয়ে স্কুপ করতে যান।


ছবি: মিসবাহ'র সেই স্কুপ


ছবি: বল শূন্যে.....

কিন্তু শটটি ঠিকমতো না খেলায় ফাইন লেগে থাকা শ্রীশান্তের হাতে ক্যাচ চলে যায়।


ছবি: জয়োল্লাস!

ট্রফি ওঠে ভারতের হাতে।


ছবি: ট্রফি হাতে ভারতীয় দল

জোগিন্দর শর্মা হয়ে যান নায়ক আর মিসবাহ খলনায়ক.........(View this link )

আশরাফুলের ট্র্যাজেডি:

স্কুপ শট খেলতে গিয়ে আশরাফুল যতোবার আউট হয়েছেন আর কোন ব্যাটসম্যান এতোবার আউট হয়েছেন কিনা সন্দেহ। গতকালও আশরাফুল নিউজিল্যান্ডের সাথে শেষ ওয়ানডেতে একইভাবে আউট হন এবং সংবাদ সম্মেলনে বাজে শট খেলে আউট হওয়ার জন্য ক্ষমাও চান। (View this link )


ছবি: আবার সেই শট! আবার সেই পরিণতি!

----------------------------------------------------------------------------------

আপার কাট (Upper Cut):

এই শটটি খুবই কম সংখ্যক খেলোয়াড় খেলেন। সংখ্যাটা এতাই কম যে পুরো তালিকার প্রায় অনেকটাই এখানেই দিয়ে দেয়া যায়-শচীন টেন্ডুলকার, বীরেন্দর শেবাগ, সনাৎ জয়সুরিয়া, ব্র্যান্ডন ম্যাককুলাম। অফ সাইডের ইনফিল্ডের উপর দিয়ে ব্যাট ওপেন ফেইসড রেখে অনেকটা কাট করার ভঙ্গিতে বল হাওয়ায় তুলে দিয়ে শটটি খেলা হয়ে থাকে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চার বা ছয় হয়। সনাৎ জয়সুরিয়াকে এই শটটির জনক বলা যেতে পারে, তবে শটটির কপিরাইট বলে যদি কিছু থাকতো তবে তা অবশ্যই শচীন টেন্ডুলকারের প্রাপ্য। বর্তমান সময়ে ব্র্যান্ডন ম্যাককুলামও অসাধারণ পারদর্শিতার সাথে শটটি খেলে থাকেন।


ছবি: শচীন টেন্ডুলকার আপার কাট করছেন


ছবি: টেন্ডুলকারের আরেকটি আপার কাট


ছবি: আবারো টেন্ডুলকার!

----------------------------------------------------------------------------------

মহেন্দ্র সিং ধোনির "ফোরহ্যান্ড":

ভাবছেন ক্রিকেটে টেনিস কি করে এলো? ভাববারই বিষয় বটে! আমার জানামতে শুধু একজন ব্যাটসম্যানই খেলে এই শট- মহেন্দ্র সিং ধোনি। টেনিসের ফোরহ্যান্ড শটের সাথে এর রয়েছে অদ্ভূত মিল। শটটি খেলার সময় ধোনির কমপক্ষে একটি পা ভূমি থেকে উপরে শূন্যে অবস্থান করে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে উভয় পা শূন্যে অবস্থান করে। এই আজব শট বর্ণনা দিয়ে বোঝানো সম্ভব নয়। আর তাই ছবি দ্রষ্টব্য-


ছবি: মহেন্দ্র সিং ধোনির ফোরহ্যান্ড-১


ছবি: মহেন্দ্র সিং ধোনির ফোরহ্যান্ড-২


ছবি: মহেন্দ্র সিং ধোনির ফোরহ্যান্ড-৩


ছবি: মহেন্দ্র সিং ধোনির ফোরহ্যান্ড-৪


ছবি: মহেন্দ্র সিং ধোনির ফোরহ্যান্ড-৫

এবার একটু টেনিসের ফোরহ্যান্ড শটের সাথে মিলিয়ে দেখুন!


ছবি: টেনিসের ফোরহ্যান্ড-১


ছবি: টেনিসের ফোরহ্যান্ড-২


ছবি: টেনিসের ফোরহ্যান্ড-৩

----------------------------------------------------------------------------------

সাকিব আল হাসানের "শাবল" শট (Shovel Shot):

এই শটটি ক্রিকেট জগতে শুধুমাত্র সাকিব আল হাসানকেই খেলতে দেখা যায়। শটটটি অনেকটা মেরিলিয়ার/স্কুপ শটের মতোই, তবে বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো সবাই যেখানে ফাইন লেগ দিয়ে বল খেলার চেষ্টা করেন, সাকিব সেখানে বল বাউন্ডারিতে পাঠান বলতে গেলে স্টাম্পের উপর দিয়ে। অনেকটা শাবল দিয়ে সামনে থাকা মাটি তুলে মাথার উপর দিয়ে পিছনে ফেলার মতো। শটটি খেলার সময় সাকিব এক আজব স্ট্যান্সে চলে যান। বোঝা দায় হয়ে যায় উনি ডানহাতি না বামহাতি, যেন অনেকটা "মধ্যহাতি"(!)........


ছবি: সাকিবের শাবল শট-১


ছবি: সাকিবের শাবল শট-২

----------------------------------------------------------------------------------

কৃতজ্ঞতা:
ক্রিকইনফো
উইকিপিডিয়া
গুগল সার্চ
এবং অবশ্যই ব্লগার নিশ্চুপ নিরবতাকে । উনি আপার কাটের সংজ্ঞা ও তা খেলার স্থল সম্বন্ধে আমাকে ব্যাপক তথ্য দিয়েছেন এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমি পোস্টে কিছু সংশোধন এনেছি..........


একটি নাফিস ইফতেখার পরিবেশনা ২০০৮
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১৪
৮৮টি মন্তব্য ৬৯টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×