আমার কয়েকটা বিষয় আছে যেগুলোতে পরিচিতরা বেশ মজা পান। কিন্তু সেসব কাজ বা কথা মজা দেওয়ার জন্য বলিনা। সত্য কথাটা অবলিলায় বলে ফেলি! যা সাধারণত ঘুরিয়ে বলার নিয়ম! তো সরাসরি বলায় সেটা মজা হয়ে যায়!
ঘরের ছোট সন্তান হিসাবে আমি অনেকবছর পারিবারিকভাবে বেশ সুবিধা ভোগ করেছি। এখনও করছি, বাচ্চার বাপ হয়ে যাওয়ার পরও। যেমন গত তিন মাস ধরে আমাদের বাড়ির রিকন্সট্রাকশন চলছে, সেই কাজ মাত্র একবার আমি দেখতে গিয়েছি। সে যাইহোক। আমি এই এখনের কথা খুব একটা বলবতে চাইনা। পেছনের কিছু কথা বলব আর এই সময়ের একটা কথা।
আমি প্রায়ই মুফতে জিনিসপত্র পেতাম। শার্ট কবে কিনেছি এটা মনে করতে সুপার কম্পিউটার দিয়ে মনের ভেতর সার্চ দিতে হবে! কাপড়চোপড় থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সবকিছুই মোটামুটি গিফটের উপর দিয়ে মানে মাগনায় চলেছে এবং এখনও চলছে। ( যেমন সামহ্যোয়ার! ধন্যবাদ ভাইবেরাদরগন অফ বাঁধ ভাঙার আওয়াজ... )
আগের দিনের কথা বলি। আমি তখন ভাঙ্গা একটা মোটর সাইকেল চালাই। ( আরিফ ভাই, মোরশেদ মামা আর অর্না... মনে পড়ে পঙ্খিরাজরে? ) সেই মহান সাইকেল দেখলেই লোকজনের জানতে ইচ্ছা করে এই মাল আমি কইত্থন জোগাড় করলাম। তো আমি বলি, ভাই/বইন, আমার মায়ের ছোটমামু মানে আমার নানা এই সাইকেলটা ১৯৭৭ ইংরেজিতে কিনছিল! ১৫ বছর চালাইছে! তারপরে হের পোলা মানে আমার মামু এইটা পাইছে... চালাইছে দুই বছর... এর পরে আমি আনছি! এমন সত্য বর্ণনায় মানুষজন মজা পাইত! ভাবত আমি বিলা কইরা এইভাবে বলি!
কাপড়চোপড়ও সেইরকম। সিলেটি হিসাবে প্রচুর বৈদেশি ব্রান্ড আমি নিখরচায় পরছি। এখনও মাঝেসাঝে পরা হয়। কেউ হয়ত কইল, অপু শার্ট কইথাইকা পাইলা। আমি বল্লাম লিল্লাহ! মাঝে মাঝে এমনও ঘটত যে পরনের অন্তর্বাসটাও লিল্লাহর মাল থাকত! সেইরকম দিনে আমি আবার গলা ফাডায়া বলতাম, আইজ আমি পুরা পরের উপররে... আল্লার দেওয়া গতর ছাড়া নিজের আর কিছুই নাই!
এইযে আমি স্বিকার করি আমারে কেই কিছু দিলে অকপটে এইটা নাকি আমার একটা ভাল গুন! অনেকেই বলে। এই েেত্র আমারে যারা বিনা পয়সায় জিনিসপাতি দেয় তারাও বেশ ভালো মানুষ টাইপের। এখন পর্যন্ত কেউ কোনদিন কারো সামনে বা জনস্বমে বলেনাই, অপুরে আমি এইসব খয়রাতি দিছি!
প্রথম ই-মেইল করার জন্য গেছিলাম আজাদ ভাইয়ের অফিসে। ( হাসান মোরশেদ এর বড়মামা ) মাগনায় মেইল করছিলাম। এখন পর্যন্ত তিনি কাউরে বলেন্ নাই যে আমারে মাগনায় মেইল করার সুযোগ দিছিলেন!
রিয়াদ আমারে একবার বল্ল সে ই-মেইল আইডি করছে, আমি করব কীনা? আমিতো শুইনা পাঙ্খা... তখন শুধু যায়যায়দিন এর লেখকরা এই জিনিস তাদের লেখার পেছনে দিত! আর দিত পিয়াল ভাই। ( অমি রহমান পিয়াল ) ইয়াহুতে আইড হইল। মাগনায়! এরপর কত মেইল আইড নিলাম। হটমেইল, ওয়াল্লা, রেডিফ, জিমেই হয়ে নিজের ডোমেইন নিয়া সেইখানেও ইমেইল আইড পাইলাম। সবই মাগনা। তবে নিজের ডোমেইন কিনতে টাকা লাগছে। সেই হিসাবে সেইখানে পাওয়া আইডটা টাকা দিয়া কেনা বলা যেতে পারে।
বিষয় হল এই মাগনা সংক্রান্ত। এইযে দশ বছর ধইরা ইয়াহু আমারে লিল্লা মেইল সার্ভিস দিচ্ছে, জিমেইল দিচ্ছে প্রায় এক বছর ধরে তাও মাগনা। কেউ কোনদিনই বলেনাই, ওই হালা তরে কইলাম মাগনা দিতাছি। আমি কিন্তু ওগ এই বিষয়টা মনে রাখি। ওরা মনে না করায়া দিলেও মনে রাখি। ভেজাল হইলে, কাউরে দিয়া ঝাড়িময় মেইল পাঠাই! (আমি আবার ভাল ইংরেজী জানিনা, একবার আরিফ ভাই বলছিল আমি যদি এইভাবে বারবার ইংরেজি পরিায় ডাব্বা মারতে থাকি তাইলে আমারে মিউজিয়ামে ভইরা দিব! তাতেও আমারে ঠিক করতে পারেনাই। আমি টাইন্না টুইন্না ৩৩) সেই মেইলের উত্তরও ওরা দেয়! আর কি আশ্চর্য একবারও বলেনা, ওই মিয়া তুমারে মাগনা সার্ভিস দেই, এত ফাল পাড় কেন!
গতমাসে মোরশেদ এর অনুরোধে হটমেইলের বন্ধ হয়ে যাওয়া একান্টা আবার চালু করলাম। চালু হইতেই দেখি ওরা গদগদ হইয়া একটা মেইল দিছে। ডিয়ার ফিয়ার কইয়া কয়, আপনে আবার ফিইরা আইছেন তাতে আমরা খুস!!! আমগো লগে থাইকেন!!! ইত্যাদি... একবারও বলেনাই, এইটা মাগনা সার্ভিস, আরেকবার যদি লগইন হইতে দেরি কর তাইলে সারাজীবনের জন্য কোপা...