somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উত্সর্গ: অরিল, হাসিন এবং যাদের নাম জানিনা সেইসব আওয়াজগনকে

২১ শে এপ্রিল, ২০০৭ দুপুর ২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমার কয়েকটা বিষয় আছে যেগুলোতে পরিচিতরা বেশ মজা পান। কিন্তু সেসব কাজ বা কথা মজা দেওয়ার জন্য বলিনা। সত্য কথাটা অবলিলায় বলে ফেলি! যা সাধারণত ঘুরিয়ে বলার নিয়ম! তো সরাসরি বলায় সেটা মজা হয়ে যায়!

ঘরের ছোট সন্তান হিসাবে আমি অনেকবছর পারিবারিকভাবে বেশ সুবিধা ভোগ করেছি। এখনও করছি, বাচ্চার বাপ হয়ে যাওয়ার পরও। যেমন গত তিন মাস ধরে আমাদের বাড়ির রিকন্সট্রাকশন চলছে, সেই কাজ মাত্র একবার আমি দেখতে গিয়েছি। সে যাইহোক। আমি এই এখনের কথা খুব একটা বলবতে চাইনা। পেছনের কিছু কথা বলব আর এই সময়ের একটা কথা।

আমি প্রায়ই মুফতে জিনিসপত্র পেতাম। শার্ট কবে কিনেছি এটা মনে করতে সুপার কম্পিউটার দিয়ে মনের ভেতর সার্চ দিতে হবে! কাপড়চোপড় থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সবকিছুই মোটামুটি গিফটের উপর দিয়ে মানে মাগনায় চলেছে এবং এখনও চলছে। ( যেমন সামহ্যোয়ার! ধন্যবাদ ভাইবেরাদরগন অফ বাঁধ ভাঙার আওয়াজ... )

আগের দিনের কথা বলি। আমি তখন ভাঙ্গা একটা মোটর সাইকেল চালাই। ( আরিফ ভাই, মোরশেদ মামা আর অর্না... মনে পড়ে পঙ্খিরাজরে? ) সেই মহান সাইকেল দেখলেই লোকজনের জানতে ইচ্ছা করে এই মাল আমি কইত্থন জোগাড় করলাম। তো আমি বলি, ভাই/বইন, আমার মায়ের ছোটমামু মানে আমার নানা এই সাইকেলটা ১৯৭৭ ইংরেজিতে কিনছিল! ১৫ বছর চালাইছে! তারপরে হের পোলা মানে আমার মামু এইটা পাইছে... চালাইছে দুই বছর... এর পরে আমি আনছি! এমন সত্য বর্ণনায় মানুষজন মজা পাইত! ভাবত আমি বিলা কইরা এইভাবে বলি!

কাপড়চোপড়ও সেইরকম। সিলেটি হিসাবে প্রচুর বৈদেশি ব্রান্ড আমি নিখরচায় পরছি। এখনও মাঝেসাঝে পরা হয়। কেউ হয়ত কইল, অপু শার্ট কইথাইকা পাইলা। আমি বল্লাম লিল্লাহ! মাঝে মাঝে এমনও ঘটত যে পরনের অন্তর্বাসটাও লিল্লাহর মাল থাকত! সেইরকম দিনে আমি আবার গলা ফাডায়া বলতাম, আইজ আমি পুরা পরের উপররে... আল্লার দেওয়া গতর ছাড়া নিজের আর কিছুই নাই!

এইযে আমি স্বিকার করি আমারে কেই কিছু দিলে অকপটে এইটা নাকি আমার একটা ভাল গুন! অনেকেই বলে। এই েেত্র আমারে যারা বিনা পয়সায় জিনিসপাতি দেয় তারাও বেশ ভালো মানুষ টাইপের। এখন পর্যন্ত কেউ কোনদিন কারো সামনে বা জনস্বমে বলেনাই, অপুরে আমি এইসব খয়রাতি দিছি!

প্রথম ই-মেইল করার জন্য গেছিলাম আজাদ ভাইয়ের অফিসে। ( হাসান মোরশেদ এর বড়মামা ) মাগনায় মেইল করছিলাম। এখন পর্যন্ত তিনি কাউরে বলেন্ নাই যে আমারে মাগনায় মেইল করার সুযোগ দিছিলেন!

রিয়াদ আমারে একবার বল্ল সে ই-মেইল আইডি করছে, আমি করব কীনা? আমিতো শুইনা পাঙ্খা... তখন শুধু যায়যায়দিন এর লেখকরা এই জিনিস তাদের লেখার পেছনে দিত! আর দিত পিয়াল ভাই। ( অমি রহমান পিয়াল ) ইয়াহুতে আইড হইল। মাগনায়! এরপর কত মেইল আইড নিলাম। হটমেইল, ওয়াল্লা, রেডিফ, জিমেই হয়ে নিজের ডোমেইন নিয়া সেইখানেও ইমেইল আইড পাইলাম। সবই মাগনা। তবে নিজের ডোমেইন কিনতে টাকা লাগছে। সেই হিসাবে সেইখানে পাওয়া আইডটা টাকা দিয়া কেনা বলা যেতে পারে।

বিষয় হল এই মাগনা সংক্রান্ত। এইযে দশ বছর ধইরা ইয়াহু আমারে লিল্লা মেইল সার্ভিস দিচ্ছে, জিমেইল দিচ্ছে প্রায় এক বছর ধরে তাও মাগনা। কেউ কোনদিনই বলেনাই, ওই হালা তরে কইলাম মাগনা দিতাছি। আমি কিন্তু ওগ এই বিষয়টা মনে রাখি। ওরা মনে না করায়া দিলেও মনে রাখি। ভেজাল হইলে, কাউরে দিয়া ঝাড়িময় মেইল পাঠাই! (আমি আবার ভাল ইংরেজী জানিনা, একবার আরিফ ভাই বলছিল আমি যদি এইভাবে বারবার ইংরেজি পরিায় ডাব্বা মারতে থাকি তাইলে আমারে মিউজিয়ামে ভইরা দিব! তাতেও আমারে ঠিক করতে পারেনাই। আমি টাইন্না টুইন্না ৩৩) সেই মেইলের উত্তরও ওরা দেয়! আর কি আশ্চর্য একবারও বলেনা, ওই মিয়া তুমারে মাগনা সার্ভিস দেই, এত ফাল পাড় কেন!

গতমাসে মোরশেদ এর অনুরোধে হটমেইলের বন্ধ হয়ে যাওয়া একান্টা আবার চালু করলাম। চালু হইতেই দেখি ওরা গদগদ হইয়া একটা মেইল দিছে। ডিয়ার ফিয়ার কইয়া কয়, আপনে আবার ফিইরা আইছেন তাতে আমরা খুস!!! আমগো লগে থাইকেন!!! ইত্যাদি... একবারও বলেনাই, এইটা মাগনা সার্ভিস, আরেকবার যদি লগইন হইতে দেরি কর তাইলে সারাজীবনের জন্য কোপা...
৩৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×