somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।nnপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

ইমাম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহির সাথে এক নাস্তিকের বিতর্ক: অসাধারন শিক্ষামূলক ঘটনা।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



একবার বাগদাদ শহরে সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ পাকের অস্তিত্ব নিয়ে এক বিরাট বিতর্ক আয়োজন করা হল যেখানে তৎকালীন অন্যতম সেরা ইসলামী শিক্ষাবিদ, তার্কিক শাইখ হাম্মাদ রহমাতুল্লাহি আলাইহির আসার কথা ছিল। কিন্তু বিতর্কের দিন নির্দিষ্ট সময়ের মাত্র কিছুক্ষন পূর্বে শেখ হাম্মাদ রহমাতুল্লাহি আলাইহির বদলে একজন তরুন এসে বললেন যে, 'এইরকম সাধারন কোনো কোনো বিতর্ক সভায় শাইখ হাম্মাদ রহমাতুল্লাহি আলাইহির মত উঁচু স্তরের প্রাজ্ঞ ব্যক্তিত্বকে আনা ঠিক নয়; আমরা একথা বলাতে তিনি সম্মত হয়েছেন এবং তিনি তার সব থেকে ছোট ছাত্র আননুমান ইবন সাবিত (আবু হানিফা) কে পাঠিয়েছেন।'

তখন ইমাম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি শাইখ হাম্মাদ রহমাতুল্লাহি আলাইহির জন্য নির্ধারিত আসনে বসলেন। শুরু হলো প্রশ্নোত্তর পর্ব। প্রথমেই নাস্তিকের প্রশ্ন-

নাস্তিকঃ "আপনার খোদা কবে জন্মগ্রহন করেছেন?"
আবু হানিফাঃ "আল্লাহ সময়, কাল, যুগের আগে থেকে আছেন। তার কোন শুরু নেই। তিনি আদি অন্তহীন।"
নাস্তিকঃ "পার্থিব জীবনের নমুনা থেকে বলুন।"
আবু হানিফাঃ "৩ এর আগে বাস্তব কত সংখ্যা?"
নাস্তিকঃ "২।"
আবু হানিফাঃ "২ এর আগে বাস্তব কত সংখ্যা?"
নাস্তিকঃ "১।"
আবু হানিফাঃ "১ এর আগে কত বাস্তব সংখ্যা?"
নাস্তিকঃ "নাই।"
আবু হানিফাঃ "যদি আপনার পার্থিব সংখ্যা ১ এর আগে কোন বাস্তব কিছু না থাকে তাহলে যিনি শাশ্বত তার আগে কি কিছু থাকতে পারে ?"

নাস্তিকঃ "আপনার খোদা কোন দিকে মুখ করে আছেন?"
আবু হানিফাঃ "যদি কোন অন্ধকার স্থানে মোমবাতি আনা হয় সেটা কোন দিকে মুখ করে থাকে?"
নাস্তিকঃ "সব দিকে।"
আবু হানিফাঃ "যদি আপনার পার্থিব কৃত্রিম আলো সব দিকে মুখ করে থাকতে পারে তাহলে যিনি আলো তৈরী করেছেন তিনি কি তা পারেন না?"

নাস্তিকঃ "আপনার খোদা কী কঠিন, তরল না বায়বীয়?"
আবু হানিফাঃ "মৃত ব্যক্তির লাশের পাশে কখনো ছিলেন?"
নাস্তিকঃ "হ্যাঁ।"
আবু হানিফাঃ "মৃত্যুর পর সে কথা বলে?"
নাস্তিকঃ "অবশ্যই না।"
আবু হানিফাঃ "মৃত্যুর আগে সে কথা বলতো। আচ্ছা, মৃত্যুর আগে যে ব্যক্তি কথা বলতে পারে কিন্তু মরার পর সে নির্জীব আর বরফ হয় কেন? কে তার এই অবস্থা করে?"
নাস্তিকঃ "তার আত্মা চলে যায়।"
আবু হানিফাঃ "আত্মা কেমন? আমাকে বলুনতো! কঠিন, তরল না বায়বীয়?"
নাস্তিকঃ "আমি জানি না!"
আবু হানিফাঃ "যদি পার্থিব আত্মার কোন সংজ্ঞা না দিতে পারেন তাহলে কিভাবে আল্লাহর অবস্থা বলা সম্ভব?"

নাস্তিকঃ "আপনার খোদা কোথায় থাকেন?"
আবু হানিফাঃ "আপনি বাটিতে যদি এক গ্লাস দুধ নিয়ে আসেন!"
নাস্তিকঃ "ঠিক আছে। আনছি।"
আবু হানিফাঃ "এখন বলুন, এর মধ্যে মাখন কোথায় থাকে?"
নাস্তিকঃ "সব খানে।"
আবু হানিফাঃ "যদি মাখনের মত সৃষ্ট বস্তু দুধের সব জায়গায় ছড়িয়ে থাকতে পারে, তাহলে আল্লাহ পাক কিভাবে একটি স্থা্নে থাকতে পারেন? এটা তো বিরাট আশ্চর্য্য!"

নাস্তিকঃ "জান্নাতে তো টয়লেট নেই! তাহলে খাবারের পর শৌচকার্য্য করবে কিভাবে মানুষ?"
আবু হানিফাঃ "মায়ের পেটে বাচ্চা ৯ মাস কিভাবে শৌচকার্য্য করে? সেখানে তো টয়লেট থাকে না! মাতৃগর্ভে যদি টয়লেটের প্রয়োজন না হয়, তাহলে জান্নাতে দরকার হবে কেন?"
নাস্তিকঃ "জান্নাতে খাওয়ার আর উপভোগ করার পর কোনো বস্তু কমবে না বরং অনবরত বাড়তেই থাকবে। এটা কিভাবে সম্ভব?"
আবু হানিফাঃ "যেভাবে জ্ঞান যত দান করা হয় তত বাড়ে!"

শাইখ হাম্মাদ রহমাতুল্লাহি আলাইহির ছাত্রের হাতেই ধরাশায়ী হলেন নাস্তিক প্রবর! এভাবেই যুগে যুগে অপমানিত হচ্ছেন এবং হতে থাকবেন! এ যুগের ডিজিটাল মাথা বিক্রি করা অতি জ্ঞানের আগ্নিমান্দ্যে উদভ্রান্ত দিকহারাগনও এই একই পথের পথিক! তাদের জন্য শুভকামনা সতত:।

পড়ে দেখতে পারেন ইমাম আজম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহিকে নিয়ে আমার অারও কিছু পোস্ট-

জ্ঞানের প্রজ্জ্বলিত মশালকে নিভিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা রুখে দিন

ইমাম আবূ হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি: জাতির শ্রেষ্ঠতম মুহাদ্দিস, ফকীহ এবং আল্লাহওয়ালা

ইমাম আজমের সাথে নাস্তিকের বাহাস

সংগৃহিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৩৪
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×