Online Birth Certificate Registration অনলাইন জন্মনিবন্ধন আবেদন এখন ঘরে বসেই করা যায়
পত্রপত্রিকা এবং নানা মাধ্যমে এখন প্রায়ই Online Birth Certificate Registration অনলাইন জন্মনিবন্ধন আবেদন করতে গিয়ে সাধারণ নাগরিকদের হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হওয়ার কথা শোনা যায়। দেশের প্রতিটি সাধারণ নাগরিকের এসব সেবাপ্রাপ্তির অধিকার রয়েছে। আসলে অধিকার রয়েছে বললে তো আর হবে না, অধিকার তাদের দিতে হবে। কথায় বলে, 'কাজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই', সেই অবস্থা হয়েছে আমাদেরও অনেক ক্ষেত্রে। টাকা দেয়া ছাড়া এখন খুব কম কাজই করা যায়। বিশেষ করে সরকারি দপ্তরগুলোতে যারা যান তারা এই অভিজ্ঞতা কমবেশি ভালোভাবেই রাখেন। গত ক'দিন আগে ট্যাক্স অফিসে গিয়েছিলাম রিটার্ণ দাখিল করতে। নিজের কষ্টে উপার্জিত টাকা সরকারি কোষাগারে মাসে মাসে জমা দিয়ে বছর শেষে সেই জমা দেয়া টাকার পূর্ণ বিবরণী দাখিল করতে গিয়েও হয়রানি। যে কাজ সামান্য সময় নিয়ে দিনে দিনেই করে দেয়া সম্ভব, তাদের চাহিদামত 'খরচাপাতি' না দেয়ায় সেই কাজ ফেলে রেখে অন্য দিন আসতে বলা কিসের আলামত? যা হোক, টাকা না দিয়েই কাজটা সম্পন্ন করেছি, কিন্তু আমার একটা দিন অতিরিক্ত এর পেছনে ঘুরতে হয়েছে। এটাও কি হয়রানি নয়?
আসলে অধিকার নিয়ে কথা বলতে গেলে অনেক কথা এসে যায়। সব কথা বলা বারণ। জ্ঞানী লোকেরা বেশিরভাগ সময় নিশ্চুপ থাকেন। নিরবতায় বিপদ কম। কথা বেশি বললে বিপদও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা। আমাদের সংবিধানেও তো অনেক অধিকারের কথা সুন্দর করে লেখা আছে, কিন্তু বাস্তবে সেসব অধিকারের কতটুকু আমরা পাই বা ভোগ করতে পারি, সেটাই হচ্ছে কথা। বরং, অধিকার পাচ্ছি তো না-ই, সেটা বলতেও পারছি না কোনো কোনো ক্ষেত্রে।
নিজেই করে নিন নিজের Birth Certificate Registration অনলাইন জন্মনিবন্ধন আবেদন:
বাংলাদেশে এখন চালু হয়েছে ঘরে বসেই জন্ম নিবন্ধন (Birth Certificate Registration Card) করার পদ্ধতি, আপনি এখন ঘরে বসেই নির্ভুল ভাবেই করে ফেলতে পারবেন আপনার জন্ম নিবন্ধন (Birth Certificate Registration Card)।
খুব সহজে Birth Certificate Registration Online Procedure অনলাইন জন্মনিবন্ধন আবেদন প্রক্রিয়া:
ধাপ-১ঃ প্রথমে আপনি এই লিংকে ক্লিক করে চলে যাবেন জন্ম নিবন্ধন বা Birth Registration Portal এ। এরপরে সেখানে থাকা 'জন্ম নিবন্ধন' এর উপরে মাউসের কার্সোর রাখলে ডাউন মেনুতে প্রদর্শিত 'জন্ম নিবন্ধন আবেদন' কথাটিতে ক্লিক করুন।
ধাপ-২ঃ এখানে আপনার ঠিকানার কিছু অংশ নির্বাচন করতে হবেঃ
১। প্রথমে আপনার বিভাগ নির্বাচন করুন।
২। আপনার জেলা নির্বাচন করুন।
৩। আপনার উপজেলা নির্বাচন করুন।
৪। আপনার ইউনিয়ন নির্বাচন করুন।
৫। আপনার উইনিয়নের ওয়ার্ড নির্বাচন করুন।
এবার “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ-৩ঃ এখানে আবেদনকারীর নিজের এবং পিতা-মাতার প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ দিতে হবে। (সব কিছুই বাংলায়)
১। সম্পূর্ণ নাম বাংলায় লিখুন।
২। জন্ম তারিখ লিখুন (দিন-মাস-বছর)।
মাতার তথ্যঃ
৩। মাতার নাম লিখুন।
৪। মাতার জাতীয়তা নির্বাচন করুন।
পিতার তথ্যঃ
৫। পিতার নাম লিখুন।
৬। পিতার জাতীয়তা নির্বাচন করুন।
ঠিকানাঃ
৭। জন্ম স্থান লিখুন*
৮। স্থায়ী ঠিকানা লিখুন*
৯। বর্তমান ঠিকানা লিখুন*
* এখানে আপনার গ্রামের নাম, পোস্ট অফিসের নাম এবং রোড/বাড়ির নাম্বার/নাম লিখতে হবে।
ঠিকানা লিখার সময় অবশ্যই ২ লাইনে লিখবেন, তাতে বিষয়টি সুন্দরভাবে ফুটে উঠবে।
সবকিছু বাংলায় লিখা হয়ে গেলে এবার আপনি “পরবর্তি” বাটনে ক্লিক করুন এবং সামনে অগ্রসর হউন।
ধাপ-৪ঃ এখানে সকল তথ্য আপনাকে ইংরেজিতে লিখতে হবে-
১। আবেদনকারীর নাম ইংরেজিতে লিখুন
২। মাতার নাম ইংরেজিতে লিখুন
৩। পিতার নাম ইংরেজিতে লিখুন
৪। জন্মস্থান ইংরেজিতে লিখুন।
৫। স্থায়ী ঠিকানা ইংরেজিতে লিখুন
৬। বর্তমান ঠিকানা ইংরেজিতে লিখুন
চূড়ান্ত ধাপে করণীয়:
সব তথ্য সঠিকভাবে দেওয়া হয়ে থাকলে আপনি “পরবর্তি” বাটনে ক্লিক করে আপনার আবেদনের সকল তথ্য দেখতে পাবেন, কোথাও কোনো ভুল দেখতে পেলে সেটি “পেছনে” বাটনে ক্লিক করে সংশোধন করে নিতে পারবেন। ভুলভ্রান্তি যদি না থাকে তাহলে এবার ক্লিক করুন “সংরক্ষণ” বাটনটিতে।
ব্যস, হয়ে গেলো আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদন। এবার আপনি “Print” এ ক্লিক করে সেটি ডাউনলোড করে নিন এবং প্রিন্ট করে জমা দিয়ে দিন আপনার ইউনিয়ন পরিষদে। (১৫ দিনের মধ্যে)
তাহলে আর চিন্তা কি? নিজের কাজ নিজেই করি, চলুন...
আশা করছি, পোস্টটি পাঠ করে আপনি খুব সহজেই আপনার জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে সক্ষম হবেন। আমরা একটু সচেতন হলেই আমাদের একান্ত প্রয়োজনীয় এসব কাজ নিজেরাই করে নিতে পারি। আর এতে করে বাঁচতে পারি হয়রানি এবং প্রতারণার হাত থেকে। ধন্যবাদ এবং শুভকামনা সবার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫০