somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

প্রুফ (Proofreading) রিডিং কি? প্রুফ রিডিংয়ের নিয়ম এবং প্রয়োজনীয়তা

২৮ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবি: অন্তর্জাল।

প্রুফ (Proofreading) রিডিং কি? প্রুফ রিডিংয়ের নিয়ম এবং প্রয়োজনীয়তা

প্রুফ রিডিং (Proofreading) কি?

প্রুফ (Proof) ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ প্রমান। আর Reading মানে পড়া বা পাঠ করা। মূলতঃ গ্রন্থ, পুস্তিকা, পত্রিকা, ম্যাগাজিন বা যে কোনাে কম্পােজে বা লেখায় বিদ্যমান ত্রুটি দূর করে লেখা নির্ভুল করে তোলার জন্য সেই লেখাটি সংশোধন করে নেয়ার জন্য পুনঃপাঠকেই প্রুফ রিডিং (Proofreading) বলে। প্রুফ রিডিং (Proofreading) করতে হলে লেখাটি পড়তে হয় এবং এর পাঠক বা Proofreading এর দায়িত্বপালনকারী ব্যক্তিকে প্রমিত বা মান ভাষা সম্পর্কে সম্যক অবগতি রাখতে হয়।

গ্রন্থ রচনা, প্রকাশনা বা কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে যারা কম্পােজের সঙ্গে যুক্ত, প্রুফ-সংশােধন তাদের জন্য একটি অত্যাবশ্যক বিষয়। প্রুফ-সংশােধনের সময় আধুনিক প্রমিত বানানরীতি ও শব্দচয়ন সম্পর্কে ধারণা না থাকলে প্রুফরিডিং বা সংশােধনের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হতে পারে। কম্পােজার অথবা যিনি প্রুফ-সংশােধন করেন উভয়ের কাছে ত্রুটিমুক্ত বা প্রমিত শব্দ বা বানান সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে মুদ্রিত গ্রন্থ বা copy-টি ভুলভ্রান্তি পূর্ণভাবে পাঠকের হাতে চলে যেতে পারে। পাঠক এমন লেখা পড়ে লেখক, প্রকাশক, প্রুফ-সংশােধক সবার প্রতি ভুল ধারণা নেয়া খুবই স্বাভাবিক। এর ফলে অক্ষরে ছাপা লেখার অনেক ভুল ও ত্রুটিযুক্ত বিষয় ছড়িয়ে পড়তে পারে সর্বত্র। সে কারণেই লেখক, প্রকাশক, কম্পােজার এবং যিনি প্রুফ দেখবেন— সকলেরই প্রুফ দেখার নিয়ম সম্পর্কে যথার্থ ধারণা থাকা একান্তভাবে উচিত।

প্রুফ রিডিং (Proofreading) এর বৈশ্বিক নিয়মঃ

প্রুফ-সংশােধনের কাজটি পৃথিবীর প্রায় সব দেশে একই নিয়মেই করা হয়। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে Indian Standards Institution প্রকাশনার সুবিধার্থে প্রুফ-সংশােধনের নিয়মাবলি নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি প্রুফ' বা লেখা সংশােধনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নিয়মকানুন বিচার-বিশ্লেষণ করে আধুনিক ও যুগােপযােগী একটি সর্বভারতীয় নিয়মাবলি (Proof Corrections for Printers and Authors) প্রণয়ন করেন। বলা যায়, পরবর্তীকালে এটিই প্রুফ রিডিং (Proofreading) এর বৈশ্বিক নিয়মে পরিণত হয়। আমাদের দেশেও বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সামান্য কিছু রদবদল করে সর্বভারতীয় নিয়মকেই অনুসরণ করা হয়।

প্রুফ রিডিংয়ে যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হয়ঃ

মুদ্রিত কোনাে কিছু (যেমন- খবরের কাগজ, পত্র-পত্রিকা, বই, অভিধান, গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা ইত্যাদি) কারও সামনে উপস্থাপন করার পূর্বে তা প্রেসে বা কম্পিউটারে ছাপিয়ে নিতে হয়। প্রেসের কম্পােজিটর (বর্তমানে কম্পিউটার অপারেটর) মেশিনের অক্ষরে তা আবার লেখেন। লেখার পর কাগজে ছাপ তােলেন। এ ছাপ তােলার কাগজটিই হলাে প্রুফ। অর্থাৎ লেখকের লেখার একটি প্রমাণ বা প্রুফ (Proof) । কম্পােজিটর মেশিনে লেখার সময় লেখকের লেখা হুবহু লিখেছেন কি না তা মূল লেখকের লেখার সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হয়। তখন যদি লক্ষ্য করা যায় কম্পােজিটর কিছু অংশ বাদ দিয়েছেন, কিংবা বানানে ভুল করেছেন, অথবা হস্তাক্ষর না বুঝতে পেরে অন্য শব্দ কম্পােজ করেছেন, তখন ওইসব ত্রুটি সংশােধন করাই প্রুফ-সংশােধনের কাজ। প্রকাশক মহলে Proof এর বাংলা ‘মুদ্রণিকা’ যা থেকে মুদ্রণ করা হয়। সুতরাং প্রুফ-সংশােধন অর্থ- মুদ্রণিকা সংশােধন।

বাংলা ভাষায় প্রুফ রিডিংয়ে যেসব বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হয়ঃ

শুধু কম্পােজিটর বা কম্পোজ যিনি করে থাকেন, সোজা বাংলায় বললে, লেখাগুলো যিনি ছাপার অক্ষরে কম্পিউটারে টাইপ বা কম্পোজ করে থাকেন, তিনিই ভুল করেন - বিষয়টি এমন নয়; বরং পাণ্ডুলিপিতে স্বয়ং মূল লেখকও তথ্য-উপাত্ত, বানান, শব্দ বা বাক্য গঠন ইত্যাদিতে ভুল করতে পারেন। কাজেই Proof-reader বা প্রুফ সংশোধনকারী ব্যক্তিকে শুধু কম্পােজিটরের ভুল সংশােধন করলেই চলে না, সেই সঙ্গে লেখকের তত্ত্ব, তথ্য, বাক্য, শব্দ-বিন্যাস ইত্যাদিতে ত্রুটি থাকলে তা-ও সংশোধন করতে হয়। বাংলা ভাষায় প্রুফ রিডিংয়ের ক্ষেত্রে সমাস-সন্ধি, ণত্ববিধান, ষত্ববিধান ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট সমস্যার নিরসনেও তাকেই মনযোগ দিতে হয়।

প্রুফ-সংশোধনের প্রয়োজনীয়তাঃ

প্রুফ সংশােধনের প্রয়ােজনীয়তা যে অপরিসীম এই কথাটি বুঝিয়ে বলার সম্ভবতঃ প্রয়োজন হয় না। কারণ, পত্র পত্রিকা, ম্যাগাজিন বা গ্রন্থে যদি তত্ত্ব, তথ্য কিংবা বানান ইত্যাদিতে ভুল থাকে তাহলে অগণিত পাঠকের হাতে পৌঁছাতে পারে ভুলভ্রান্তিযুক্ত লেখা, এর ফলে এই ভুলগুলোই তারা পাঠ করার ফলে তাদের জ্ঞানলাভে থেকে যেতে পারে ত্রুটি- যা নিঃসন্দেহে মারাত্মক একটি ব্যাপার। কাজেই নির্ভুল জ্ঞানলাভের প্রয়োজনে পত্র পত্রিকা, ম্যাগাজিন বা গ্রন্থ যা-ই হোক না কেন, তা নির্ভুলভাবে প্রকাশ করা অতীব জরুরি। আর নির্ভুল বই পত্র ছাপার পূর্বশর্ত হলাে প্রুফ কপির মধ্যে কোনাে ভুল না থাকা।

অন্যদিকে যদিও কোন লেখকের পাণ্ডুলিপির যথাযথ কম্পােজ হওয়া/ না-হওয়া যাচাই করাই গ্রুফ সংশােধন, তবু আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখার মত রয়েছে, যেমন- বই হােক বা পত্রিকা, যা-ই হােক, মুদ্রিত কোনাে লেখা জনসাধারণ্যে প্রকাশ পেলে প্রশাসনিক, সামাজিক, ধর্মীয় বহু ক্ষেত্রে তার বিস্তৃতি ঘটে এবং ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য ছাপাখানা আইন (Press Act) -এর আমলযােগ্য অপরাধের আওতাভুক্ত হতে পারে। কাজেই প্রুফ-সংশােধনের সময় এসব বিষয়ও বিবেচনায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রুফ-সংশোধনের সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হয়

প্রুফ-সংশােধনের সময় সংশােধকের সাবধান হওয়া একান্ত দরকার। লেখকের সম্পর্কে বলা হয়- ‘কালি-কলম-মন, লেখে তিনজন'। কিন্তু প্রুফ-সংশােধকের বেলায় চোখ ও মনের সংযােগ, সেই সঙ্গে জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা একান্ত প্রয়ােজন। কোনাে শব্দের ওপর নজর পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে বানানটি ঠিক কি না, এ বাক্যে শব্দটির প্রয়ােগ যথার্থ হয়েছে কি না ইত্যাদি। প্রুফসংশােধকের আরেকটি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে, একজন প্রুফ-সংশােধক যা পড়বেন (বই, খবরের কাগজ যেটিই হােক), সেখানে কয়টা ভুল হয়েছে তা যেন তার চোখ এড়িয়ে না যায়।

প্রুফ-সংশোধনের নিয়ম

প্রুফ-সংশােধনের সময় ভুলকে চিহ্নিত করা এবং সেটি সংশােধন করাই আসল কাজ; তবে জানার ঘাটতির জন্য অনেক সময় শুদ্ধটাও সংশােধিত হয়ে অশুদ্ধ হয়ে যেতে পারে। কম্পােজের সময় কোনাে জায়গায় অতিরিক্ত বর্ণ, শব্দ, বাক্য কম্পােজ হয়। আবার কখনাে বর্ণ, শব্দ, বাক্য বাদও পড়ে যায়। বানানের ভুল তাে থাকেই। কিছু সাংকেতিক চিহ্ন আছে যা ব্যবহার করে সংশােধনের নির্দেশ দেওয়া হয়। সাংকেতিক চিহ্ন না জানলে ভুলটি অন্যত্র শুদ্ধ করে লিখে টেনে দিলেও কাজ চলে।

পাণ্ডুলিপি

প্রুফ-সংশােধনের নিয়মবলি-নির্ধারক কমিটি সূচনা থেকেই পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত বিষয়ে কিছু নির্দেশনা বা প্রস্তাব রাখেন। প্রস্তাবগুলাে ছিল :

১. পাণ্ডুলিপির বাম দিকে কমপক্ষে তিন সেন্টিমিটার মার্জিন রাখতে হবে।
২. পরবর্তীকালে মূল পাণ্ডুলিপির কোনাে পরিবর্তন বা পরিমার্জন নিয়ে যাতে কোনাে সংশয় বা জটিলতা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য প্রথম পাণ্ডুলিপি বা কপি সযত্নে পরিমার্জন করে প্রেসে পাঠাতে হবে।
৩. কোনাে নকশা বা Diagram, Illustration বা ছবি থাকলে তা নির্দেশনাসহ পৃথকভাবে পাঠাতে হবে।
৪. ফুটনােট যথাসম্ভব বর্জিত হবে। আবশ্যক ফুটনােট পাণ্ডুলিপির যথাস্থানে দুটি সমান্তরাল রেখার মধ্যে লিখে দিতে হবে। তবে ফুটনােট বেশি হলে তা পৃথক কাগজে লিখে দিতে হবে।
৫. লেখক/ সম্পাদক ইচ্ছে করলে পাণ্ডুলিপির মার্জিনে কোথায় কেমন টাইপ হবে তার নির্দেশনা দিতে পারেন।
৬. লেখক যেকোনাে সময় পাণ্ডুলিপি ছাপানাের পূর্বে সংশােধনী দিতে পারেন। তবে ছাপার পরও সংশােধনী দেওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে তা কীভাবে হবে তা লেখক ও প্রকাশক নির্ধারণ করবেন।

বাংলা প্রুফ সংশোধন এর উদাহরণ:



প্রুফরিডারের দায়িত্ব

কোনাে গ্রন্থ বা কপি নির্ভুল ছাপানাের জন্য কম্পােজারের যে রকম দায়িত্ব, প্রুফরিডারের দায়িত্ব তার চেয়ে কম নয়; বরং অনেক বেশি। কারণ, কম্পােজার যা কম্পােজ করেন, তার ভুল ধরা হলাে প্রুফরিডারের দায়িত্ব। অন্যদিকে সাধারণ কম্পােজারের চেয়ে প্রুফরিডারকে অনেক দক্ষ ও অভিজ্ঞ মনে করা হয়। একজন দক্ষ প্রুফরিডারের সার্বিক দিকনির্দেশনায় একটি গ্রন্থ বা কপি নির্ভুল মুদ্রিত হতে পারে। তাই প্রুফরিডারকে অবশ্যই প্রমিত বানান, ত্রুটিমুক্ত শব্দচয়ন এবং আধুনিক বাংলা ভাষার পর্যায়ক্রমিক গঠন পরিবর্তন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকতে হবে। প্রুফরিডারকে অবশ্যই হতে হবে ধৈর্যশীল ও তীক্ষ্ণদর্শী। বর্তমান সময়ে প্রফেশনাল প্রুফরিডার ছাড়াও অনেক গ্রন্থকার নিজের গ্রন্থের প্রুফ সংশােধনের কাজ নিজেই করে থাকেন। গ্রন্থকার নিজের গ্রন্থের প্রুফ দেখলে মুদ্রিত গ্রন্থটি বহুলাংশে নির্ভুল হয়। লেখক বা প্রফেশনাল প্রুফরিডার যিনিই প্রুফ-সংশােধনের কাজ করবেন, তাকে কতকগুলাে নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন-

১. প্রুফ হাতে আসার সাথে সাথে সংশােধন কাজ শুরু করা, যাতে সংশােধিত প্রুফ ফেরত পাঠাতে বিলম্ব না হয়।
২. প্রুফ-সংশােধনের সময় মূল পাঠের কোনাে পরিবর্তন বা সংযােজন বাঞ্ছনীয় নয়।
৩. লেখার কোনাে অংশ যাতে পাণ্ডুলিপি হতে বাদ না পড়ে, সেজন্য মূল পাণ্ডুলিপির সাথে মিলিয়ে প্রুফ-সংশােধনের কাজ করতে হবে।
৪. সংশােধনের কাজটি নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করার জন্য একজন সহকারী নেওয়া যেতে পারে, যিনি পাণ্ডুলিপি পড়বেন এবং সাথে। সাথে প্রুফরিডার প্রতিটি লাইন মিলিয়ে প্রয়ােজনীয় সংশােধন করবেন।
৫. প্রুফ-সংশােধনের সংকেত চিহ্নগুলাে প্রুফ-শিটের স্ব স্ব লাইনের বাঁ-দিকের মার্জিনে পরপর লিখতে হবে। প্রয়ােজনে ডান দিকেও লেখা যাবে।
৬. মার্জিনে পৃথক বােঝাতে প্রত্যেক সংকেত চিহ্নের পরে একটা হেলানাে স্ট্রোক (/) দিতে হবে।
৭. বিভাগ ও উপবিভাগের শীর্ষকগুলাের জন্য নির্দেশিত মাপের হরফ ব্যবহার করা হয়েছে কি না সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
৮. মূল পাঠের প্রত্যেক অনুচ্ছেদ, উদ্ধৃতি ও উদাহরণ যথাযথ বিন্যস্ত আছে কি না, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
৯. সংখ্যা, পরিসংখ্যান ও তারিখ নির্ভুল রয়েছে কি না, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
১০. সংযুক্ত চিত্র, চিত্রের নম্বর (যদি থাকে), সরণির পরিচয় ও ক্রমিক সংখ্যা ঠিক আছে কি না, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।

প্রুফ-সংশোধন এ ব্যবহৃত সাংকেতিক চিহ্ন সমূহ:

প্রুফ-সংশোধন কাজে প্রধানতঃ প্রায় ৪৩ টি চিহ্ন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং তাদের ব্যবহারও শিখে নেয়ার চেষ্টা থাকবে।



সাংকেতিক চিহ্ন - ১, প্রুফ-সংশোধন এ বাদ দেয়া বা Delete করার সাংকেতিক চিহ্ন

১. সাংকেতিক চিহ্ন : এই সাংকেতিক চিহ্ন দ্বারা Delete, অর্থাৎ বাদ দেয়া নির্দেশ করা হয়। অর্থাৎ, কোনো কিছু Delete বা বাদ দিতে হবে। কোনাে বর্ণ, শব্দ বা বাক্য যা-ই হোক না কেন বাদ বা বিয়ােজন করার প্রয়ােজনে এ চিহ্ন বসাতে হবে।



সাংকেতিক চিহ্ন - ২, উদ্ভূত ফাঁকা স্থান পূরণ করাসহ Delete বা বিয়োজন করা

২. সাংকেতিক চিহ্ন : Delete, করতে হবে কিন্তু উদ্ভূত ফাঁকা স্থান পূরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন কিছু Delete করতে হবে ঠিকই কিন্তু একইসাথে উদ্ভূত ফাঁকা বা গ্যাপটুকুও জুড়ে বা পূরণ করে দিতে হবে। অর্থাৎ, ওই ফাঁকা জায়গা বা স্পেসটি একসঙ্গে করে দিতে এ চিহ্ন বসাতে হবে।



সাংকেতিক চিহ্ন - ৩, উদ্ভূত ফাঁকাসহ Delete হবে

৩. সাংকেতিক চিহ্ন : Delete হবে এবং উদ্ভূত ফাঁক থাকবে। Delete হবে তবে Delete এর পরে যে ফাঁকা অংশটি থাকবে সে জায়গায় কোন শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। অর্থাৎ, থাকায় ফাঁকা অংশটি জুড়ে দেওয়া যাবে না। এমন ক্ষেত্রে এ চিহ্ন বসাতে হবে।



সাংকেতিক চিহ্ন - ৪, ফাঁক দিয়ে কিছুটা ব্যবধান রাখা

৪. সাংকেতিক চিহ্ন : ফাঁক দিয়ে কিছুটা ব্যবধান রাখতে হবে। কোন শব্দ অথবা সংখ্যা যদি পাশাপাশি চলে আসে যাহা পাশাপাশি থাকা উচিত নয় সে ক্ষেত্রে আমরা শব্দগুলোর মাঝে ফাঁকা স্থান দেখানোর জন্য উপরের চিহ্ন টি ব্যবহার করব।



সাংকেতিক চিহ্ন - ৫, জুড়ে দিতে হবে

৫. সাংকেতিক চিহ্ন : চিহ্নিত স্থানে ফাঁক থাকবে না, একত্রে জুড়ে দিতে হবে। কোন লেখায় প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ফাঁক থেকে গেলে সেই স্থানটি পূরণ করে দেওয়ার জন্যই এই চিহ্নটি বসাতে হবে।



সাংকেতিক চিহ্ন - ৬, মােটা হরফ ব্যবহার করতে

৬. সাংকেতিক চিহ্ন : মােটা হরফ ব্যবহার করতে হবে। Bold অথবা মােটা হরফ আমরা কম বেশি সবাই এর সাথে পরিচিত।কোন শব্দ অথবা বাক্যকে Bold অথবা মোটা হরফে লেখার প্রয়োজন হলে সেখানে আমরা এই চিহ্নটি ব্যবহার করবো।



সাংকেতিক চিহ্ন - ৭, ভাঙা হরফ পরিবর্তন করতে

৭. সাংকেতিক চিহ্ন : ভাঙা হরফ পরিবর্তন করতে হবে। লেখার মধ্যে কোথাও ভাঙ্গা হরফ থেকে গেলে সেই ভাঙা হরফ কে পরিবর্তনের জন্য আমরা এই চিহ্নটি ব্যবহার করবো।



সাংকেতিক চিহ্ন - ৮, ভাঙা হরফ পরিবর্তন করতে

৮. সাংকেতিক চিহ্ন : ভাঙা হরফ পরিবর্তন করতে হবে। উলটা বসানাে হরফ সােজা করতে হবে । লেখার মধ্যে যদি উল্টো বসানো কোন হরফ থাকে তাহলে সেটা পরিবর্তনের জন্য আমরা এই চিহ্নটি ব্যবহার করবো।



সাংকেতিক চিহ্ন - ঌ, ভিন্ন ধরনের হরফ বদল

ঌ. সাংকেতিক চিহ্ন : ভিন্ন ধরনের হরফ বদল হবে। আমরা অনেক সময় একই লেখার ভিতর অনেক ধরনের ফ্রন্ট অথবা হরফের ব্যবহার করে থাকি। ভিন্ন ধরনের হরফ বদল বদল করার জন্য আমরা এই চিহ্নটি ব্যবহার করবো ।



সাংকেতিক চিহ্ন - ১০, শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপের পরিবর্তে পূর্ণ রূপ

১০. সাংকেতিক চিহ্ন : শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপের পরিবর্তে পূর্ণ রূপ হবে। আমরা অনেক সময় লেখার মাঝে অনেক সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করে থাকি । যদি সংক্ষিপ্ত রূপ এর মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ অর্থ প্রকাশ না পায় তাহলে আমরা উপরের চিহ্নটি ব্যবহার করব এবং সংক্ষিপ্ত রূপ এর জায়গায় পূর্ণাঙ্গ রুটি ব্যবহার করব ।



সাংকেতিক চিহ্ন - ১১, শব্দগুলোর মধ্যে একই পরিমাণ ব্যবহার রাখতে

১১. সাংকেতিক চিহ্ন : শব্দগুলোর মধ্যে একই পরিমাণ ব্যবহার রাখতে হবে। আমাদের লেখায় অনেক সময় শব্দগুলোর মধ্যে একই পরিমাণ ব্যবধান থাকে না। লেখার সৌন্দর্য এতে অনেকটা অনেকটা বিনষ্ট হয়। শব্দের মধ্যে ব্যবধান একই সমান হলে পাঠকদের পড়তে এবং বুঝতে অনেকটা সহজ হয়। তাই প্রুফ-সংশোধনের সময় উপরের চিহ্নটি দাঁড়া সকল শব্দের মধ্যে একই পরিমাণ ব্যবধান রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।



সাংকেতিক চিহ্ন - ১২, শব্দ দুটির মাঝে ফাঁকা কম

১২. সাংকেতিক চিহ্ন : শব্দ দুটির মাঝে ফাঁকা কম হবে। আমাদের লেখার মাঝে কখনো কখনো ফাঁকা অংশ সমান থাকে না।লেখার সৌন্দর্য এতে অনেকটা অনেকটা বিনষ্ট হয়। শব্দের মধ্যে ফাঁকা ব্যবধান একই সমান হলে পাঠকদের পড়তে এবং বুঝতে অনেকটা সহজ হয়। তাই প্রুফ-সংশোধনের সময় উপরের চিহ্নটি দাঁড়া সকল শব্দের মধ্যে একই পরিমাণ ফাঁকা ব্যবধান রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

সুযোগ রয়েছে প্রুফ রিডিংকে পেশা হিসেবে নেয়ারও

বর্তমানে প্রুফ রিডিং অনেকের জন্য ভালো একটি পেশাও। প্রুফ রিডিংয়ের চাকরিতে নিজের সৃজনশীলতা প্রদর্শনেরও সুযোগ রয়েছে। এই ক্ষেত্রে নিজের সৃজনশীলতা দেখিয়ে কম সময়ে যাঁরা ভালো আয় করতে চান, তাঁরা প্রুফ রিডিংকে পেশা হিসেবে নিতে পারেন। সারা বছরই বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থা, সংবাদপত্র ও প্রকাশনায় প্রুফ রিডার নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রয়োজন শুধু নিয়মিত খোঁজখবর রাখা।

প্রুফ রিডিংয়ে কাজের ক্ষেত্রঃ

প্রুফ রিডিংয়ের কাজটিকে আপাততঃ সহজ মনে হলেও এর দায়িত্বটা পালন করতে হয় অনেক সচেতনতার সাথে। কারণ, সম্পাদনার সর্বশেষ ধাপই হচ্ছে এই এটি। যেহেতু সর্বশেষ ধাপ, তাই কাজটা অনেক স্পর্শকাতর, অনেক সতর্কতার এবং অনেক দায়িত্বশীলতার। কারণ, তাঁদের হাত থেকে চোখ ফসকে ভুল চলে গেলে তা আর সংশোধনের সুযোগ থাকে না। অবশ্য বিশ্বের অনেক ভাষায় প্রুফ রিডিংয়ের কাজ বর্তমানে কম্পিউটারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে করা হয়। কিন্তু আমাদের কথা ভিন্ন, আমাদের দেশে অন্যান্য অনেক বিষয়ের মত আমরা আজ অবদি নিজেদের ভাষার বানান ইত্যাদির ক্ষেত্রেও বহুধা বিভক্ত। নানান পদ্ধতির বানান ফলো করা হয় এখানে। মিডিয়া হাউসগুলো নিজস্ব বানানরীতি অনুসরণ করে, লেখকেরাও ভিন্ন ভিন্ন বানান রীতি অনুসরণ করে থাকেন। ফলে আমাদের দেশে প্রুফ রিডিংয়ের কাজে কম্পিউটার আজও তার স্থান করে নিতে সক্ষম হয়নি, যার ফলে এইক্ষেত্রটি চলে আসছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেই, যার জন্য এখানে দক্ষ প্রুফ রিডারের যথেষ্ট চাহিদা বর্তমানেও বিদ্যমান। লেখকেরা আলাদা আলাদা বানানরীতি অনুসরণ করেন বলে তাঁদের লেখার ধারাবাহিকতা ও স্বকীয়তা বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থায় প্রুফ রিডারদের চাহিদা ভিন্নরকম হতে পারে। এসব বিবেচনায় রেখেই প্রুফ রিডারকে বুঝতে হবে কোন লেখক এবং কোন হাউস কোন বানানরীতি অনুসরণ করে, সেটা মেনে তাকে কাজ করতে হবে।

আমাদের দেশের প্রধান প্রধান প্রকাশকদের অধিকাংশেরই ঠিকানা রাজধানী ঢাকার বাংলা বাজারে। সঙ্গত কারণে বাংলা বাজার কেন্দ্রিক প্রকাশনা সংস্থাগুলোয় প্রুফ রিডারদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কারণ, সেখানে কারিগরি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। লেখা কম্পিউটার বা ওয়ার্ড ফাইলে নেওয়ার সময় ভেঙে যায়, সেগুলো সঠিকভাবে সম্পাদনার জন্য দক্ষ এবং অভিজ্ঞ প্রুফ রিডারদের প্রয়োজনীয়তা দিনকে দিন বাড়ছেই।

বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা ছাড়াও প্রুফ রিডার হিসেবে কাজের সুযোগ রয়েছে সংবাদপত্র, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা এবং সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে। এ ছাড়া প্রোডাকশন হাউসগুলোয় নাটক, সিনেমা ও বিভিন্ন ধরনের পাণ্ডুলিপি সংশোধনের জন্য প্রুফ রিডার নিয়োগ দেওয়া হয়।

প্রুফ রিডিংয়ে যোগ্যতাঃ

প্রুফ রিডিংয়ে ভালো করতে চাইলে প্রথমতঃ প্রচুর পড়তে হবে। এই পেশায় আসতে হলে অধিক পরিমানে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। বিশেষ করে সাহিত্যবিষয়ক বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, এ পেশায় একাডেমিক শিক্ষাসনদের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা। নিয়মিত অভিধান পড়তে হবে, যেন প্রয়োজনের সময় দ্রুত সঠিক বানানটি বের করা যায়। প্রুফ রিডিংয়ের চাকরিতে নিজের সৃজনশীলতা দেখানোর সুযোগ আছে। পাশাপাশি মনোযোগ দিয়ে স্বল্প পরিশ্রমে সম্মানজনক উপার্জন করা সম্ভব। বিজ্ঞাপনী সংস্থা ও কনটেন্ট রাইটিং হাউসে এই পেশায় দক্ষ জনবল দরকার হয়।

প্রুফ রিডার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে নিজের জানাশোনার আগ্রহ থাকা দরকার। শুদ্ধ করে বানান লেখার খুঁটিনাটি বিষয় আয়ত্তে রাখতে হবে। বানানের ক্ল্যাসিক ও আধুনিক ফরম্যাট সম্পর্কেও থাকতে হবে স্বচ্ছ ও স্পষ্ট ধারণা।

প্রুফ রিডারের চাকরির সন্ধান পাওয়া যাবে যেভাবেঃ

সাধারণতঃ প্রুফ রিডার নিয়োগের জন্য গণমাধ্যম কিংবা চাকরির ওয়েবসাইটে খুব বেশি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় না। পরিচিতজনদের মাধ্যমেই এইসব ক্ষেত্রে অধিকাংশ নিয়োগ দেওয়া হয়। যাঁরা এই পেশায় আসতে চান, তাঁদের বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে পূর্ব থেকে যাঁরা প্রুফ রিডার হিসেবে কাজ করেছেন বা বর্তমানে করছেন, সাধারণত তাঁদের মাধ্যমেই নতুন কর্মী নেওয়া হয়।

প্রুফ রিডারদের বেতন ভাতাদিঃ

বাংলা বাজার কেন্দ্রিক প্রকাশনার সাথে সংশ্লিষ্টদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, প্রকাশনা সংস্থাগুলো সাধারণতঃ মাসিক ও চুক্তিভিত্তিক প্রুফ রিডার নিয়োগ দিয়ে থাকে। এ ছাড়া ফর্মাভিত্তিক হিসেবেও প্রুফ রিডারকে কাজ দেওয়া হয়। মাসিক বেতন সাধারণত ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। যাঁর কাজ যত ভালো, তাঁর আয় তত বেশি। ভালো কাজ করে কেউ কেউ মাসে ৬০-৭০ হাজার টাকাও আয় করে থাকেন বলে জানা যায়। আর ফর্মাভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে বর্তমান ২০২২ সালের হিসেবে সর্বনিম্ন প্রতি ফর্মা ২০০ টাকা দেওয়া হয়। অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রতি ফর্মা এক হাজার টাকাও দেওয়া হয়। গবেষণাধর্মী বইগুলোর ক্ষেত্রে প্রুফ রিডারদের আয় অনেক বেশি হয়। কারণ, সেগুলোর পৃষ্ঠা বেশি এবং তাতে তথ্যও থাকে অনেক বেশি। এসব সংশোধনের জন্য অধিক দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রুফ রিডার দরকার পড়ে।

অভিজ্ঞতা অর্জন করে আপনিও হতে পারেন একজন দক্ষ প্রুফ রিডারঃ

খুবই ইন্টারেস্টিং একটি কাজ। ইচ্ছে করলে আপনিও আসতে পারেন এই পেশায়। অনেক শিক্ষিত বেকার যাদের কাজ নেই, আমার মতে তারা এই সুন্দর কাজটিকে পেশা হিসেবে নিয়ে ভালো করতে পারেন। নিজেদের সৃজনশীলতা তুলে ধরার পাশাপাশি সম্মানজনক আয়ের পথও করে নিতে পারেন তারা।

সূত্রঃ http://www.banglanotebook.com, Click This Link Click This Link https://www.prothomalo.com/
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৪১
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×