somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।nnপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

চার আউলিয়ায় না কি হাসিনার পতন; অতি উত্তম কথা, বলি, ইহা আগে বলোনি ক্যান, বাবা?

২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
চার আউলিয়ায় না কি হাসিনার পতন; অতি উত্তম কথা, বলি, ইহা আগে বলোনি ক্যান, বাবা?

ছবি: অন্তর্জাল হতে সংগৃহিত।

৫ আগস্ট ২০২৪। বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত ঐতিহাসিক একটি দিন। এদিন ছাত্র জনতার রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মুখে পতন হয়েছে নিকৃষ্ট তাবেদার ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের। হাসিনা 'পড়ি কি মরি' করতে করতে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় হেলিকপ্টারে উড়াল দিয়ে জীবন বাঁচাতে মোদীর ঘরে আশ্রয় নিতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। পালিয়েছেন তার দলের অধিকাংশ নেতা পাতি নেতাও। তাদের অনেকেই জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়েছেন। যারা দেশ ছাড়ার সুযোগ পাননি তারাও মাঠে নেই। চলে গেছেন গহীন গর্তে, জঙ্গলে কিংবা রয়েছেন ছদ্মবেশে আত্মগোপনে।

এমন আত্মগোপনে থাকা কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলতে পেরেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। তাদেরই একজন সংবাদ মাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, ‘গ্যাং অব ফোর’ বা চার জনের গ্যাংই না কি হাসিনাকে ডুবিয়েছেন। অবশ্য, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস একথা উল্লেখ করেনি যে, ঠিক কোন নেতা এই ‘গ্যাং অব ফোর’ তত্ত্বটি দিয়েছেন। তবে সেই নেতা হাসিনার পতনের জন্য দলের অভ্যন্তরীণ একটি স্বার্থগোষ্ঠীকে দায়ী করে বলেছেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) আমাদের কথা শোনেননি।’ এই গোষ্ঠীকে ‘গ্যাং অব ফোর’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, "গোষ্ঠীটি শেখ হাসিনাকে বাস্তব অবস্থা বুঝতে দেয়নি।"

এই চার নেতা হলেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ (জয়), বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

আওয়ামী লীগের ওই নেতা বলেন, "চারজনের এই দল তাঁর (হাসিনা) পতনে নেতৃত্ব দিয়েছে। এই ব্যক্তিদের ওপর তাঁর ছিল অন্ধবিশ্বাস। তাঁর যে সহজাত রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছিল, তা তিনি তাঁদের কারণে হারিয়েছেন।"

তা সে যে নেতাই হোন, আমি বলি, বাবা, চার আউলিয়ার এই তত্ত্ব তুমি যদি বুঝেই থাকো, তাহলে তা আগে বলোনি কেন? আগে বললে তো হাসিনার পালানোই লাগতো না। সে দেশেই থাকতে পারতো। ক্ষমতাও তাকে হারাতে হতো না। আরো আরো মানুষ খুন করতে পারতো। তার আরও রক্তক্ষুধা মেটাতে পারতো। আওয়ামী লীগের এইসব নেতাদের নিয়ে আর পেরে উঠছি না।

কই, এই সেদিনও তো ওবায়দুল কাদের, হাসিনাদের গলা বড় করে প্রায়ই বলতে শোনা যেত যে, "আওয়ামী লীগ পালায় না।"

বলি, কি রে মিথ্যাবাদী ওকা, এখন পালালি কেন? তোর নেত্রী পালালো কেন? আসাদুজ্জামান কামাল গং ভেগে গেলো কেন? সাহস থাকে তো এখন সামনে আয়। জনতার সামনে এসে কথা বল। পারবি? তোর পলাতক নেত্রীকে বলে দ্যাখ, পারবে?

বলি, অষ্টপ্রহর কুমন্ত্রণা দেওয়া সেই মিথ্যাবাদী হাসানুল হক ইনু আজ কই? নারায়নগঞ্জের সন্ত্রাস খ্যাত শামীম ওসমান কোথায়? চেতনার বড়ি বিক্রি করা সেই মুরগী কবিরেরা এখন কোথায়? আরে, এইসব খুনী রাঘব বোয়ালদের কথা আর বলে লাভ কী? বলি, এখন তো এই তল্লাটে দেখা মিলছে না তোদের আন্ডা বাচ্চাগুলোরও, তল্পিতল্পাসহ হারিয়ে গেছে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ল্যাসপেন্সাররাও। কই, কোথায় হারিয়ে গেল এসব আবর্জনার দল?

বলি, ওকা, এত সহজ মনে করিস না। ভাবিস না- পালিয়েছিস বলেই বেঁচে গিয়েছিস। একটি একটি করে ধরে এনে অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে তোদের চক্রের প্রতিটি খুনীকে। প্রতিটি অপরাধীকে। প্রতিটি দেশদ্রোহীকে। মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত প্রতিটি জল্লাদকে। তোদের বিচার করবে এ দেশের জনতা। জনতার হাত থেকে তোদের ভারতও বাঁচাতে পারবে না। যেমন শেষপর্যন্তু ভারত পারেনি তোদের ক্ষমতায় ধরে রাখতে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৪২
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×