

সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আটক করা হয়েছে। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে সীমান্তে তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে ২৩ আগস্ট বিজিবি সদর দপ্তরের এক খুদে বার্তায় জানানো হয়েছে।
মানিক একটা জিনিষ বটে!
মানিক যে সত্যিই একজন চরিত্রবান লোক তার প্রমান তিনি আটক হওয়ার সময়ও দিয়েছেন। বিজিবি সদস্যদের টাকা পয়সার প্রলোভন দেখান মানিক। কিন্তু বেরসিক বিজিবি সদস্যগণ তার কথায় সম্মত হয়ে টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দিতে রাজি হননি। যুগান্তরের রিপোর্ট দেখা যেতে পারে-
আটকের পর বিজিবি সদস্যদেরকে যে প্রলোভন দেখান বিচারপতি মানিক
যে কৌশলে ভারতে পালাতে চেয়েছিলেন বিচারপতি মানিক
পালানোর সময় সীমান্ত থেকে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আটক
এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি অবসরে যান। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও টেলিভিশন টক শোতে প্রচুর বিতর্কিত কথা বলেছেন তিনি।
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী ডনা এলাকা থেকে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আটক করা হয়েছে বলে বিজিবি সূত্র জানিয়েছে। ওই সূত্র জানায়, ডনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। এ সময় বিজিবির একটি টহল দল তাঁকে আটক করে।
বিচারপতি নিজেই ছিলেন বিচারের উর্ধ্বেঃ
এই বিচারপতির আমলনামা অনেক দীর্ঘ। এক দুইটি প্রতিবেদনে তার কীর্তির কিছু মাত্র বর্ণনা করা সম্ভব নয়। এই পচা মাল যে কি জিনিষ গত ১৬ টা বছর দেশের সবকিছু যে এদের হাতে বেঘোরে লুটপাট হয়েছে তার সর্বশেষ প্রমান সরকারি বাড়ির ভাড়া না দেওয়াই তার সর্বশেষ প্রমান। দেখুন, ১৫ আগস্ট ২০২৪ প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদ-
সরকারি বাড়ির ভাড়া পরিশোধ করছেন না শামসুদ্দিন চৌধুরী
এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় মানিকের নামে গত সোমবার নোয়াখালীর আদালতে মামলা হয়েছে। কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি করেন।
তার বিরুদ্ধে আরেকটি আবেদন জমা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অনুসন্ধানের জন্য। মানিকের বিরুদ্ধে বাড়িভাড়া, গ্যাস ও পানির বিল বাবদ সরকারের ১৪ লাখ ১৯ হাজার ২০০ টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগে দুদকে এই আবেদন করা হয়। বুধবার (২১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন এই আবেদনটি জমা দেন।
মানিক কি সত্যিই ৬০/ ৭০ লাখ টাকাসহ পালাচ্ছিলেন?
আটকের পরে সঙ্গে কী আছে জানতে চাইলে বিজিবি সদস্যদের মানিক বলেন, গতকাল আমার কাছে অনেক টাকা ছিল। যারা আমাকে বর্ডার পাড় করাতে চেয়েছিল তারা আমাকে মেরে ৬০-৭০ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। এখন আমার সঙ্গে ব্রিটিশ পাসপোর্ট, বাংলা পাসপোর্ট আর কিছু টাকা, ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড আছে।
বিজিবির হাতে আটক হওয়ার পরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যাতে দেখা যায়, জিজ্ঞাসাবাদে বিজিবি সদস্যদের কাছে মানিক স্বীকার করেছেন, তিনি ১৫ হাজার টাকার কন্টাক্টে ভারতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দুজন লোক ভারতের ভেতরে নিয়ে তাকে মারধর করে ৬০-৭০ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
মানিকের এই স্টেটমেন্ট যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের আরেকটি মামলা হওয়া উচিত কি না, খতিয়ে দেখে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
দেশের এই মহা কীর্তিমান(!) পুরুষকে উপযুক্ত সম্মান দিয়ে যথাযথ প্রাপ্য প্রদান করার জন্য সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ রাখছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



