
সাকিব আল হাসানসহ খেলাধুলা এবং বিনোদন জগতের আরও কোনো কোনো ব্যক্তির নামে ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে। ইদানিং যত মামলা হচ্ছে, বেশিরভাগই হত্যা মামলা। সাকিব আল হাসানের নামেও খুনের মামলাই হয়েছে। এই নিয়ে কিছু লোকের মধ্যে ভিন্ন ধরণের একটি আবেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। খেলোয়ার বলে সাকিব আল হাসান কিংবা মাশরাফির প্রতি কেউ কেউ অন্যরকম একটি আবেগ দেখাতে চাচ্ছেন। বলি, সাকিব আল হাসান কিংবা মাশরাফি - এরা তো দুধে ধোয়া তুলসি পাতা নন। এরা তো ফ্যাসিবাদের দোসর। খুনী হাসিনার এরা তো একেকটি ঘুটি।
রাজপথে ছাত্রজনতার বুক যে গুলির আঘাতে ঝাঝরা করা হচ্ছিল, তা তো এই সাকিব আল হাসান আর মাশরাফিদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদদেই করা হয়েছিল। ফ্যাসিবাদীরা এই সাকিব আল হাসান আর মাশরাফি প্রমুখদের সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে জনগণের দৃষ্টি বিগত দিনগুলোতে ভিন্ন দিকে ফেরানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। এদেরকে দেখিয়ে হাসিনার অপরাধগুলো আড়াল করার চেষ্টা হতো। এদেরকে দেখিয়ে তরুন যুব সমাজকে হাসিনা নিজের প্রতি এবং আওয়ামী লীগের প্রতি সহানুভূতিশীল করার অপচেষ্টা করা হতো। এটা ছিল ফ্যাসিবাদী হাসিনার একটি নিকৃষ্ট কৌশল।
সুতরাং এখন আর নয়। বিচারের সময় এখনই। বিচার সবার জন্য সমান - এই কথা যদি সত্য হয়ে থাকে, ফ্যাসিবাদের দোসর, খুনী হাসিনার দোসর, তার ৩০০ এমপির প্রতিটি এমপিই তার অবৈধ ফ্যাসিবাদের একেকটি খুঁটি ছিল। প্রতিটি অপকর্মের সহযোগী ছিল। এদের প্রত্যেকের বিচার হওয়া উচিত। আর সাকিব আল হাসান কিংবা মাশরাফি যদি এতই ভালো হয়ে থাকবেন, তাহলে তারা কেন এই শত শত খুন দেখেও পদত্যাগ করলেন না? তারা কেন প্রতিবাদ করলেন না? তারা কেন আওয়ামী লীগের মত এমন খুনীদের দল থেকে বেরিয়ে এলেন না? খেলোয়ারের ছদ্মাবরণে খুনীর চেহারা বাংলাদেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। নায়কের ছদ্মাবরণে হত্যাকারীর চেহারা এবার জনগণের সামনে প্রকাশ হয়ে গেছে। এবার জনতার আদালতে বিচারের পালা।
আজকে যারা সাকিব আল হাসান, মাশরাফি কিংবা ফেরদৌসের নামে হত্যা মামলা হওয়ায় হাত কচলাচ্ছেন, খুনী হাসিনার এইসব সভাসদদের জন্য যাদের দরদ উথলে উঠছে, ছাত্রজনতার আন্দোলনে আপনাদের পরিবারের কেউ নিশ্চয়ই খুন হয়নি। আপনাদের সন্তানরা আন্দোলনে মাঠেও হয়তো নামেনি। নামলে এবং কেউ শহীদ হলে আপনাদের জ্বলতো। বুকের ভেতরে আগুন জ্বলতো। ক্ষোভের আগুন। দ্রোহের আগুন। খুনী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আপনাদের রক্তে আগুন ধরে যেত। স্বজন হারানোর নিরব আর্তনাদ আপনাদের ঘুমুতে দিত না। কঁচিকাচা শত শত শহীদের অতৃপ্ত আত্মার কান্না আপনাদের স্থির হতে দিত না। এই সস্তা আবেগ উথলে ওঠার প্রশ্নই আসতো না। সুতরাং, আপনারা তাহলে কারা? আপনাদের পরিচয় কী? ইতোপূর্বে নিশ্চয়ই এই আপনারাই ফ্যাসিবাদী হাসিনারই সহযোগী ছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে আপনাদের মিথ্যা ছলনাময়ী আবেগের স্থান এখন আর নেই। বিচারের ক্ষেত্রে আবেগ নয়, বিচার সবার জন্য একই গতিতে চলবে - তবেই এর নাম ন্যায়বিচার।
বলি, সাকিব আল হাসান, মাশরাফি আর ফেরদৌসরা যদি এতই ভালো হয়ে থাকবেন, তাহলে তারা বিতর্কিত নির্বাচনে অংশ নিলেন কেন? হাসিনার চরম বিতর্কিত, একতরফা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি ব্যক্তি নীতিহীন বর্বর। এই বর্বরদের কারণেই খুনী হাসিনার কালো হাত শক্তিশালী হয়েছিল। হাসিনাকে শক্তিশালী করার অপরাধে, ফ্যাসিস্টকে সহায়তা করার অপরাধে- এদের প্রত্যেককে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। শুধু আওতায় আনলেই হবে না, অবশ্যই কঠোর বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

আপনার নেতৃত্ব অনুপ্রেরণা যোগায়, হাসিনার জন্মদিনে সাকিব
সাকিব একদা বলেছিলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব তাকে অনুপ্রেরণা যোগায়।
সাকিবকে বিনয়ের সাথে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হয়, সাকিব, হাসিনার মত প্রতিহিংসাপরায়ন একজন অসুস্থ ব্যক্তির নিকট থেকে আপনি কিসের অনুপ্রেরণা লাভ করেন? ফ্যাসিবাদের? খুনের? মিথ্যাবাদিতার? ছলনার? ভারতের তা্বেদারির?
সপরিবারে হাসিনার আমন্ত্রণে সাকিব
আহারে! একেই বলে দহরম মহরম! সপরিবারে ফ্যাসিবাদী খুনীর বাসায় সাকিব!

সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



