
আসলে বাংলাদেশে যে কোনো জঙ্গি নেই এটা এখন প্রমানিত সত্য। এই দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ কিন্তু তারা কখনও জঙ্গি ছিলেন না। বিপদগামী ছিলেন না। আগেও ছিলেন না। শুধুমাত্র পার্শ্ববর্তী একটি দেশের কাছে আত্মবিক্রিত ক্রিমিনালদের চোখেই এ দেশে জঙ্গি ধরা পড়ে। হাসিনার সময়েই এদেশে জঙ্গি নাটকের উত্থান। হাসিনার আমলে জঙ্গি অভিযানের নামে আসলে যে একেকটি নাটক মঞ্চস্থ করা হতো তা ইতোমধ্যেই প্রমান হয়ে গেছে। ইহা করা হতো মূলতঃ প্রতিবেশী সেই রাষ্ট্রটির প্রেসক্রিপশনেই। তারা যেভাবে নাটকের স্ক্রিপ্ট লিখে দিত হাসিনা সেভাবেই তা বাস্তবায়ন করতো। সে জঙ্গি অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা করতো। এটা করেই টিকে ছিল হাসিনা। এটা ছিল বিরোধীদের দমন করে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষনের মাধ্যমে নিজের ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ ও নির্বিঘ্ন রাখার অন্যতম কৌশল।
বলি, দেশে এখন জঙ্গি হামলা নেই কেন? এর কারণ খুবই স্পষ্ট, জঙ্গি নাটকের কলাকুশলি, কারিগর, কুশিলবদের প্রায় অধিকাংশই ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। যারা দেশে আছেন তারাও আছেন আত্মগোপনে। জঙ্গি হামলা কিংবা জঙ্গি নাটক মঞ্চস্থ করার মত পজিশনে এখন আর নেই।
এই অপশক্তির রাহুগ্রাস থেকে দেশ যেভাবে মুক্তি লাভ করেছে, এইভাবেই দেশ এগিয়ে যাক উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং প্রগতির দিকে। মিথ্যা জঙ্গিবাদ দমনের অযুহাতে আর কোনো মায়ের কোল যেন খালি না হয়, এমন ঘৃণ্য নাটক যেন দেশবাসীকে পুনরায় আর দেখতে না হয়, সেটাই দেশবাসীর চাওয়া।
নানান ধর্মের মানুষের আন্তরিক সহাবস্থান এদেশে হাজার বছরের। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এদেশের মানুষ শান্তিকামী। এই শান্তিই ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বময়।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



