সম্প্রতি সামহোয়্যার ইন ব্লগে চিহ্নিত এক বিকৃতমনস্ক ও চরিত্রহীন ব্যক্তি কুরআনের সূরাকে ‘বিভ্রান্তিমূলক’ বলে মন্তব্য করেছে—যা শুধুমাত্র চরম ধৃষ্টতা নয়, বরং ইসলাম ধর্মের প্রতি পরিকল্পিত বিদ্বেষ ও অবমাননার জঘন্য প্রকাশ। এই দুশ্চরিত্র ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগে ইসলাম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে যাচ্ছে, যেন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করাই তার একমাত্র উদ্দেশ্য। তার ব্যক্তিজীবন চারিত্রিক অবক্ষয় ও মানসিক বিপর্যয়ে পূর্ণ—এক অন্ধকারে নিমজ্জিত আত্মা, যে কুরআনের নূর মেনে নিতে পারে না।
কুরআনের প্রতি এমন মন্তব্য শুধুই অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং এটি কুপ্রবৃত্তি ও বিকৃত আত্মার এক আত্মরক্ষা-মূলক প্রতিক্রিয়া। কারণ কুরআন অন্যায়, অসভ্যতা ও অনৈতিকতাকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে। তাই এ ধরনের লম্পটদের কাছে কুরআন সব সময়ই ‘বিভ্রান্তির উৎস’ বলে মনে হয়—কারণ সত্যের আলো তাদের অন্ধকার কর্মকাণ্ডের মুখোশ খুলে দেয়।
কুরআন কোনো মানুষের ব্যাখ্যার দাস নয়। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিলকৃত এমন এক চিরন্তন হিদায়াত, যাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। যারা কুরআনকে বিভ্রান্তিকর বলে আখ্যা দেয়, তারা নিজেরাই আত্মিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে বিভ্রান্ত, পথহারা। কুরআনের অবমাননা ইসলাম ধর্মে মারাত্মক গোনাহ—এমনকি ঈমান হরণের কারণ পর্যন্ত হতে পারে।
এই প্রেক্ষিতে আমাদের করণীয় হলো: ধৈর্য ও জ্ঞানের সঙ্গে যুক্তিনির্ভর জবাব দেওয়া, এ ধরনের কটূক্তিকারীদের সামাজিকভাবে বর্জন করা এবং কুরআনের সঠিক বার্তা আরও বলিষ্ঠভাবে প্রচার করা। এ ছাড়া আমরা মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করি, তিনি যেন এই বিভ্রান্ত আত্মাটিকে হিদায়াত দান করেন অথবা তার অপপ্রচারকে ব্যর্থ করে দেন। কুরআনের ব্যাপারে আল্লাহ নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন:
“নিশ্চয়ই আমিই কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই এর সংরক্ষণ করবো।” (সূরা হিজর: ৯)
এ পর্যায়ে আমরা সামহোয়্যার ইন ব্লগ কর্তৃপক্ষের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই, ধর্ম অবমাননায় লিপ্ত এ ধরনের বিদ্বেষপ্রসূত লেখককে ব্লগনীতিমালার আওতায় এনে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন, যাতে ধর্মীয় অনুভূতিতে বারবার এমনভাবে আঘাত করার সুযোগ আর না থাকে।
অবশেষে, বলতেই হয়—কুরআনের আলো কোনো লম্পটের অন্ধকার মস্তিষ্ক দিয়ে নিভিয়ে ফেলা যায় না। আল্লাহর কালাম চিরন্তন, চিরজীবিত—আর সত্যকে কখনোই মিথ্যার চাপে দমন করা যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৫৭