প্রতিটি হত্যার পরেই খুনীর দোসররা সোৎসাহে বলে ওঠে—
"ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে।"
কিন্তু ইসরায়েলের এই "আত্মরক্ষা"টা আসলে কী?
মধ্যপ্রাচ্যের বুকে ধারাবাহিকভাবে চলা
এই ধ্বংসযজ্ঞ কি সত্যিই আত্মরক্ষা, নাকি এক নির্মম গণহত্যা?
পাখির মতো নিরীহ মানুষদের গুলি করে হত্যা,
নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে বোমাবর্ষণ,
শিশুদের ঝাঁঝরা করা দেহ, লাশের স্তূপ,
ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যাওয়া ভবিষ্যৎ—
এসব কি আদৌ কোনো ন্যায্য আত্মরক্ষার অজুহাত হতে পারে?
সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন, ইরান—প্রতিটি প্রান্তে
রক্তের হোলিখেলা চালিয়ে যারা হত্যায় মত্ত,
তাদের পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষক শুকরখেকোরা
গদগদ ভঙ্গিতে ঢেকুর তোলে অতঃপর
ঠাণ্ডা মাথায় বলে, "ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে।
Israel has the right to self-defense"
কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়—
কত রক্ত ঝরালে এই 'আত্মরক্ষা' পরিপূর্ণ হবে?
কত মায়ের কোল খালি হলে তাদের তৃপ্তি আসবে?
কত শিশুকে, কত বাবা-মা, ভাই-বোন,
স্বামী-স্ত্রীকে মরতে হবে,
তবেই কি তারা বলবে— "এবার যথেষ্ট হয়েছে!"?
যদি এই 'অধিকার'-এর দাম হয় লক্ষ লক্ষ নিরপরাধ প্রাণ,
যদি তা রক্ত দিয়ে লিখতে হয় মানবতার ইতিহাস,
তবে এটি আর আত্মরক্ষা নয়—এটি একটি সুপরিকল্পিত গণহত্যা,
ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়।
ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।
এই হত্যাযজ্ঞের দায় শুধু ইসরায়েলের নয়—
এর দায় সেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির,
যে ইসরায়েলকে অস্ত্র ও সমর্থন দিয়ে
এই নৃশংসতাকে উস্কে দিচ্ছে।
এর দায় পশ্চিমা মিডিয়া ও নীতিনির্ধারকদের,
যারা এই বর্বরতাকে 'আত্মরক্ষা' নামে সাজাতে চায়।
এর দায় সেই সব নীরব দর্শকের,
যারা অন্যায় দেখেও চোখ ঘুরিয়ে নেয়।
রক্তপাতের এই নাটক শেষ হতে হবে।
মানবতা জয়ী হোক, নিষ্ঠুরতা নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৫৭