somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।nnপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

আয়াতুল কুরসি: কুরআনের সর্বোচ্চ মহিমান্বিত আয়াত – একটি গভীর গবেষণামূলক বিশ্লেষণ

১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আয়াতুল কুরসি: কুরআনের সর্বোচ্চ মহিমান্বিত আয়াত – একটি গভীর গবেষণামূলক বিশ্লেষণ

আয়াতুল কুরসির ক্যালিগ্রাফি, freepik.com থেকে সংগৃহিত।

পরিচিতি

কুরআন মজীদ মুসলিম জীবনের সর্বোচ্চ দিকনির্দেশক গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত, কারণ এতে অসংখ্য আয়াত রয়েছে যা মানুষের দৈনন্দিন চিন্তা-ভাবনা এবং আধ্যাত্মিকতাকে গড়ে তোলে। এই গ্রন্থের মধ্যে কিছু আয়াত বিশেষভাবে প্রভাবশালী, যা কঠিন সময়ে মানুষের হৃদয়ে প্রশান্তি এনে দেয়। এর মধ্যে সুরা আল-বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত, যা 'আয়াতুল কুরসি' নামে পরিচিত, কুরআনের সবচেয়ে মহিমান্বিত এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে স্বীকৃত। এই আয়াতটি আল্লাহর একত্ববাদ (তাওহীদ), তাঁর অসীম জ্ঞান, শক্তি, সার্বভৌমত্ব এবং মহিমার একটি অতুলনীয় ঘোষণা। রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে এটিকে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত বলে অভিহিত করেছেন, যা হাদিসের বিভিন্ন সহিহ সংকলনে বর্ণিত। এই আয়াতের গুরুত্ব শুধু ধর্মীয় নয়, বরং এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য, যা বিশ্বব্যাপী মুসলিম সমাজে গভীর প্রভাব ফেলে।

এই গবেষণামূলক নিবন্ধে আয়াতুল কুরসির আরবি টেক্সট, বাংলায় উচ্চারণ, অনুবাদ এবং মূল শিক্ষা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া, এর ফজিলতগুলো সহিহ হাদিসের আলোকে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রখ্যাত মুফাসসিরদের ব্যাখ্যা, এর তাৎপর্য এবং দৈনন্দিন জীবনে এর প্রয়োগ নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উপরন্তু এখানে ঐতিহাসিক প্রসঙ্গ এবং আধুনিক প্রয়োগ যোগ করা হয়েছে, যার ফলে নিবন্ধটি আরও সমৃদ্ধ হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আয়াতুল কুরসি নাজিলের কারণ এবং আজকের বিশ্বে এর মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব নিয়ে চিন্তা করলে বুঝা যায়, এটি কতটা সমকালীন এবং বিশ্বব্যাপী প্রাসঙ্গিক। এই নিবন্ধের উদ্দেশ্য হলো এই আয়াতের গভীরতাকে একটি অসাধারণ গবেষণামূলক দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরা, যাতে পাঠকেরা এর মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার সান্নিধ্য লাভের প্রেরণা লাভে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন। এই বিশ্লেষণ কুরআন, হাদিস এবং প্রামাণ্য তাফসিরের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যা মুসলিমদের ঈমানকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

ঐতিহাসিক প্রসঙ্গ: নাজিলের কারণ (আসবাব আন-নুজুল)

আয়াতুল কুরসির নাজিলের প্রসঙ্গ নিয়ে গবেষকদের মধ্যে কিছু মতভেদ রয়েছে, কিন্তু অধিকাংশ সূত্র অনুসারে এটি মদীনায় নাজিল হয়েছে, সম্ভবত উহুদ যুদ্ধের পরে। একটি বর্ণনায় বলা হয়েছে যে, রাসুল রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর একটি প্রশ্নের উত্তরে এই আয়াত নাজিল হয়। উদাহরণস্বরূপ, ইহুদীদের কিছু লোক রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহর স্বভাব নিয়ে প্রশ্ন করলে, এই আয়াত নাজিল হয় তাদের প্রশ্নের উত্তর হিসেবে। অন্য একটি রিওয়ায়াতে বলা হয়েছে যে, এটি রাতে নাজিল হয় এবং জায়দ ইবনে সাবিত (রা.) এটি লিখে রাখেন। আমার মতে, এই প্রসঙ্গটি আমাদের বুঝিয়ে দেয় যে, আয়াতুল কুরসি শুধু একটি ধর্মীয় ঘোষণা নয়, বরং তখনকার সমাজের চ্যালেঞ্জগুলোর উত্তরও। এটি মুসলিমদেরকে শিরক এবং সন্দেহ থেকে রক্ষা করার জন্য নাজিল হয়েছে, যা আজও প্রাসঙ্গিক।

আয়াতুল কুরসির আরবি টেক্সট, উচ্চারণ এবং অনুবাদ

আয়াতুল কুরসি হলো সুরা আল-বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত। এর আরবি টেক্সট নিম্নরূপ:

اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ

আল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা- হুয়া আল-হাইয়্যুল-ক্বাইয়্যূম, লা- তা'খুযুহু- সিনাতুওঁ ওয়ালা- নাও-ম, লাহূ মা- ফিস্-সামা-ওয়া-তি ওয়া মা- ফিল আরদ, মান্ যাল্লাযি- ইয়াশফাউ ইন্দাহু- ইল্লা- বি ইযনিহ, ইয়ালামু মা- বাইনা আইদিহিম ওয়া মা- খালফাহুম, ওয়ালা- ইউহিতু-না বি শাইইম্ মিন ইলমিহি- ইল্লা- বিমা- শা’-আ, ওয়াসিয়া কুরসিইহুস্-সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ, ওয়ালা- ইয়াউ-দুহু হিফযুহুমা-, ওয়াহুয়াল আলিইয়্যুল আজি-ম।

বাংলা অনুবাদ:

আল্লাহ—তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বশক্তিমান। তাঁকে তন্দ্রা বা ঘুম স্পর্শ করে না। আসমানসমূহে যা কিছু আছে এবং জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তাঁরই। কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তিনি জানেন যা তাদের সামনে আছে এবং যা তাদের পিছনে আছে। আর তারা তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুকে পরিবেষ্টন করতে পারে না, কেবল যা তিনি চান তা ছাড়া। তাঁর কুরসি আসমানসমূহ এবং জমিনকে পরিবেষ্টিত করেছে। আর এ দুটির রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর জন্য কোনো ক্লান্তিকর নয়। আর তিনি সর্বোচ্চ, মহান।

এই আয়াতটি তার সংক্ষিপ্ততা সত্ত্বেও আল্লাহর গুণাবলির একটি পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা প্রদান করে, যা কুরআনের অন্য কোনো একক আয়াতে এত বিস্তৃতভাবে পাওয়া যায় না। আমি যখন এটি পড়ি, তখন মনে হয় যেন এটি আল্লাহর সার্বভৌমত্বের একটি জীবন্ত চিত্র।

আয়াতুল কুরসির মূল শিক্ষা: একটি বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি

আয়াতুল কুরসি আল্লাহর গুণাবলির একটি সার্বিক চিত্র তুলে ধরে, যা তাওহীদের মূল ভিত্তি। নিম্নে এর মূল শিক্ষাগুলো বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা হলো:

আল্লাহর একত্ববাদ (তাওহীদ): "আল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা হুয়া" – এটি আল্লাহর একত্বের স্পষ্ট ঘোষণা। এতে বোঝানো হয়েছে যে আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, যা কুরআনের মূল বার্তা।
চিরঞ্জীবতা এবং সর্বশক্তিমানতা: "আল-হাইয়্যুল-ক্বাইয়্যূম" – আল্লাহ চিরঞ্জীব এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি কোনোকিছুর উপর নির্ভরশীল নন, বরং সৃষ্টি তাঁর উপর নির্ভরশীল।
তন্দ্রা বা ঘুমের অভাব: "লা- তা'খুযুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাওম" – আল্লাহ কখনো অসতর্ক বা অজাগ্রত হন না, যা তাঁর সর্বজ্ঞতা এবং সর্বব্যাপীতার প্রমাণ।
সার্বভৌমত্ব: "লাহূ- মা- ফিস্-সামা-ওয়া-তি ওয়া মা- ফিল আরদ" – আসমান ও জমিনের সবকিছু তাঁর মালিকানায়, যা তাঁর অসীম ক্ষমতা প্রকাশ করে।
সুপারিশের শর্ত: "মান্ যাল্লাযি- ইয়াশফাউ ইন্দাহু- ইল্লা- বি ইযনিহ" – কোনো সুপারিশ তাঁর অনুমতি ছাড়া গ্রহণযোগ্য নয়, যা কিয়ামতের দিনের বিচারের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে।
অসীম জ্ঞান: "ইয়ালামু মা- বাইনা আইদি-হিম ওয়া মা- খালফাহুম... ইল্লা বিমা- শা’আ" – তাঁর জ্ঞান অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে পরিবেষ্টিত, কিন্তু সৃষ্টিরা তা পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারে না।
কুরসির বিস্তার: "ওয়াসিয়া কুরসিইহুস্-সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ" – তাঁর কুরসি (সিংহাসন বা ক্ষমতার আসন) সমগ্র সৃষ্টিকে ঘিরে আছে, যা তাঁর মহিমার প্রতীক।
রক্ষণাবেক্ষণের সহজতা: "ওয়ালা- ইয়াউ-দুহু হিফযুহুমা-" – সৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর জন্য কোনো বোঝা নয়।
সর্বোচ্চতা: "ওয়াহুয়াল আলিইয়্যুল আজি-ম" – তিনি সর্বোচ্চ এবং মহান, যা তাঁর অতুলনীয়তা প্রকাশ করে।

এই শিক্ষাগুলো কুরআনের অন্যান্য আয়াতের সাথে সংযোগ স্থাপন করে, যেমন সুরা ইখলাসের সাথে তাওহীদের মিল। গবেষকরা এটিকে তাওহীদের সারাংশ হিসেবে দেখেন, যা মুসলিমদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগযোগ্য। উদাহরণস্বরূপ, আজকের ব্যস্ত জীবনে এই আয়াত আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন, যা স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

আয়াতুল কুরসির ফজিলত: হাদিসভিত্তিক গবেষণা

আয়াতুল কুরসির ফজিলত কুরআন এবং হাদিসে বারবার উল্লেখিত। নিম্নে প্রধান ফজিলতগুলো হাদিসের উদ্ধৃতিসহ উপস্থাপন করা হলো।

সবচেয়ে বড় আয়াত (মর্যাদায়):

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا أَبَا الْمُنْذِرِ، أَتَدْرِي أَيُّ آيَةٍ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ مَعَكَ أَعْظَمُ؟ قَالَ: قُلْتُ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: يَا أَبَا الْمُنْذِرِ، أَتَدْرِي أَيُّ آيَةٍ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ مَعَكَ أَعْظَمُ؟ قَالَ: قُلْتُ: اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ. فَضَرَبَ فِي صَدْرِي وَقَالَ: وَاللَّهِ لِيَهْنِكَ الْعِلْمُ أَبَا الْمُنْذِرِ

বাংলা অনুবাদ: রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন: "হে আবু মুনজির, তুমি জানো কি, আল্লাহর কিতাবের মধ্যে তোমার কাছে থাকা সবচেয়ে মহান আয়াত কোনটি?" তিনি বললেন: "আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল ভালো জানেন।" তিনি আবার বললেন: "হে আবু মুনজির, তুমি জানো কি, আল্লাহর কিতাবের মধ্যে তোমার কাছে থাকা সবচেয়ে মহান আয়াত কোনটি?" তিনি বললেন: "আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া আল-হাইয়্যুল-ক্বাইয়্যূম।" তখন তিনি তার বুকে হাত রেখে বললেন: "আল্লাহর কসম, জ্ঞান তোমাকে অভিনন্দিত করুক, হে আবু মুনজির।" -সহিহ মুসলিম, হাদিস ৮১০

এখানে 'বড়' বলতে মর্যাদা বোঝানো হয়েছে, দৈর্ঘ্য নয়। কুরআনের সবচেয়ে দীর্ঘ আয়াত সুরা বাকারার ২৮২ নম্বর।

শয়তান থেকে সুরক্ষা:

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:

فَإِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ فَاقْرَأْ آيَةَ الْكُرْسِيِّ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ حَتَّى تَخْتِمَ الْآيَةَ فَإِنَّكَ لَنْ يَزَالَ عَلَيْكَ مِنْ اللَّهِ حَافِظٌ وَلَا يَقْرَبُكَ شَيْطَانٌ حَتَّى تُصْبِحَ

বাংলা অনুবাদ: "যখন তুমি তোমার বিছানায় যাবে, তখন আয়াতুল কুরসি পড়ো: 'আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া আল-হাইয়্যুল-ক্বাইয়্যূম' শেষ পর্যন্ত। তাহলে আল্লাহ তোমার উপর একজন রক্ষক নিযুক্ত করবেন এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার কাছে আসতে পারবে না।" -সহিহ বুখারি, হাদিস ২৩১১

এই হাদিসটি শয়তানের প্রলোভন থেকে সুরক্ষার একটি শক্তিশালী উপায় হিসেবে এই আয়াতকে তুলে ধরে।

নামাজের পর পড়ার ফজিলত:

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:

مَنْ قَرَأَ آيَةَ الْكُرْسِيِّ دُبُرَ كُلِّ صَلَاةٍ مَكْتُوبَةٍ لَمْ يَمْنَعْهُ مِنْ دُخُولِ الْجَنَّةِ إِلَّا أَنْ يَمُوتَ

বাংলা অনুবাদ: "যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার জান্নাতে প্রবেশে কেবল মৃত্যু বাধা হয়ে থাকবে।" -সুনানে নাসাঈ, হাদিস ৯৯২৮

এটি জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করে, যা মুসলিমদের নামাজের পর এই আয়াত পড়তে উৎসাহিত করে।

আয়াতুল কুরসির আরও কিছু ফজিলত:

১. সকালে পড়লে সারাদিন সুরক্ষা

হাদিসে বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি সকালে আয়াতুল কুরসি পড়বে, সে সারাদিন আল্লাহর হেফাজতে থাকবে। এটি শয়তান (জিনসহ অশুভ শক্তি) থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:

عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ لَهُ جَرِينٌ مِنْ تَمْرٍ فَكَانَ يَتَعَاهَدُهُ فَوَجَدَهُ يَنْقُصُ فَحَرَسَهُ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَإِذَا هُوَ بِدَابَّةٍ شَبَهُ الْغُلَامِ الْمُحْتَلِمِ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ قَالَ مَا أَنْتَ جِنِّيٌّ أَمْ إِنْسِيٌّ قَالَ جِنِّيٌّ قَالَ نَاوِلْنِي يَدَكَ فَنَاوَلَهُ يَدَهُ فَإِذَا يَدُهُ يَدُ كَلْبٍ وَشَعْرُهُ شَعْرُ كَلْبٍ قَالَ هَكَذَا خَلْقُ الْجِنِّ قَالَ قَدْ عَلِمَتْ الْجِنُّ أَنَّهُ لَيْسَ فِيهِمْ أَشَدُّ مِنِّي قَالَ مَا جَاءَ بِكَ قَالَ بَلَغَنَا أَنَّكَ تُحِبُّ الصَّدَقَةَ فَجِئْنَا نَأْخُذُ مِنْ طَعَامِكَ نَصِيبًا قَالَ فَمَا يَحْمِينَا مِنْكُمْ قَالَ آيَةُ الْكُرْسِيِّ مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ إِنْ قَرَأْتَهَا صَبَاحًا حُفِظْتَ مِنَّا حَتَّى الْمَسَاءِ وَإِنْ قَرَأْتَهَا مَسَاءً حُفِظْتَ مِنَّا حَتَّى الصَّبَاحِ قَالَ فَغَدَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَ الْخَبِيثُ (حاكم ٢١٠٨)

বাংলা অনুবাদ:

উবাই বিন কা'ব (রা.) থেকে বর্ণিত: তার একটি খেজুরের পাত্র ছিল, যা কমতে শুরু করেছিল। তিনি এক রাতে তা পাহারা দেন এবং দেখেন একটি প্রাণী যা যুবকের মতো। তিনি সালাম দেন এবং সে সালামের জবাব দেয়। উবাই জিজ্ঞেস করেন, "তুমি জিন না মানুষ?" সে বলে, "জিন।" উবাই বলেন, "তোমার হাত দেখাও।" সে হাত দেখায়, যা কুকুরের পায়ের মতো এবং লোম কুকুরের মতো। তিনি বলেন, "জিনরা এমনই সৃষ্টি। জিনরা জানে যে তাদের মধ্যে আমার চেয়ে শক্তিশালী কেউ নেই।" উবাই জিজ্ঞেস করেন, "কী তোমাকে এখানে আনল?" সে বলে, "আমরা শুনেছি তুমি দান করতে ভালোবাসো, তাই আমরা তোমার খাদ্য থেকে আমাদের অংশ নিতে এসেছি।" উবাই বলেন, "কী আমাদের তোমাদের থেকে রক্ষা করবে?" সে বলে, "সুরা আল-বাকারার আয়াতুল কুরসি। যদি সকালে পড়ো, তাহলে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের থেকে সুরক্ষিত থাকবে। আর যদি সন্ধ্যায় পড়ো, তাহলে সকাল পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকবে।" পরদিন সকালে উবাই রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জানালেন। রাসুল (সা.) বললেন, "অশুভটি সত্য বলেছে।" -হাকিম ২১০৮

রেফারেন্স: হাকিম ২১০৮ (সহিহ)। এটি সকালে পড়ার ফজিলতকে স্পষ্ট করে, যা সারাদিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

২. বাড়িতে পড়লে শয়তান দূরে থাকে (জিন বা কালো জাদু থেকে রক্ষা)

হাদিসে বলা হয়েছে যে, বাড়িতে আয়াতুল কুরসি পড়লে শয়তান দূরে থাকে এবং জিন বা কালো জাদু থেকে রক্ষা করে। এটি বাড়িতে অশুভ শক্তির প্রবেশ রোধ করে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا قُرِئَتْ فِي بَيْتٍ فَرَّ الشَّيْطَانُ مِنْهُ وَتِلْكَ الْآيَةُ آيَةُ الْكُرْسِيِّ (الترغيب، مجلد ٢، صفحہ ٣٧٠)

বাংলা অনুবাদ:

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: "যখন কোনো বাড়িতে এটি পড়া হয়, তখন শয়তান সেখান থেকে পালিয়ে যায়; আর সেই আয়াত হলো আয়াতুল কুরসি।" -আত-তারগীব, খণ্ড ২, পৃ. ৩৭০

রেফারেন্স: আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব, খণ্ড ২, পৃ. ৩৭০। এছাড়া, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি সমর্থক হাদিসে (সহিহ মুসলিম ৭৮০) বলা হয়েছে যে, সুরা আল-বাকারা পড়লে বাড়িতে শয়তান থাকতে পারে না, এবং আয়াতুল কুরসি তার সর্বশ্রেষ্ঠ অংশ। জিন বা কালো জাদুর জন্য এটি রুকইয়াহ হিসেবে ব্যবহৃত হয় (ইসলামকিউএ থেকে)।

৩. সকাল-সন্ধ্যায় পড়ার ফজিলত (মৃত্যুর সময় সাহায্য)

অনেক হাদিসে উল্লেখ আছে যে, সকাল এবং সন্ধ্যায় পড়লে আল্লাহর সুরক্ষা পাওয়া যায়, এবং এটি মৃত্যুর সময় সাহায্য করে (যেমন জান্নাতে প্রবেশে মৃত্যু ছাড়া কোনো বাধা থাকবে না)। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:

عَنْ أَبِي أُمَامَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ قَرَأَ آيَةَ الْكُرْسِيِّ دُبُرَ كُلِّ صَلَاةٍ مَكْتُوبَةٍ لَمْ يَمْنَعْهُ مِنْ دُخُولِ الْجَنَّةِ إِلَّا الْمَوْتُ (নাসাঈ ٯ٩٨٨)

বাংলা অনুবাদ:

আবু উমামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: "যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার জান্নাতে প্রবেশে কেবল মৃত্যু বাধা হয়ে থাকবে।" -সুনানে নাসাঈ ৯৯২৮

রেফারেন্স: সুনানে নাসাঈ ৯৯২৮ (ইবনে হিব্বান কর্তৃক সহিহ বলে গ্রেডেড)। এটি মৃত্যুর সময় সাহায্যের প্রতীক, কারণ মৃত্যু পর্যন্ত জান্নাত নিশ্চিত। সকাল-সন্ধ্যার সুরক্ষার জন্য উপরের হাদিস (হাকিম ২১০৮) প্রযোজ্য, যা সারাদিন-রাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
এই ফজিলতগুলো হাদিসের সহিহ সংকলন থেকে সংগৃহীত, যা এর আধ্যাত্মিক শক্তিকে প্রমাণ করে। আমার চিন্তায়, এগুলো শুধু ধর্মীয় নয়, বরং মানসিক প্রশান্তির জন্যও অমূল্য।

মুফাসসিরদের ব্যাখ্যা: গবেষণামূলক দৃষ্টিকোণ

প্রখ্যাত মুফাসসিররা আয়াতুল কুরসির গভীরতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। আমি এখানে আরও কয়েকজনের ব্যাখ্যা যোগ করেছি, যাতে বিষয়টি আরও সমৃদ্ধ হয়।

ইমাম কুরতুবি (রহ.): তাঁর তাফসির 'আল-জামি লি আহকামিল কুরআন'-এ বলা হয়েছে যে এই আয়াত আল্লাহর মহিমার সার্বিক বর্ণনা, যা তাওহীদ প্রতিষ্ঠায় সর্বশ্রেষ্ঠ দলিল। এতে আল্লাহর জীবন, জ্ঞান এবং কুদরতের পূর্ণতা বর্ণিত। তিনি 'কুরসি'-কে আল্লাহর ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। -কুরতুবি, ৩/২৭৬

ইবনে কাসীর (রহ.): তাঁর 'তাফসিরুল কুরআনিল আজিম'-এ বলা হয়েছে যে এই আয়াত প্রমাণ করে আল্লাহর কুরসি সমগ্র আসমান-জমিনকে পরিবেষ্টিত। 'কুরসি' বলতে তাঁর মহিমান্বিত সিংহাসন বা ক্ষমতার আসন বোঝানো হয়েছে। তিনি এটিকে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত বলে অভিহিত করেন। -ইবনে কাসীর, ১/৩৯৯

ইবনুল কাইয়িম (রহ.): তাঁর 'আল-ফাওয়ায়েদ'-এ বলা হয়েছে যে আয়াতুল কুরসি তাওহীদের স্পষ্টতম ব্যাখ্যা। যে এটিকে আন্তরিকভাবে পাঠ করবে, তার ঈমান দৃঢ় হবে এবং আল্লাহর প্রতি ভরসা বাড়বে। তিনি এটিকে আধ্যাত্মিক প্রশান্তির উৎস হিসেবে দেখেন। -ইবনে কাইয়িম, পৃ. ১০৩

ইবনে আব্বাস (রা.): তিনি বলেন যে, 'কুরসি' হলো আল্লাহর জ্ঞানের প্রতীক, যা সমগ্র সৃষ্টিকে ঘিরে আছে।

শায়খ ইবনে উসাইমীন (রহ.): আধুনিক তাফসিরে তিনি বলেন যে, এই আয়াত আল্লাহর গুণাবলি নিয়ে এত গভীর যে, এটি পড়লে ঈমান বাড়ে এবং শিরক থেকে দূরে রাখে।

এই ব্যাখ্যাগুলো এই আয়াতকে তাওহীদের মূল দলিল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে, যা গবেষকদের জন্য অমূল্য সম্পদ। আমি মনে করি, এগুলো পড়লে বুঝতে পারি কেন এই আয়াতটি শতাব্দী ধরে মুসলিমদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

কেন আয়াতুল কুরসি এত তাৎপর্যপূর্ণ? একটি গবেষণামূলক মূল্যায়ন

আয়াতুল কুরসির তাৎপর্য তার গভীরতায় নিহিত। আমি যখন এ নিয়ে চিন্তা করি, তখন মনে হয় এটি শুধু ধর্মীয় নয়, বরং জীবনের একটি গাইডলাইন:

তাওহীদের ঘোষণা: এটি আল্লাহর একত্ববাদকে প্রতিষ্ঠিত করে, যা ইসলামের মূল ভিত্তি।
হেফাজতের প্রতিশ্রুতি: শয়তান এবং অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা করে, যা হাদিসে প্রমাণিত।
আত্মার প্রশান্তি: পাঠ করলে হৃদয়ে সান্ত্বনা আসে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, এমন ধর্মীয় পাঠ মেডিটেশনের মতো কাজ করে স্ট্রেস কমায়।
জান্নাতের সুসংবাদ: নিয়মিত পাঠকারীর জন্য জান্নাত অবধারিত, যা আখিরাতের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
আধুনিক প্রয়োগ: আজকের বিশ্বে এটি বাড়ির দেওয়ালে ক্যালিগ্রাফি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা পরিবারকে আল্লাহর স্মরণ করিয়ে দেয়। এছাড়া, মেন্টাল হেলথ থেরাপিতে এর পাঠকে অনেকে প্রমোট করেন।

গবেষণায় দেখা যায় যে এই আয়াত মুসলিম সমাজে সুরক্ষা, প্রশান্তি এবং ঈমানের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আমরা কি এটিকে শুধু পড়ি, নাকি এর শিক্ষা অনুসরণ করি?

কখন এবং কীভাবে আয়াতুল কুরসি পড়বেন

প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর: জান্নাতের পথ সুগম করে।
ঘুমানোর আগে: শয়তান থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
বিপদের সময়ে: আল্লাহর হেফাজতে থাকার জন্য।
বাচ্চাদের শেখানো: তাদের আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য।
সকালে: সারাদিনের সুরক্ষার জন্য।
অতিরিক্ত: যাত্রায় বা অসুস্থতায় পড়লে বিশেষ ফজিলত।

উপসংহার

আয়াতুল কুরসি কেবল একটি আয়াত নয়; এটি মুমিনদের জন্য একটি ঢাল, প্রশান্তির উৎস এবং ঈমানের দৃঢ়তার প্রতীক। এর মাধ্যমে আল্লাহর মহিমা এবং একত্বের ঘোষণা কুরআন এবং হাদিসে বারবার উল্লেখিত। আমাদের উচিত এটি মুখস্থ করা, নিয়মিত পাঠ করা এবং এর শিক্ষা অনুসরণ করে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করা। এই গবেষণা প্রমান করে যে এই আয়াত ইসলামী জ্ঞানের একটি অমূল্য রত্ন, যা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। আমি আশা করি, এই নিবন্ধ পড়ে আপনারা নতুন করে এই আয়াতের প্রতি আকৃষ্ট হবেন।

সূত্রসমূহ

১। কুরআন মজীদ, সুরা আল-বাকারা, আয়াত ২৫৫।
২। সহিহ মুসলিম, হাদিস ৮১০ (আয়াতুল কুরসির মর্যাদা)।
৩। সহিহ বুখারি, হাদিস ২৩১১ (শয়তান থেকে সুরক্ষা)।
৪। সুনানে নাসাঈ, হাদিস ৯৯২৮ (নামাজের পরের ফজিলত)।
৫। কুরতুবি, আল-জামি লি আহকামিল কুরআন, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ২৭৬ (দারুল কুতুব আল-মিসরিয়্যাহ, ১৯৬৪)।
৬। ইবনে কাসীর, তাফসিরুল কুরআনিল আজিম, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৩৯৯ (দারুস সালাম, ১৯৯৯)।
৭। ইবনে কাইয়িম, আল-ফাওয়ায়েদ, পৃষ্ঠা ১০৩ (দারুল মাআরিফ, কায়রো, ২০০৪)।
৮। ইবনে উসাইমীন, তাফসির আয়াতুল কুরসি (অনলাইন সোর্স থেকে সংগৃহীত)।
৯। ইয়াকিন ইনস্টিটিউট, "Virtues of Ayatul Kursi" (২০২৪)।
১০। আবু আমিনা ইলিয়াস, "Hadith on Ayat al-Kursi" (২০১৩-২০১৯)।
১১। ইসলাম কোয়েশ্চন অ্যান্ড আনসার, "Virtues of Ayatul Kursi" (২০০০)।
১২। লাইফ উইথ আল্লাহ, "Ayat al-Kursi: The Greatest Protection"।
১৩। অন্ডারস্ট্যান্ড কুরআন অ্যাকাডেমি, "The Miracle of Ayatul Kursi"।
১৪। ভোকাল মিডিয়া, "Ayatul Kursi: Understanding Islam's Powerful Verse of Protection" (২০২৫)।
১৫। الطبراني، المعجم الكبير، حديث رقم 7532
১৬। مسلم، صحيح مسلم، حديث رقم 780
১৭। الطبراني، كتاب الدعاء، حديث رقم 1194
১৮। الألباني، صحيح الترغيب والترهيب، حديث رقم 658
১৯। النووي، الأذكار، باب: فضل تلاوة القرآن
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:০৭
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×