
তার নাম আবুল সরকার। তিনি বাউল। পালাগান ইত্যাদি করে বেড়ান। একটি ভিডিওতে একইসাথে নারী-পুরুষদের হাতে হাত রেখে তাকে বাইয়াত করতেও দেখলাম। কীসব পাঠ করছেন এবং করাচ্ছেন। সবই ভুলভাল। এই আবুলই সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে আল্লাহ, কুরআন, রাসুল ﷺ ও ফেরেশতাদের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর ও বেআদবিমূলক বক্তব্য দেন, যা সাধারণ মুসলিমদের মনে তীব্র আঘাত ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। তিনি নিজের অজ্ঞতা থেকে কুরআন-হাদিস নিয়ে বিভ্রান্তিকর উল্টাপাল্টা ব্যাখ্যা দেন এবং হাদিস উদ্ধৃত করতে গিয়ে এমন উদ্ভট, বেআদবিমূলক শব্দ ব্যবহার করেন, যা আল্লাহর শানে অসম্মান ও উপহাসের নামান্তর।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জে সাধারণ মুসলমানদের ভেতরে প্রতিক্রিয়া তীব্র হয়, এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ইন্টেরিম সরকার দ্রুত তাকে গ্রেফতার করলেও বাউল সমাজ দাবি তোলে, তিনি ইচ্ছাকৃত ধর্ম অবমাননা করেননি, বরং আঞ্চলিক উচ্চারণ ও ভুল বোঝাবুঝির কারণে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই নিয়ে তৌহিদি জনতার ব্যানারে সাধারণ মুসলমানদের বিক্ষোভ থেকে বাউল সম্প্রদায়ের সমাবেশে হামলার ঘটনাও ঘটে, যা অগ্রহণযোগ্য।
অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও বাউলদের ওপর হামলার নজির রয়েছে। বর্তমান ঘটনাটি সেই ধারাবাহিকতারই প্রতিফলন বলে অনেকে মনে করছেন। তবুও মূল বিষয়টি স্পষ্ট: ধর্মীয় বিষয়ে আবুল সরকারের বক্তব্য ছিল দৃষ্টিকটু, অজ্ঞতাপূর্ণ এবং চরম ধৃষ্টতাসূচক।
আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া সমর্থনযোগ্য নয়, তবে এমন সংবেদনশীল বিষয়ে বেপরোয়া মন্তব্যকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে কেউ ধর্মীয় বিষয় নিয়ে অবিবেচনাপ্রসূত বক্তব্য দিতে সাহস না পায়।
বাউল আবুল সরকার আল্লাহ তাআ'লার শানে এবং ফেরেশতাদের নিয়ে চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ বেআদবিমূলক কথাবার্তা বলেছেন। তার দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি অবশ্যই হওয়া উচিত। আমাদের সমাজে বারবার একটি বিষয়ের পুনরাবৃত্তি লক্ষ্য করা গেছে, এখানে আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে অনেক ক্ষেত্রেই আইন নিজের হাতে তুলে নেন, এক্ষেত্রেও সেটা যাতে না ঘটে সে লক্ষ্যে আইনের দৃশ্যমান সঠিক প্রয়োগ একান্তভাবেই বাঞ্ছনীয়।
আবুল সরকারের আপত্তিকর সেই বক্তব্য শুনে আসতে পারেন-
যে বক্তব্যের কারণে গ্রেফতার হয়েছে বাউল শিল্পী আবুল সরকার
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




