রাজধানীর মহাখালী এলাকায় হেফাজতের মিছিল থেকে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেফাজতের লংমার্চ ও মতিঝিলের সমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণায় হরতালের মধ্যে শনিবার সকাল ৯টার দিকে মহাখালীর আমতলা ক্রসিংসে রাস্তার ওপর চেয়ার ও কার্পেট বিছিয়ে সমাবেশ শুরু করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা-কর্মীরা।
এ সময় বনানীর দিক থেকে হেফাজত কর্মীদের একটি মিছিল মতিঝিলের দিকে যাওয়ার সময় নির্মূল কমিটির সমাবেশে হামলা চালানো হয়।
নির্মূল কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, “আমাদের সমাবেশের পাশ দিয়ে হেফাজত কর্মীদের বড় একটি মিছিল যাচ্ছিল। আর মহাখালী রেল ক্রসিংয়ের দিকে জড়ো হয়ে ছিল বেশ কিছু লোক। মিছিলের মধ্যেই হঠাৎ আমাদের সমাবেশের ওপর ঢিল ছোড়া শুরু হয়। এরপর কয়েকজন এসে আমাদের চেয়ারগুলো ভেঙে দেয়।”
এই হামলায় নির্মূল কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
মুল নিউজ এখানে : Click This Link
হেফাজতে ইসলাম বলেছিল, তাদের লং মার্চ শান্তিপূর্ণ। এই তাদের শান্তির নমুনা। গতকাল তারা চট্টগ্রামে একাত্তর টিভির সাংবাদিকদের পিটিয়েছে। আজ মহাখালিতে হামলা চালাল। ফরিদপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে মেরেছে। টেলিভিশনে তাদের তাণ্ডব দেখলাম। জামাত শিবির যেই স্টাইলে তাণ্ডব চালাচ্ছে, সেই স্টাইলেই এরা তাণ্ডব চালাচ্ছে।
যারা এখন হাততালি দিচ্ছেন, তারা এদের রাষ্ট্রক্ষমতায় বসিয়ে দেন। দেখেন কিভাবে আপনাকে জবাই করবে। বিএনপি প্রকাশ্যেই মতিঝিলের ২২টি পয়েন্টে লংমার্চকারীদের খাবার ও ঔষধ দিচ্ছে। জাতীয় পার্টিও পানি খাওয়াচ্ছে। তারা ভেবেছে এরা তাদের পোষা কুকুর হয়ে যাবে। বাস্তবে হবে না। এদের মূল টার্গেট রাষ্ট্রক্ষমতা, ইসলাম নয়। এদের সঙ্গে আছে জামাত শিবির। Click This Link
তাদের প্রথম টার্গেট হবে সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ - আওয়ামী লীগ বিএনপি কেউ রেহাই পাবে না। পরের টার্গেট হবে সাংবাদিকরা, লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবীসহ সকল সাধারণ মানুষ। তারা ব্লাসফেমি আইন পাস করে যাকে খুশি তাকে ফাসিতে ঝোলাবে। নাসারাদের স্টাইলের এই আইনের বলে অসংখ্য নিরপরাধ মানুষের জীবন যাবে। তারা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করবে। নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ করবে। নারীদের চাকুরি থেকে বহিষ্কার করবে। বন্ধ হয়ে যাবে গার্মেন্টস সেক্টর। বন্ধ হয়ে যাবে সকল নারীবাদী প্রতিষ্ঠান। আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে তারা এটাই করেছে।
সব উগ্রপন্থী তাদের বিরুদ্ধ মত সহ্য করেন না। আল্লামা শফি এখন মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশের সুরে কথা বলছেন। বুশ বলেছিল, হয় তুমি আমার পক্ষে থাকে, নয় তুমি সন্ত্রাসী। আল্লামা শফি বলছেন, তাদের বাধা দিলে সরকার নাস্তিক। বাধা না দিলে আস্তিক। অর্থাৎ তাদের পক্ষে না থাকলেই তারা যাকে তাকে নাস্তিক বানিয়ে দেবে। তারা নাস্তিক আস্তিকের সার্টিফিকেট নিয়ে বসে গেছে ।
মোল্লাতন্ত্র পৃথিবীর সব দেশকেই পিছিয়ে দিয়েছে। এ দেশকেও দেবে। এদের প্রতিরোধ না করে যারা ভোটের লোভে এদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন, এক সময় এরাই এদের হাতে মারা পড়বেন।
আমরা সাধারণ মানুষরা খুব সহজেই এদের প্রতিরোধ করতে পারি। সকল লিল্লাহ বোর্ডিং এবং মাদ্রাসায় দান করা বন্ধ করে দিন। আপনার দান নিয়ে আপনার গলায় ছুরি চালানোর জন্য এরা তৈরি হচ্ছে। আপনি কি চান আপনার দান খেয়ে এরা আপনার সন্তানকে ইসলাম রক্ষার নাম নিয়ে জবাই করুক ?
আমার ঈমান আমার কাছে। কারও সার্টিফিকেট দরকার নাই আমি ঈমানদার নাকি নাস্তিক। আমি কারও কাছে দায়বদ্ধ নই, দায়বদ্ধ স্বয়ং আল্লাহর কাছে। আমি কতটুকু ঈমানদার একমাত্র আল্লাহই জানেন। পরকালে আমার ঈমানের উপর নির্ভর করেই মহান আল্লাহতায়ালা আমাকে পুরস্কার অথবা শাস্তি দিবেন। কোন মোল্লার সার্টিফিকেটের দরকার হবে না। স্বয়ং আল্লাহর কাছে কোন মোল্লার সার্টিফিকেটের কোন মূল্যও নাই।
আসলে হেফাজত কী ? Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




