১. সারাদিন অফিস করি, মন পড়ে থাকে শাহবাগে । অফিসে বসে কাজের চেয়ে বেশী সময় ধরে ব্লগ, প্রথম আলো, বিডি নিউজ ঘাটতে থাকি । মোবাইলে ফেসবুক আপডেট তো আছেই ।
- চাকরীটা আমি ছেড়ে দেব খুব শীঘ্রই!
২. অফিস শেষে শাহবাগ পোছেই চলে যাই ছবির হাট । চা-নাস্তা করেই একছুটে শাহবাগের মূল মঞ্চের যতটা কাছে যেতে পারি । চলতে থাকে শ্লোগান, গান । রক্তে আমার আগুন । যে শ্লোগানে আমার অন্তর কেঁপে উঠে - "জয় বাংলা", আমি আমার হৃদয় দিয়ে অনুভব করি দেশের প্রতি আমার টান । এ শ্লোগান আমার, আমাদের জনতার । এটা আওয়ামী লীগের না । এতদিন আমাদের শিখানো হয়েছে "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ" - এ আমার শ্লোগান না । এ ভিনদেশী জারজদের শ্লোগান, যারা আমার মা, মাটি, স্বদেশ এর শত্রুকে আশ্রয় দেয় ।
- জয় বাংলা!
৩. আমার পাশের লোকটা একটা বিস্কুট দুই তিন ভাগে ভাগ করে হাসিমুখে বিলিয়ে দেয় পাশের জনকে । একটা চকলেট দুইভাগ করে বাড়িয়ে দেয় । আধখাওয়া খিচুড়ির প্যাকেট এগিয়ে দেয় । আমিও নিশ্চিন্ত মনে ভাগ বসাই । পানির বোতলে একচুমুক দিয়ে, তৃষ্ণা না মিটলেও হাসি মুখে পানির বোতল এগিয়ে দেয় । অচেনা এই লোকগুলোর জন্য ভালবাসায় বুকটা ভরে উঠে । চোখে পানি চলে আসে ।
- "আমার কাছে দেশ মানে এক লোকের পাশে অন্য লোক।"
৪. যুদ্ধাপরাধীবিরোধী স্বাক্ষর সংগ্রহের ব্যানারে, কে যেন বড় করে লিখে রেখেছে "মা", দেশ আর মা যে এক এতদিন শুধু মুখেই বলে এসেছি । এই ছয়দিনে চেতনার আগুনে পুড়ে পুড়ে বুঝছি দেশ কত বড় মা । আমি খুব আবেগী মানুষ, আমার চোখ ভিজে উঠে মানুষের এই চেতনা, ভালবাসা দেখে ।
- তোমার ভয় নেই মা আমরা, প্রতিবাদ করতে জানি ।
৫. একই মঞ্চে জনতা তোফায়েল কে বোতল ছুড়ে বের করে দেয়, সেই মঞ্চেই নকিব খান গান গেয়ে যান, মানূষের ভালবাসা পান ।
-পুর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্তলাল, রক্তলাল, রক্তলাল ।
তুমি কে? আমি কে? বাঙ্গালী, বাঙ্গালী । তাহলে ঘরে বসে আছ কেন? শাহবাগ চল । আমিও যাচ্ছি ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


