যৌন নিপীড়নের অভযিযোগ সন্দেহাতীতভাব প্রমানতি না হওয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক মোঃ ছানোয়ার হোসনে সানিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে ১৩ সপ্টেম্বের। উল্লখ্যে যে ঐ বিভাগের ২১ জন ছাত্রীর লখিতি অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে শিক্ষার্থীরা যৌন নিপীড়ক শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপসারণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা প্রণয়নরে জন্য আন্দোলন করছিল। সানির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে নিয়ে ৩ দফা তদন্ত হয়। এর মধ্যে প্রথম দুই দফার তথ্যানুসন্ধান কমিটি ঘটনার সত্যতার আলামত পাওয়া গেছে কিন্তু আরো তদন্ত দরকার বলে মন্তব্য কর। কিন্তু ৩য় দফার তদন্ত কমিটির রিপোর্ট গোপন এবং সিন্ডিকেটের এরকম সিদ্ধান্ত গ্রহনের ঘটনায় মনে হয় যে প্রশাসনের মূল আগ্রহ আসলে সানিকে রক্ষা করার দিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ পিরিয়ে আনার দিকে নয়।
উল্লেখ্য যে, ২২ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের হাতে সানি লাঞ্ছিত হবার পর ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য মিক্ষকদের একটি সভায় বলেছেন, " সানি তুমি মনে করো না তুমি একা। আমরা সবাই তোমার সাথে আছি। " এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি কি বোঝতে চেয়েছেন যে সানি তুমি নিশ্চিন্ত থাকো, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে যৌন নিপীড়কদের অভয়ারন্যে পরিণত করা হবে। ঐ একই সভায় কয়েকজন শিক্ষক সানিকে সমবেদনা জানিয়েছেন এবং ক্ষমা চেয়েছেন। কারণ তারা মনে করেন, আন্দোলনের এই ৪ মাস সানির অনেক অপমান ও লাঞ্ছনা হয়ছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে, ছাত্র-ছাত্রীদরে অভিভাবক হিসেবে তাদের দায়িত্ব নিপীড়িত ছাত্রীদের পক্ষ নেয়া। তাদের সমবেদনা জানানো। তাদের প্রতি ক্ষমা চাওয়া। অথচ আমরা দেখলাম যে ২২ তারিখে সানিকে মারধোরের ঘটনায় যে ৬ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৩ জনই হল সানির বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দাখিলকারী।
ঘটনার সময়ে যেখানে প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল সেখান থেকে অভিযোগকারী ও আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিল এমন ছাত্র-ছাত্রীদের বাছাই করে বের করা উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে অনেকেরই মনে হচ্ছে। আবার এতোদিন ধরে যেসব শিক্ষার্থী নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছিল হঠাৎ করে কেন তারা সানিকে মারতে উদ্যত হল এবং ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলরে ক্যডাররা সানিকে উদ্ধার করতে কেন ঐ সময়ই সেখানে উপস্থিত ছিল সেটা সন্দেহ উদ্রেককারী। গুজবে শোনা গেছে যে সানি ক্যাডারদের ৮০ হাজার টাকা দিয়েছিল এই পুরো ঘটনা সাজানোর জন্য।
সর্বশেষ পরিস্থিতি যা দাঁড়ালো অর্থাৎ নিপীড়ক শিক্ষকের মুক্তি ও অভিযোগকারীদের এবং আন্দোলনকারীদের শাস্তি তাতে ২২ তারিখের ঘটনাকে উস্কানিমূলক মনে করার সন্দেহকে আরো জোরালো করে।
আমি বলতে চাই না যে রাস্তায় মেয়েদের উত্যক্ত করলে স্যান্ডেল খুলে নিপীড়ককে পেটানোর যে সংস্কৃতি আমাদের মধ্যে চালু আছে সেরকমভাবে জাবি'র এই শিক্ষককে প্রহার করা শিক্ষার্থীদের উচিত হয়েছে। বরং আমি বলতে চাই যে এই ঘটনার কারনে জাবি'র মূল দাবী- যৌন নিপীড়কের শাস্তি এবং যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা প্রণয়ন - এ থেকে মনোযোগ সরানো কোনমতেই ঠিক হবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, জাহাঙ্গীরনগররে এই আন্দোলন আসলে নারীর বিকাশের জন্য নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন, নিরাপদ সমাজ নিশ্চিত করার একটি ধারাবাহিক আন্দোলন।
স¤প্রতি দি র্যাডকিাল থরোপস্টি নামে একটি বই পড়ছলিাম। বইটতিে ব্যক্তরি বচ্ছিন্নিতাবোধ ও ক্রোধকে ব্যাখ্যা করা হয়ছেে এইভাবে যে যখন কউে নপিীড়নরে শকিার হয় এবং সইে নপিীড়ন নয়িে অচতেন থাকে তখন সে একা বোধ কর।ে সকলরে থকেে বচ্ছিন্নি বোধ কর।ে যমেন, কোন ছাত্রী যদি কোন শক্ষিকরে দ্বারা নপিীড়নরে শকিার হয় এমন হতে পারে যে এ নয়িে সে নজিকেইে দোষারোপ করতে থাক।ে কারণ সে এই নপিীড়ন নয়িে অচতনে রয়ছে।ে ক্রমে এই অবস্থা তাকে বচ্ছিন্নিতাবোধরে দকিে ঠলেে দয়ে। এ থকেে অনকেে আত্মহত্যার মত সদ্ধিান্তে চলে যতেে পার।ে আমাদরে দশেে এরকম হাজারো উদাহরণ আছে যে নারীরা নপিীড়ন-নর্যিাতনরে শকিার হয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে সটো “নারী জন্মরে র্দুভাগ্য” বলে নজিকেইে দোষারোপ করতে থাক।ে আবার, যখন কোন ব্যাক্তি নপিীড়নরে শকিার হয় এবং জানে যে এটি তার উপর নপিীড়ন তখন সে ক্রুদ্ধ হয়ে উঠ।ে আর যখন কোন ব্যক্তি নপিীড়ন নয়িে সচতেন হয়, ক্রুদ্ধ হয়, নপিীড়নরে উৎস সম্বন্ধে জানে এবং অন্য আরো মানুষ যারা এই নীপড়িনরে মূলোৎপাটনরে জন্য কাজ করছে তাদরে সাথে যোগাযোগ কর,ে সংঘবদ্ধ হয় তখনই আসলে মানুষ সমাজ বদলরে রাস্তায় নাম।ে নীপড়িনরে বরিুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর সমাজ বদলরে সইে পথইে হাঁটছে কারণ তারা মনে করে যৌন নপিীড়নরে ঘটনা ঘটলে সটো নয়িে লজ্জায় মাথা কাটা যাবে ভবেে চুপ করে থাকা সুস্থতা না। তারা সঠকিভাবইে মনে করে যে অন্যায় নয়িে সোচ্চার হওয়াটাই সবচাইতে জরুরী কাজ।
জাহাঙ্গীরনগররে প্রশাসন শক্ষিকদরে দলাদলরি রাজনীতরি সুযোগে সানকিে রহোই দয়িে কতদনিই বা তাকে রক্ষা করতে পারব?ে ঐ ছোট্ট কোচড় থকেে সানকিে বাইরে বরে হতইে হব।ে নপিীড়নরে বরিুদ্ধে সোচ্চার মানুষরে মুখোমুখি তাকে হতইে হব।ে সটো জাহাঙ্গীরনগররে ভতেরইে হোক আর বাইরইে হোক। আর কথাটা যত পুরোনোই হোক না কনে আবারও বলি য,ে যে শক্ষিকরা সানকিে সর্মথন দলিনে তাদরেও তো ময়েে সন্তান আছ।ে তাদরে ময়েরো ভাইভা পরীক্ষা খারাপ হলে যদি শক্ষিকরে ঘরে যায় বষিয়টা আলাপ করতে আর শক্ষিক সইে সুযোগে তাকে জাপটে ধরে বা চুমু খতেে যায় সটো তারা মনেে নতিে পারতনে? আজকে সানকিে মুক্তি দয়িে আপনি কি আপনার সন্তানদরে জন্যও এই সমাজক/েশক্ষিাঙ্গনকে বপিন্ন করে ফলেনেন?ি
বশ্বিবদ্যিালয় মঞ্জুরী কমশিন যৌন নপিীড়ন বরিোধী নীতমিালা নয়িে কাজ করছনে। পৃথবিীর বশেীরভাগ বশ্বিবদ্যিালয়ইে এই ধরণরে নীতমিালা রয়ছেে অনকে বছর আগে থকেইে অথচ আমাদরে দশেে এটা করাতে এক জাব’ির শক্ষর্িাথীদরেই আন্দোলন করতে হচ্ছে ১৯৯২ সাল থকে।ে জাবি ছাড়াও আন্দোলন হয়ছেে ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়,ে সলিটে বশ্বিবদ্যিালয়।ে যাই হোক দরেী করে হলওে এই নীতমিালা প্রণীত হতে যাচ্ছে বলে আমরা ধন্য। কন্তিু নীতমিালা সকল পাবলকি বশ্বিবদ্যিালয় গ্রহণ করবে কি না, এর প্রায়োগ কতটুকু করা যাবে বা কভিাবে করা যাবে এ নয়িে এখনও বস্তির বর্তিক চলছ।ে আমি প্রশ্ন তুলতে চাই আরও গোড়ার দকি।ে নীতমিালা প্রণয়নই কি এই সমস্যার সমাধান করব?ে যদি যৌন নপিীড়ন নয়িে তদন্তকারী ব্যক্তরিা মনে করে যে নারীরা প্রাকৃতকিভাবে র্দূবল লঙ্গি, তারা যৌন ভোগরে বস্তু, তারা সন্তান জন্ম দবোর জবৈ যন্ত্র, তারা সংসার সামলানোর সবো দাসী তাহলে ২১ কনে ২১ শত নারী বললওে, তনিবার কনে তনি হাজারবার তদন্ত করলওে তাদরে সন্দহে দূর হবে না।
সানরি বরিুদ্ধে আন্দোলনরে সময়ে নাট্যতত্ত্ব বভিাগরে একজন শক্ষিকিা মন্তব্য করছেনে যে নীতমিালা প্রণয়ন করা বা যৌন নপিীড়নরে অভযিোগ সলে গঠন করা ঠকি হবে না। কারণ তাহলে একরে পর এক অভযিোগ আসতইে থাকব।ে তার মানে তনিি জাননে যে বশ্বিবদ্যিালয়ে হর হামশোই নপিীড়নরে ঘটনা ঘট।ে কন্তিু তার পছন্দ সটো গোপন করে সমাজে “শান্ত”ি বজায় রাখা। আর নপিীড়নরে বরিুদ্ধে র্মোচার পছন্দ এই তথাকথতি “শান্ত”ির মুখোশ উন্মোচন করা।
ছলেরো ছোটবলো থকেে যে সব স্বাধীনতা নয়িে বড় হয় ময়েরো তা পায়না তাই আমরা যে সব ময়েরো বশ্বিবদ্যিালয় র্পযন্ত পড়ার সুযোগ পয়েছেি তাদরে কাছে শক্ষিার এই স্তরে আসা অন্যরকম এক অভজ্ঞিতা। এটা শুধু লখোপড়ার সুযোগ পাওয়া না এটা মুক্ত মানুষ হয়ে বড়েে ওঠার এক অভজ্ঞিতা। ঘররে কোনে টবেলিে বসে বসে পড় এর পরর্বিতে আমি জাহাঙ্গীরনগর বশ্বিবদ্যিালয়ে এসে পলোম বরিাট এক ক্যম্পাস। র্সূয ডুবলে ময়েদেরে ঘরে ফরিতে হবে কারণ ঘররে বাইরে থাকে র্ধষণকামী পুরুষ এই অন্যায় কথা ও প্রথার পরর্বিতে আমি এই ক্যম্পাসে এসে পলোম র্সূযান্ত আইন বরিোধী আন্দোলন। আমি শক্ষিা পলোম রাতটাও ময়েদেরে জন্য আর সইে নরিাপদ পরবিশে নশ্চিতি করা প্রশাসনরে পক্ষইে সম্ভব। ময়েদেরে আস্তে কথা বলতে হব,ে আস্তে হাটতে হবে এর পরর্বিতে আমরা মছিলিে চৎিকার করছেি “আমার বোন র্ধষতি কনে প্রশাসন জবাব চাই”, মুক্ত মঞ্চে মাটি কাঁপয়িে নাটক করছে,ি নচেছে।ি চাঁদরে আলোতে ক্যাম্পাসরে রাস্তায় হঁেটছে,ি দৌড়ছে,ি শয়িালরে চৎিকাররে সাথে পাল্লা দয়িে গান গয়েছে।ি ময়েদেরে মুখ বুজে সব সহ্য করবে এই ধারণার পরর্বিতে এখানে এসে শবিরি খদোও আন্দোলনে শামলি হয়ছে।ি রাষ্ট্ররে বরিুদ্ধে শ্লোগান তুলছেি “যুদ্ধাপরাধীদরে বচিার চাই”। আমরা চাই বশ্বিবদ্যিালয় যনে মুক্ত মানুষ তরৈীর কারখানা হসিবেইে সক্রয়ি থাক।ে অন্যায়রে বরিুদ্ধে সোচ্চার মানুষ তরৈীর পরবিশে যনে বশ্বিবদ্যিালয়ে থাক।ে জাহাঙ্গীরনগর বশ্বিবদ্যিালয় যনে নপিীড়করে কারখানা না হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





