প্রচারণা মিছিলে হামলা ও কর্মী গ্রেফতার :
২ জুলাই লালবাগ থানার পলাশির মোড়ে জাতীয় কমিটির হরতালের সমর্থনে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং ৩ জন কর্মীকে আটক করে। এরা হলেন মানিক ঘোষ, সাব্বির আহমেদ মুন, বাসুদেব বিশ্বাস। একই দিনে খিলগাঁও রেলগেটে জাতীয় কমিটির হরতাল প্রচার মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে আহত করে চারজন কর্মীকে। তাদের নাম রাহাত আহমেদ, সদরুল হাসান রিপন, অনিক ও প্রণবেন্দু দেব রায়। তিতুমীর কলেজের সামনেও আজকে জাতীয় কমিটির লিফলেট বিতরণকালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররা জাতীয় কমিটির কর্মীদের উপর হামলা করে। এই ঘটনায় আহত হয় তৌকির ও রিয়াদ। উল্লেখ্য এর আগে ৩০ জুন খিলগাঁও-এ কর্মীদের কাছ থেকে লিফলেট কেড়ে নেওয়া হয় ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করার সময়ে ছাত্র লীগের ক্যাডাররা জাতীয় কমিটির দুই কর্মীকে (আবীর ও অনীক) মারধোর করে, তাদের ব্যাগ থেকে প্রচারপত্র জোর করে কেড়ে নেয় এবং তাদের শিবির কর্মী বলে গালাগালি করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জাতীয় কমিটির কর্মীদের গ্রেফতার করে এবং ৫৪ ধারায় মামলা করে তাদের কোর্টে চালান করে দেয়। পরদিন বিকালে তাদের জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। এরও আগে ২৭ জুন সিটি কলেজের সামনে পুলিশের উপস্থিতিতে মিছিলে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা হামলা করে ও মোহাম্মদপুর এলাকায় প্রচারণা মিছিলে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হামলার পাশাপাশি পুলিশও লাঠিচার্জ করে। মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় জাতীয় কমিটির কর্মী আহসানুল হক লাভলু, নিমাই গাঙ্গুলী, আকবর হোসেন ও মনিরুল হুদা বাবনকে। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। এছাড়াও ২৬ জুন প্রেসক্লাবের সামনে লিফলেট বিতরনের সময় জাতীয় কমিটির কর্মী নাজমুল হোসেন আক্রান্ত হন।
সংহতি সমাবেশ ও মশাল মিছিল:
আজ বিকালে ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের ‘সংস্কৃতি মঞ্চ’ হরতালের পক্ষে সংহতি সমাবেশ করে। এই সমাবেশে সমগীত, চিৎকার গানের দল ও শিল্পী কাজী কৃষ্ণকলি ইসলাম সহ অনেকে গান পরিবেশন করে। একই সমাবেশে পথনাটক ‘সাগর লুট’ প্রদর্শনী হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, নৃবিজ্ঞান, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালযের শিক্ষক সংহতি বক্তব্য দেন। এছাড়াও সংহতি বক্তব্য দেন ‘অনলাইন এ্যাকটিভিস্ট’ গ্র“প এর সদস্যরা যারা ফেসবুক ও ব্লগে হরতালের সমর্থনে লিখছেন।
এছাড়াও, আজ বিকালে বাংলাদেশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা হরতালের সমর্থনে একটি সমাবেশ করে।
হরতালের সমর্থনে আজ সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাষ্কর্য চত্বর থেকে একশ’টি মশাল সহ একটি মিছিল শুরু হয়ে কাঁটাবন- শাহবাগ প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে প্রায় এক হাজার তরুন অংশগ্রহণ করে।
প্রেস কনফারেন্স: আজ মুক্তিভবনে জাতীয় কমিটি প্রেস কনফারেন্স করে। নীচে প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি সংযুক্ত করা হল।
দেশ ও ভবষ্যিৎ প্রজন্মরে প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে ৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১২ টা ঢাকা মহানগরীতে হরতাল
এবং
একই দিন জেলা, উপজেলা ও ইউনয়িন পর্যায় পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ এবং চুক্তি বাতিল, জাতীয় সম্পদ রক্ষা ও জনগণরে স্বার্থে তার র্সবোত্তম ব্যবহাররে দাবিতে নিজ নিজ উদ্যোগে প্ল্যার্কাড-ফেস্টুন-ব্যানার হাতে প্রধান সড়কে অবস্থান গ্রহণ।
সাংবাদিক বন্ধুগণ,
আপনারা জানেন, ১৬ জুন ২০১১ তারিখে গভীর সমুদ্রের ১০ ও ১১ নং ব্লক নিয়ে মার্কিন কোম্পানি কনোকোফিলিপস-এর সাথে সরকারের রফতানিমুখি জাতীয় স্বার্থবিরোধী পিএসসি চুক্তি স্বাক্ষরের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ জুন আমরা আগামী ৩ জুলাই ঢাকা মহানগরীতে অর্ধদিবস হরতালসহ সারাদেশে কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। হরতালকে কেন্দ্র করে ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পদযাত্রা, মিছিল, সমাবেশ, লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ কার্যক্রম সফলভাবে সমাপ্তির দিকে। আমরা ইতোমধ্যে এসব কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে জনগণের ব্যাপক অংশের সমর্থন পেয়েছি। অনেকে স্বতস্ফ’র্তভাবে এগিয়ে এসে প্রচারকাজে অংশ নিয়েছেন। অসংখ্য মানুষ বিশেষত তরুণ প্রজন্ম ফেসবুক, মোবাইল, ই-মেইলের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে হরতালকে সফল করায় অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছেন ও অনেকে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। শ্রমিক, শিক্ষার্থী, আইনজীবী, সাংবাদিক, শিল্পী, লেখক, শিক্ষক, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, বিশেষজ্ঞসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের নারী পুরুষ এই আন্দোলনের কর্মসূচি ও হরতালের প্রতি বিভিন্নভাবে সক্রিয় সমর্থন জানিয়েছেন। আমরা তাঁদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই। সমাজের সর্বস্তর থেকে আমাদের বক্তব্য ও আন্দোলনের প্রতি এই সমর্থন এটাই প্রকাশ করে যে, এই আন্দোলন দেশের সকল মানুষের আন্দোলন, কতিপয় কমিশনভোগী দুর্বত্ত সুবিধাভোগী ছাড়া সকলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সংগঠিত এই আন্দোলনের শরীক।
এখানে উল্লেখ করা দরকার যে, সরকার গত ১৬ জুন সম্পাদিত সেই চুক্তি এখনও গোপন রেখেছে। ইতোমধ্যে আমাদের জানামতে অনেকেই ‘তথ্য অধিকার আইন’ অনুযায়ী এই চুক্তি জানতে চেয়েছেন কিন্তু এখনও কোন জবাব কেউ পাননি।
১৬ জুন পরবর্তী চুক্তি স্বাক্ষরের প্রেক্ষিতে হরতাল কর্মসূচি আহ্বান ছিল আমাদের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় একটি যৌক্তিক পরিণতি। কেন এই হরতাল আহ্বান করতে আমরা বাধ্য হয়েছি তা আপনাদের এবং আমাদের প্রকাশনার মাধ্যমে আগেই বিস্তারিত বলেছি। জনগণের সমর্থন-সাড়া ইত্যাদির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এও বুঝতে পারছি যে, জনগণই হরতালকে সফল করবেন। জনগণ জাতীয় কমিটির এই আন্দোলনকে বুকের ভেতর ধারণ করছেন বলে সরকার ও কোম্পানির লবিষ্টরা ভীতসন্ত্রস্ত। আমরা আমাদের আন্দোলনের বিষয়াবলী জনগণের সামনে পরিষ্কার করবার জন্য লিফলেটসহ বিভিন্ন বক্তব্য প্রকাশ করেছি। আমাদের লিফলেট কোন বোমা কিংবা ট্যাংক নয় কিংবা নয় কোন স্টেনগান। এই লিফলেটের মধ্যে কনোকো ফিলিপস-এর সাথে চুক্তির ফলে বাংলাদেশের জনগণের কীভাবে স্বার্থহানি হবে কিংবা এই চুক্তি কেন জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে Ñ এসব বিষয়ে তথ্য ও যুক্তি আছে। গত দুই বছর ধরে এসব তথ্য যুক্তিই আমরা সরকারের সামনে উপস্থিত করেছি। কিন্তু সরকার তথ্য ও যুক্তির মোকাবিলা করতে ভয় পায় বলে বারবার দমনপীড়ন ও অপপ্রচারের আশ্রয় নিয়েছে। ২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর সরকার আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা করেছে, এখনও দমনপীড়ন এবং অপপ্রচার দিয়ে এই কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম জারী রেখেছে। এর মধ্যে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের সামনে পুলিশের সামনে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন কর্তৃক হামলা, মোহাম্মদপুরে ব্যানার লিফলেট কেড়ে নেওয়া, অতর্কিতে মিছিলের উপর পুলিশ ও সরকারদলীয় সংগঠনের হামলা, সিপিবির চারজন নেতা-কর্মীকে আটক, খিলগাও-এ কর্মীদের কাছ থেকে লিফলেট কেড়ে নেওয়া এবং আটক, যাত্রাবাড়ীতে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের আক্রমণ এবং লিফলেট কেড়ে নেওয়া, পুলিশ কর্তৃক ছাত্র ইউনিয়নের দুজন কর্মী আটক, প্রেসক্লাবের সামনে লিফলেট কেড়ে নেওয়া এবং হামলার হুমকি ইত্যাদির মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু এসব হীন ষড়যন্ত্রমূলক অপকর্মের মাধ্যমে জনগণের ন্যায্য আন্দোলনকে কোনদিন দমানো যায়নি এবং যাবে না বলে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
আমরা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি যে ব্যবসায়ীদের কয়েকটি সংগঠন হরতালের ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। আমরা সকল ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, দেশে শিল্পায়ন-কর্মসংস্থানের সুষ্ঠু ভিত্তি গড়ে তুলবার জন্য দেশের গ্যাস-কয়লা সম্পদের উপর জনগণের মালিকানা, কর্তত্ব এবং নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত রাখা আবশ্যক, আবশ্যক জাতীয় সক্ষমতার বিকাশ। আমাদের আন্দোলন সেই লক্ষ্যেই পরিচালিত। গ্যাস-কয়লা বিদেশে রপ্তানী এবং বিদেশে মালিকানায় অনেকবেশি দামে নিজেদের জ্বালানী ও বিদ্যুৎ ক্রয়ের ধারা অব্যাহত থাকলে জনগণের জ্বালানী নিরাপত্তা যেমন বিঘিœত হবে তেমনি শিল্পায়নের অমিত সম্ভাবনাও মুখ থুবড়ে পড়বে। যারা চোরাই টাকা বা কমিশন নির্ভর তৎপরতায় নিয়োজিত থাকতে চান না, যারা দেশে শিল্পায়ন-কর্মসংস্থানের কাজে নিয়োজিত থাকতে চান আমাদের এই আন্দোলন তাই তাদেরও আন্দোলন। আমরা আশা করি, তাঁরা জাতীয় কমিটির হরতালকে সমর্থন করে কনোকোফিলিপস-এর সাথে সম্পাদিত চুক্তি বাতিল, খনিজ সম্পদ রফতানি নিষিদ্ধ করা ও জাতীয় সক্ষমতার বিকাশসহ দেশের কাজে জাতীয় সম্পদের শতভাগ কার্যকর ব্যবহারের আন্দোলনকে জোরদার করবেন।
৩ জুলাই রথযাত্রার কথা আমরা জানি। এই কর্মসূচির কথা আমরা সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনায় রেখেছি। রথযাত্রা শুরু হবে বেলা ২টায়, সুতরাং হরতালে তার কোন সমস্যা হবে না। তারপরও হরতাল চলাকালে এই কর্মসূচির প্রস্তুতি ও জনসমাগমে যাতে কোন বিঘ্ন সৃষ্টি হয় তার জন্য আমরা সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবো।
বন্ধুগণ,
আপনারা ইতিমধ্যে অবগত হয়েছেন যে, আগামী ৩ জুলাই একটি ধর্মভিত্তিক দল অন্যকিছু দাবিদাওয়া নিয়ে হরতাল আহবান করেছেন। আমাদের দীর্ঘদিন প্রচারিত জাতীয় স্বার্থের হরতাল নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবার জনই এরকম হরতাল দেয়া হয়েছে, এরকম ধারণা করবার যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে। এছাড়াও আন্দোলনের বিরুদ্ধে কিছু গোষ্ঠীর হঠাৎ গজিয়ে উঠা এবং নানা অপতৎপরতাও দেখা যাচ্ছে। জাতীয় সম্পদের উপর জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের আন্দোলনকে খর্ব করবার জন্য ফুলবাড়ী বড়পুকুরিয়া এলাকাতেও নানা ভাড়াটে ভুঁইফোড় সংগঠনের জন্ম হতে দেখেছি, এখনও সেরকম দেখতে পাচ্ছি। জাতীয় সম্পদ রক্ষার এই হরতাল জনগণের বাঁচামরার হরতাল, দেশের সম্পদ দেশের কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবার হরতাল, এই হরতাল জাতীয় সম্পদের উপর জনগণের মালিকানা ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার হরতাল। এই দাবিদাওয়া থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নেওয়ার যে কোন অপতৎপরতা তাই জনগণ আগেও প্রত্যাখ্যান করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন। জাতীয় কমিটির ন্যায্য এবং যৌক্তিক আন্দোলনকে জনগণের সামনে হেয় এবং বিভ্রান্ত করার জন্য এ ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড নতুন কিছু নয়। এ ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
আমরা বারবার বলছি, দশে ও জাতীয় সম্পদ রক্ষায় জাতীয় কমটিরি এই হরতাল ও আন্দোলনরে র্কমসূচি ক্ষমতা নিয়ে কামড়াকামড়ি বা সহিংসতার হরতাল নয়। অনচ্ছিায় বা ভয়ে নয়, জনগণ এসব র্কমসূচি পালন করবনে তার নজিরে স্বার্থে, ভবষ্যিৎ প্রজন্মরে স্বার্থে, বাংলাদশেরে অস্তত্বিরে স্বার্থে, স্বতস্ফূর্তভাবে, স্বউদ্যোগে। র্দুবৃত্ত, র্দুনীবতবাজ, কমশিনভোগী ছাড়া দশেরে সকল মানুষ এসব র্কমসূচিতে শামলি হয়ে দশে ও জনগণরে অস্তত্বি রক্ষার প্রশ্নে গণরায় প্রকাশ করবনে। এই হরতালের মধ্য দিয়ে দেশের সম্পদ দেশের মানুষের কাছে ফিরিয়ে আনার পক্ষে জনগণের শক্তি বিকাশে আমরা সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করি।
সরকার যদি এরপরও গণরায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, দেশি বিদেশি লুটেরা দখলদারদের স্বার্থে গৃহীত বর্তমান নীতি ও চুক্তির ধারা, পরিবর্তন না করেন তাহলে হরতাল শেষে আমরা ভবিষ্যৎ কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো। জাতীয় স্বার্থের এই আন্দোলনে আমরা আবারও আপনাদের সর্বাতœক সমর্থন আশা করি।
ধন্যবাদ।
তলে-গ্যাস-খনজি সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি
২ জুলাই বেলা ৩টা। মুক্তিভবন। ঢাকা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





