পয়লা বৈশাখের সার্বজনীন উৎসব কালিমায় লিপ্ত। খুব বেশি নয়, অল্প কিছু কুলাঙ্গারদের জন্য। অথচ হাজার হাজার মানুষ ছিল চারপাশে। ছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। গুটি কয়েকজন তরুণ প্রতিবাদ করেছেন। কুলাঙ্গারদের হাতে তারা নিজের জীবন বাজি রেখেছেন। অন্যরা হয়তো নিজের কেউ নয় বলে পাশ কাটিয়ে গেছেন। কিন্তু আর কত পাশ কাটিয়ে চলবেন। ঘটনার সময় হয়তো আপনি এগিয়ে যেতে সাহস পাননি। কিন্তু এখণ পরিচয় গোপন রেখেও তো কুলাঙ্গারদের ধরিয়ে দিতে পারেন। কি পারেন না?
আমার বিশ্বাস, টিএসসির যৌন নিপীড়নের ওই ঘটনার এমন প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন যারা কুলাঙ্গারদের কাউকে না কাউকে চিহ্নিত করতে পারবেন। হয়তো আপনারই কোনও পরিচিত, বন্ধু, স্বজন বা কেউ একজন এই অপকর্ম করেছে। হয়তো সে আড়ালে চায়ের আড্ডায় একান্ত আলাপচারিতায় তা আপনার সঙ্গে শেয়ারও করেছে। আপনার নৈতিক মূল্যবোধ যদি অটুট থাকে তাহলে আপনার তা প্রকাশ করা উচিত। আপনি প্রকাশ্যে বললে হয়তো জীবন হুমকির সন্মুখীন হতে পারে। তবু ভয় পাবেন না। কুলাঙ্গারদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করে দিন। যদি তাও না বলতে চান, তাহলে নাম-পরিচয় প্রকাশ না করে বা বলে কুলাঙ্গারদের পরিচয় ফাঁস করে দিন। তা না হলে আজ হয়তো অন্যরা ভয়ঙ্কর এই পাশবিকতার শিকার হয়েছে, কাল কিন্তু আপনার অতি আপনজনও তাদের হাতে একই ঘটনার শিকার হতে পারে। আসুন আমরা সোচ্চার হই। আমরা প্রতিবাদ করি। আমরা ঘৃণা জানাই। বি. দ্র. ভিডিও লিংকে প্রথম যে দৃশ্য দেখা যাচ্ছে তা হলো জগন্নাথের ছাত্রলীগকর্মী ইভটিজার নাজমুলকে ধোলাই দেয়ার দৃশ্য। ভেতরে লিটন নন্দীর ভাষ্য রয়েছে।
আপডেট: গোয়েন্দা সূত্রে যতটা জানতে পারলাম, টিএসসির একটি পাশবিকতার দৃশ্য সিসিক্যামেরায় ধারণ হয়েছে। তাদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে। ডিবির যুগ্ন কমিশনার মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন হয়েছে। তারা পুলিশের গাফলতি এবং কুলাঙ্গারদের সনাক্তের চেষ্টা করছেন। হাইকোর্ট একটা রুল জারি করেছে। পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ঢাবির ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আপডেট ২: ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘তদন্তের স্বার্থে এ সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শীর প্রামাণিক কোনো তথ্য থাকলে তা কমিটির আহ্বায়ক সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদের দপ্তরে লিখিতভাবে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে অফিস চলাকালীন সময়ে জমাদানের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।’ অতএব যার কাছে যা প্রমাণ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিকে দিয়ে সহযোগিতা করুন। প্রমাণ হাতে নিয়ে বসে থাকবেন না প্লীজ।
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আদিবাসী এক ছাত্রীকে নিপীড়নের ঘটনায় ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলো, শহীদ সালাম-বরকত হল শাখা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক রসায়ন বিভাগের ছাত্র নাফিজ ইমতিয়াজ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য ও জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নিশাত ইমতিয়াজ ওরফে বিজয়, ছাত্রলীগ কর্মী এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের আবদুর রহমান ইফতি, নুরুল কবির এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের রাকীব হাসান। এরা প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
আমরা এই ৫ কুলাঙ্গারের ছবি প্রকাশ করতে চাই। জাবির বন্ধুরা সহযোগিতা করুন।
আপডেট ৩: একটা ছবি পাওয়া গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের ফিল্ম সোসাইটির একজন সদস্য তুলেছিল। সে ছবিটির কপিরাইটসহ বিক্রি করে দিয়েছে একটি বেসরকারি চ্যানেলের কাছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সেই ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে অন্যকোনও ছবি আছে কিনা কিংবা কিনে নেয়ার প্রস্তাবও দিয়েছি। কিন্তু তার কাছে আর কোনও ছবি নেই বলে জানাল।




এই ছবি দুটি ছাপা হয়েছিল ঢাকা ট্রিবিউনে, গত ফেব্রুয়ারির বই মেলার সময়। একটি গ্রুপ নারীদের যৌন হয়রানি করছে। ছবি তুলতে গেলে ফটোগ্রাফারের দিকে হাত বাড়িয়ে ক্যামেরা নেয়ার চেষ্টা করছে। আমার ধারণা, এরাই বৈশাখে একই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। এদের ধরতে পারলে বৈশাখের ঘটনার ক্লু পাওয়া যেতে পারে। এই জানোয়ারদের চিহ্নিত এবং নাম-পরিচয় জানা জরুরি।
আপডেট ৪: উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের আদিবাসী এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আট ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। এখন মামলার তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিটা জরুরী।
আপডেট ৫:

আপডেট ৬: নতুন একটা ছবি পাওয়া গেল।

আপডেট ৭: আরো দুটি ছবি পাওয়া গেলো।

আপডেট ৮: একটি বেসরকারি চ্যানেলে প্রচারিত সিসি ফুটেজের ভিডিও। যারা যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেনি বলে বারবার বলার চেষ্টা করেছেন। তারা এই ভিডিও দেখুন। প্রথম আলোর এই লিঙ্কে সিসিটিভির বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।
আর নিচের এই কুলাঙ্গারের পরিচয় পাওয়া গেছে।

আপডেট ৯: জাহাঙ্গীরনগের ইভটিজারদের ছবিগুলো পেয়েছি। ছাত্রলীগ ৫ জনকে বহিষ্কার করছে আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহিষ্কার করেছে মোট ৮ জনকে। এদের মধ্যে ৫ জনের ছবি হাতে এসেছে। উদ্ধিদ বিজ্ঞান বিভাগের আদিবাসী ছাত্রীকে যৌন হয়রানী করা এই পাঁচজনকে সামাজিকভাবে বয়কট করুন। এই তথ্য তাদের বাবা-মা-ভাই-বোন আত্মীয় স্বজনদের হাতে তুলে দিন।



এর নাম নুরুল কবির, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগ, ৪৩ ব্যাচ , ছাত্রলীগকর্মী।

এর নাম রাকিব হাসান, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগ, ৪৩ ব্যাচ, ছাত্রলীগকর্মী।

এর নাম আব্দুর রহমান ইফতি, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগ, ৪৩ ব্যাচ ।
এদের শুধু বহিষ্কার করলেই হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ নারীদের যৌন হয়রানি করার সাহস না পায়। আর আসুন এদের সামাজিকভাবে বয়কট করি।
আপডেট ১০: টিএসসির ঘটনার আরো একটি ছবি পেলাম। এই ছবিতে স্পষ্ট যৌন হয়রানির ঘটনা উঠে এসেছে। এক নারীর কাছ থেকে তার শিশুটিকে অন্যত্র নেয়া হচ্ছে। এছাড়া ছবিতে নারীর পোশাক ছেড়া দেখা যাচ্চে। ছবিটি চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের একজনের কাছ থেকে নেয়া।


কুলাঙ্গারদের খুজে বের করার আপডেট হলো, ভিডিও ফুটেজ এবং ছবি দেখে এখণ পর্যন্ত ৫ কুলাঙ্গারের মুখাবয়ব পাওয়া গেছে। পুলিশ মুখের ছবি পরিষ্কার করে অর্থাত চেনার মতো তৈরি করছে। তারপর এদের ছবি জনসম্মখে প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সদস্য সচিব ডিবির উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা-পূর্ব) জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর ভাইয়ের এই ০১৭১১-৬০৫১৪৬ নাম্বারে ফোন করে তথ্য, ছবি বা ভিকটিমদের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। তথ্যদাতা ও ভিকটিমের নাম পরিচয় গোপন রাখা হবে। আপনাদের কারও কাছে যদি কোনও তথ্য বা ছবি থাকে তাহলে ডিএমপির ফেসবুক পেজেও দিতে পারেন। দয়া করে তথ্য প্রমাণ হাতে নিয়ে চুপ করে বসে থাকবেন না। আমরা কুলাঙ্গারদের ধরিয়ে দিতে চাই। কুলাঙ্গারমূক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। প্লীজ।
আপডেট ১১: দায়িত্বে অবহেলার জন্য পুলিশের এএসআই আশরাফকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। লিটন নন্দী জানিয়েছিলেন, তার কাছেই কয়েকজনকে ধরে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তাদের গ্রেপ্তার না করে ছেড়ে দিয়েছেন।
পয়লা বৈশাখ বেঁচে থাক, কুলাঙ্গারেরা সব নিপাত যাক। ফেসবুকে আমি
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




