somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পরিণতি নয়, বরং আল্লাহর হুকুমের দিকে নযর দেওয়া

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা আমাদের বুঝা প্রয়োজন যে দ্বীন কি আর দুনিয়া কি? দ্বীন এবং দুনিয়া – এই দুটোর বৈশিষ্ট্যের মধ্যে দুনিয়া ঐটাকে বলা হয় বা ঐ কাজকে যেটার পদক্ষেপ একটা পরিণতিকে সামনে রেখে করে। পরিণতি যদি ভাল হয়, তাহলে তার পদক্ষেপ শুদ্ধ বা কাঙ্ক্ষিত পরিণতি যদি সে পায়, তাহলে তার পদক্ষেপ শুদ্ধ। আর যদি কাঙ্ক্ষিত পরিণতি না পায়, তাহলে তার পদক্ষেপ ভুল। ভুল এবং শুদ্ধের মাপকাঠি এটাই।

বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কেউ একটা ঔষুধ আবিষ্কার করলো। রোগীকে সেই ঔষুধ খাওয়ানা হল বড় সংখ্যায় যেটাকে এক্সপেরিমেন্ট বলে। এই ঔষধ খেয়ে রোগীরা যদি ভাল হয়, তাহলে প্রমাণিত হল যে ঔষধ ভাল। আর এই ঔষধ খেয়ে রোগীরা যদি ভাল না হয়, তাহলেও প্রমাণিত হল যে এই ঔষধ ভাল নয়। এছাড়া অন্য কোন মানদন্ড নেই।

সম্পূর্ণ বিজ্ঞান, সম্পূর্ণ প্রযুক্তি এই নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। এক্সপেরিমেন্ট করে দেখে, কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেলে এটা শুদ্ধ-ভাল, কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পেলে এটা অশুদ্ধ। একটা কথা আছে – উপকরণ, ইংরেজীতে means বলে। আর লক্ষ্য, ঐটাকে end (অর্থাৎ) পরিণতি বলে। ঐ end যদি শুদ্ধ হয়, ঐটাই প্রমাণ করে যে তার means শুদ্ধ ছিল। end justifies means. পরিণতি যদি ভাল হয়, তাহলে যেটা করেছে ঐটা শুদ্ধ।

দ্বীনে এই কথা মোটেই গ্রহনযোগ্য নয়। আর গ্রহনযোগ্য নয় শুধু তা নয়, আল্লাহতাআলা এই কথাকে দুনিয়ার সামনে তুলে ধরেছেন বিভিন্নভাবে। বিভিন্ন দৃষ্টান্ত দিয়ে বুঝিয়েছেন।

নূহ আলাইহিস সলাতু আসসালাম দাওয়াত দিলেন সাড়ে নয়শত বছর। আর শেষ পরিণতি হল যে কেউ ঈমান আনল না অল্প কয়েকজন ছাড়া। আর বাকী সবাই ধ্বংস হয়ে গেল। এই নূহ আলাইহিস সলাতু আসসালাম এর সাথে নৌকাতে অল্প যেকজন ঈমান এনেছিল, বৈজ্ঞানিক মাপে এই ছোট সংখ্যার উপর ফায়সালা হয় না। একটা ঔষুধ আবিষ্কার করল, এক লাখ রোগীকে খাওয়ালো। নিরানব্বই হাজার নয়শত নব্বই জন মরে গেল আর দশজন ভাল হল। এই মাত্র লাখের মধ্যে দশ জন ভাল হয়েছে – এটা এই ঔষধের পক্ষে কোন যুক্তিই নয়। চূড়ান্ত ব্যার্থ ঔষুধ। তো (সেই হিসেবে) নূহ আলাইহিস সলাতু আসসালাম এর নৌকাতে কয়েকজনের বেঁচে যাওয়া – এটা নূহ আলাইহিস সলাতু আসসালাম এর স্বার্থকতার এক ফোঁটাও নয়। নূহ আলাইহিস সলাতু আসসালাম সেই হিসেবে, বৈজ্ঞানিক মানদন্ডে বা প্রতিষ্ঠিত দার্শনিক মানদন্ডে গোটা মানবজাতির মধ্যে বড় মারাত্মক ‘ব্যার্থতার’ দৃষ্টান্ত।

দাওয়াত তো দিলেন একদিন দুইদিন নয়, সাড়ে নয়শত বছর। যদি দুই-চারদিন দাওয়াত দিয়ে ছাড়তেন, তাও বলা যেত যে ঠিক আছে, হুশ হয়েছে। কিন্তু একদিন দুইদিন নয়, একশো দুইশো বছর নয়, সাড়ে নয়শতবছর পর্যন্ত দাওয়াত দিলেন আর পরিণতি এটা। তো দুনিয়ার দার্শনিকরা বলবে, বৈজ্ঞানিকরা বলবে এই কথা যে উনার মেহনতে যে ফায়দা হচ্ছে না, এটা উনার অনেক আগেই বুঝা উচিত ছিল। এইজন্য সাড়ে নয়শত বছর লাগে? একশ, দুইশ বছর দাওয়াতে দিয়েই তো বুঝতেন যে এটা বেকার, এটা ছাড়ি।

কিন্তু তা নয়। বরং আল্লাহতাআলা নূহ আলাইহিস সলাতু আসসালাম এর দৃষ্টান্তকে অত্যান্ত স্বার্থক দৃষ্টান্ত হিসেবে গোটা দুনিয়ার মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন আর নূহ আলাইহিস সলাতু আসসালাম এর প্রশংসায় সম্পূর্ণ সূরা নাযিল করেছেন।

একবার জামাআতে গিয়েছিলাম। ঐ জামাআতে একজন অত্যান্ত শিক্ষিত ব্যাক্তি তবলীগের সাথে জড়িত অনেক ইসলামী বইও লিখেছেন। তো উনিও জামাআতে ছিলেন। আর উনার মোজাকারা ছিল, গাস্তের কথা সম্ভবত ছিল। কথা প্রসঙ্গে বললেন যে রাসূল কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কাতে তের বছর দাওয়াত দেওয়ার পরে যখন এই মক্কার দাওয়াত ‘ব্যার্থ’ হল, (তখন) রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করলেন মদীনায়। আমি উনাকে বললাম আপনি তওবা করুন’। তওবা করলেন, ইস্তেগফার করলেন। বুঝালাম যে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যার্থ হলেন – এই ‘ব্যার্থতা’ রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নয়, (বরং এটা বুঝায়) আল্লাহ ‘ব্যার্থ’ হয়েছেন। ‘দূরদৃষ্টি’ আল্লাহরই কম। আল্লাহতাআলা আন্দাজ করতে পারেননি যে মক্কায় এত বছর মেহনত করে কিছু লাভ হবে না। আগে যদি আল্লাহতাআলা বুঝতে পারতেন, তাহলে খামোকা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এখানে তেরটা বছর নষ্ট করাতেন না।

(বাস্তবতা হচ্ছে) এটা সম্পূর্ণভাবে স্বার্থক শহর। আল্লাহতাআলা এভাবেই চেয়েছেন আর এভাবেই হয়েছে। পরিণতি দেখে একটা পদক্ষেপ নেওয়া – এটা দুনিয়ার নিয়ম, এটা দ্বীনি নীতি নয়। ইউনুস আলাইহিস সলাতু আসসালাম উনার কওমকে দাওয়াত দিচ্ছেন। কওম দাওয়াত কবুল করেনি আর তাদের উপর আযাব নাযিল হবে। ইউনুস আলাইহিস সলাতু আসসালাম নবী, উনি দেখতে পেলেন এই আযাব নামছে। কওম তো উনার কথা মানল না, এই দেখে নিজে গ্রাম ত্যাগ করলেন। কমপক্ষে আমি বাঁচি আল্লাহর আযাব থেকে। আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচবার চেষ্টা করা – এটা বেদ্বীনি নাকি? [না] মোটেই বেদ্বীনি নয়। আল্লাহর আযাব নাযিল হচ্ছে। ওখান থেকে বাঁচি। তো আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচবার চেষ্টা উনি করলেন। কিন্তু নীতিগতভাবে একটা পরিণতিকে সামনে রেখে পদক্ষেপ নিলেন। আর এই নীতি শুদ্ধ নয়। ইউনুস আলাইহিস সলাতু আসসালাম মুসীবতে পড়লেন। শুধু মুসীবতে না, মহা মুসীবতে পড়লেন। পানিতে পড়লেন, পানিতে আবার মাছ গিলল, মাছ আবার অন্ধকারের মধ্যে।

ظُلُمَاتٍ ثَلَاثٍ

তিন অন্ধকার

কয়েক ধরনের মুসীবতের মধ্যে পড়লেন। ভুলটা কোথায়? ভুল হল যে পরিণতিকে সামনে রেখে পদক্ষেপ নিয়েছেন। আর দ্বীন হল হুকুম পালনে পদক্ষেপ নেওয়া। আল্লাহতাআলা বলেছেন ‘যাও’, তো যাবে। আল্লাহর হুকুম যদি থাকে এটা করার – সেটা করবো। এতে কি হবে – ঐটা দেখার বিষয় নয়। আর ইউনুস আলাইহিস সলাতু আসসালাম যেটা করেছিলেন যে কি হবে – ঐটার দিকে তাকিয়েছেন। আর সেই হিসেবে নিজ বিবেচনায় একটা পদক্ষেপ নিয়েছেন। ইউনুস আলাইহিস সলাতু আসসালাম যে শুধুমাত্র মুসীবতের মধ্যে পড়ে গেলেন – তা নয়। বরং এই সম্পূর্ণ ঘটনা ও মুসীবতকে পরবর্তী মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে ধরেছেন। আর সবাইকে সাবধান করে দিয়েছেন যে ‘খবরদার, ইউনূসের মত করবে না’। একজন নবী আর নবীকে দৃষ্টান্ত দিয়ে বলছেন যে ওর মত করবে না। আর নবীকে পাঠানোই হয়েছে এটা বুঝানোর জন্য যে ‘এর মত কর’। আর এই জায়গায় বলছেন ‘এর মত করবে না’।

وَلاَ تَكُنْ كَصَاحِبِ الْحُوْتِ

এই মাছওয়ালার (ইউনুস আঃ) মত হবে না।

ইউনূস আলাইহিস সলাতু আসসালাম এর দৃষ্টান্ত। ভুলটা কোথায়? নিজ বিবেচনায় একটা পরিণতিকে সামনে রেখে পদক্ষেপ নিয়েছেন যেটা দ্বীনি বুনিয়াদ নয়, যেটা হল দার্শনিক বুনিয়াদ কিংবা বিজ্ঞানী বুনিয়াদ।

আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু জিহাদে রওয়ানা হয়েছেন মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু এর মোকাবিলায়। ঘোড়ার পিঠে উঠবেন, রেকাবে পা রেখেছেন। ঐসময় সম্ভবত সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু আনহু উনাকে জিজ্ঞাস করলেন, ‘আপনি জিতবেন নাকি’? আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন ‘না’। নিশ্চয়তার সাথে বললেন ‘না’। (সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, তাহলে আপনি কেন যাচ্ছেন? (আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু): জিতবো, হারবো – ঐটা আমাদের দেখার বিষয় না। কোনটা করণীয় – ঐটা দেখার বিষয়। করণীয় আমার এটাই। আর এটা বুঝতে পারছি যে হারবো। কিন্তু এইজন্য আমরা করণীয় বাদ দিতে পারবো না। এটাই করতে হবে।

বহু বছর আগে পাকিস্তানে বয়ান করছিলেন আব্দুল ওহহাব সাব। আর ঐ বয়ানের মধ্যে এই দৃষ্টান্ত দিয়েছিলেন। প্রায় ত্রিশ বছর আগের কথা হবে। ত্রিশ-চল্লিশ বছর প্রায়। দিল্লীতে ওলামাদের একটা মজমা ছিল। অনেক বড় বড় আলিমরা ছিলেন। সেই মজমার মধ্যে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর এই ঘটনাকে উল্লেখ করলেন। ঐ ওলামাদের মজলিসে। (বললেন) যে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু তবুও গেলেন, যদিও জানেন যে উনি জিতবেন না। কিন্তু উনি করেছেন এইজন্যে যে এইসময় এটাই উনার করণীয় ছিল। এই কথা বলার সাথে সাথে – ঐ মজলিসে একজন নামকরা আলিম, আব্দুল ওহহাব সাব নাম বলেছিলেন, নাম আমার মনে নেই, ঐসময় নাম বলেছিলেন আর আমি এইসব ব্যাপারে পরিচিত ছিলামও না। মনে রাখা মুশকিল। জোরে কালিমায়ে শাহাদাৎ পড়লেন

اشْهَدُ انْ لّآ اِلهَ اِلَّا اللّهُ وَ اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدً اعَبْدُه وَرَسُولُه

আর বললেন ‘আজ আমি নতুন করে মুসলমান হলাম। একজন রাষ্ট্রনায়ক আর একজন খলীফার মধ্যে কি পার্থক্য – এটা বুঝলাম। রাষ্ট্রনায়ক একটা পদক্ষেপ নিবে তার পরিণতির কথা চিন্তা করে, আর খলীফা পদক্ষেপ নিবে আল্লাহর আদেশের দিকে তাকিয়ে। পরিণতি কি হবে – ঐটা দেখার বিষয় নয়। তো আল্লাহতাআলা বড় মেহেরবাণী করে আমাদের দ্বীন দিয়েছেন। দ্বীন আমাদের এটাই বুঝায় যে প্রত্যেক অবস্থায় আল্লাহর সন্তুষ্টির কাজ কি হবে। আমার কি করা উচিত যেটায় আল্লাহর হুকুম পালন হবে আর আল্লাহ রাজি হবে – সেটাই আমি করবো। এতে দুনিয়াতে কি ফলাফল হবে – ঐটা মোটেও দেখার বিষয় না। দেখার বিষয় যে আল্লাহর হুকুম এটা কিনা। যদি আল্লাহর হুকুম হয় – তাহলে করবো। আর আল্লাহর হুকুম যদি না হয় – তাহলে লাভ ক্ষতির বিবেচনা করে করবো না। লাভ-ক্ষতির বিবেচণা করে করার মানেই হল ঐটা দুনিয়া। আর আল্লাহর হুকুম দেখে করা হচ্ছে দ্বীন।

ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কাসেম নানুতবী রহঃ এর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট বের হয়েছে। আর পুলিশ ধরবে। সেই পুলিশ ধরা এরকম নয় যে আমাদের সাথীদের মত জেলে রেখে বিশদিন-ত্রিশদিন পরে ছেড়ে দিবে। [কাকরাইলের ঘটনা দৃষ্টব্য] ওরকম ব্যাপার ছিল না। বরং ফাঁসিতে ঝুলাবে। উনি লুকিয়ে আছেন। তিনদিন পর বের হয়ে গেলেন। সাথীরা বলল ‘আপনার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে, পুলিশ ধরবে’। লুকিয়ে থাকুন। উনি বললেন শত্রু ভয়ে [পুলিশের ভয়ে] লুকিয়ে থাকার সুন্নত তিন দিন। তিন দিন হয়ে গেছে, ব্যাস সুন্নাতও আদায় হয়েছে, আর দরকার নেই। এইটা হল দ্বীন।

উনি যে লুকিয়েছেন পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য নয়, (বরং) এই অবস্থায় সুন্নাত পালন করার জন্য। সুন্নাত হয়ে গেছে, বের হয়ে গেলেন। পুলিশের হাতে ধরা পড়ারও দরকার নেই, ছুটারও দরকার নেই। (তো উনি) বের হয়ে গেলেন আর আল্লাহর দায়িত্বেই থাকলেন। আল্লাহর দায়িত্বে যদি থাকে তো আল্লাহতাআলা তাঁর বান্দার হেফাজত করেন। তার নিজস্ব তরতীব আছে। আল্লাহতাআলার হেফাজতের জন্য যে বিরাট বাহিনীর দরকার হবে – তা কিন্তু নয়। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হেফাজত করলেন মাকড়সার জাল দিয়ে, গুহার মধ্যে। আর আল্লাহতাআলা নিজেই বলেছেন যতকিছু আছে তার মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল ঘর হল মাকড়সার। আর এটা মানুষও দেখতে পায়, আল্লাহও বলেছেন। আর গোটা মক্কার মোকাবিলায় আল্লাহতাআলা দাড় করালেন মাকড়সার জাল। ঐটা তারা ভেদ করতে পারলো না।

কাসেম নানুতবী রহঃ ঘুরে বেরাচ্ছে দিব্যি বেপরওয়া আর উনার বিরুদ্ধে পুলিশ। তো পুলিশ এসেছে। এসে উনাকেই জিজ্ঞাস করলো ‘কাসেম নানুতবী কে?’ চেহারা তো চিনে না, নাম জানে। দাঁড়িয়ে ছিলেন, পুলিশের প্রশ্ন শুনে এক কদম সরলেন। সরে আবার জিজ্ঞাস করলেন ‘কি বললেন’? (পুলিশ): কাসেম নানুতবী কে? (কাসেম নানুতবী রহঃ): একটু আগে উনি তো ছিলেন এখানে। [মজমার হাসি] উনি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন, এক কদম সরে বললেন একটু আগে তো ছিলেন। এদিক ওদিক তাকালেন। পুলিশ বলল একটু আগে ছিলেন, অতএব দৌড়ে বের হয়ে চলে গেল। তো ঐটা হল ভিন্ন কথা। কথা হল লুকিয়েছেন সুন্নাত আদায়ের জন্য, সুন্নাত আদায় হয়ে গেছে বের হয়ে গেছেন। এইটা হল দ্বীন। তো আমি যে একটা কাজ করছি এটা আল্লাহর হুকুম কিনা, সুন্নাতের মধ্যে পড়ে কিনা, এতে আল্লাহ রাজি হবে কিনা – এটা দেখার বিষয়। এটার পরিনাম কি হবে, পরিণতি কি হবে – ঐটার দিকে যদি তাকায়, সে আর দ্বীনের পথে থাকলো না। আল্লাহ আমাদের দ্বীনের উপর থাকার তৌফিক নসীব করুন।

[মাজালিসে মুশফিক আহমাদ রহঃ, ২৩ শে রমযান ১৪৩৬, যাত্রাবাড়ি মাদ্রাসায় ইতেকাফ]
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৮
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×